Tranding

12:38 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / বহু অন্ধকার রেখেই দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়, আরজিকর মামলা কি হবে?

বহু অন্ধকার রেখেই দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়, আরজিকর মামলা কি হবে?

এই মামলারও আরও একটি দিক হল, আরজি কর খুন ও ধর্ষণ মামলার তথ্যপ্রমাণ লোপ। যার জন্য গ্রেফতার করা হয় আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ত সন্দীপ ঘোষ ও টালার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। তাঁদের বিরুদ্ধে নানা তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে কোর্টে দাবি করে সিবিআই।

বহু অন্ধকার রেখেই দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়, আরজিকর মামলা কি হবে?

বহু অন্ধকার রেখেই দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়, আরজিকর মামলা কি হবে?


 Sat, January 18,2025


 আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয় রায়। সোমবার সাজা ঘোষণা। রায় ঘোষণার পরই সঞ্জয়ের দাবি,  ফাঁসানো হচ্ছে, কিছু করিনি ! কিন্তু বিচারক সোমবার তার কথা শুনবেন বলে জানিয়ে দেন। এখন অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন , তাহলে কি আর জি কর কাণ্ডের মামলা শেষ হয়ে গেল ?  কারণ, এখনও নির্যাতিতার পরিবারের মনে অনেক গুলি প্রশ্ন, যার উত্তর এখনও মেলেনি। আর জি আন্দোলনে আগাগোড়া যুক্তথাকা চিকিৎসকদেরও কারও কারও দাবি, একা সঞ্জয় নয়, আরও কেউ কেউ এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি আরজি মামলার মামলা বন্ধ হয়ে গেল ? 

না। এই মামলার দুটি দিক রয়েছে। প্রথমত, খুন ও ধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার জন্য গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায়কে। সমস্ত , তথ্যপ্রমাণ, ডিজিট্যাল এভিডেন্স ও মেডিক্যাল এভিডেন্স দেখে সিবিআই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, চিকিৎসক ধর্ষণকাণ্ডে অপরাধী সঞ্জয়ই। দীর্ঘ তদন্তের পর সিবিআই একমাত্র সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধেই চার্জগঠন করে। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপর সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। কিন্তু এখানেই আর জি কর কাণ্ডের খাতা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। 

এই মামলারও আরও একটি দিক হল, আরজি কর খুন ও ধর্ষণ মামলার তথ্যপ্রমাণ লোপ। যার জন্য গ্রেফতার করা হয় আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ত সন্দীপ ঘোষ ও  টালার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। তাঁদের বিরুদ্ধে নানা তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে কোর্টে দাবি করে সিবিআই। কিন্তু গ্রেফতারির ৯০ দিন পরও এই মামলায় সন্দীপ ও অভিজিতের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে না পারায় , তাঁদের জামিন হয়ে যায়। এখন এই মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে পারে সিবিআই।  

 

৯ই অগাস্ট আর জি কর হাসপাতালের বুকে, ঘটে যায় সেই ভয়ঙ্কর নারকীয় ঘটনা, চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন । ১৪ সেপ্টেম্বর, তথ্য়প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন OC অভিজিৎ মণ্ডলকে।  এরপর ১৩ ডিসেম্বর সন্দীপ এবং অভিজিতের গ্রেফতারির ৯০ দিনের মাথায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কিন্তু তারা তা দিতে পারায় দুজনকেই জামিন দেন বিচারক। 

এখন এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিলে , তথ্যপ্রমাণ লোপের অভিযোগে , ওই দুইজনের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।  তাই মামলাও এখানে শেষ হল না, তদন্তও এখানে শেষ হল না। 

Your Opinion

We hate spam as much as you do