স্বাস্থ্য শিবিরে ৪০জন শিশু সহ প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ যাদের অধিকাংশ মহিলা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানালেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা:সিদ্ধার্থ মুখার্জি এবং চেস্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা:দেবশুভ্র মণ্ডল।
লকডাউনে অনাহারক্লিষ্ট মায়ের গর্ভের শিশু দূর্বল, সন্দেশখালির প্রত্যন্ত গ্রামে স্টুডেন্ট হেল্থ হোমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরে পরীক্ষিত
newscopes.in নিজস্ব সংবাদদাতা:
বসিরহাট,১৭ জুলাই-আধপেটা, অনাহার থেকেই অপুষ্টিতে ভুগছে বানভাসি মহিলা, শিশুরা। যার কারণে রক্তাল্পতার শিকার অধিকাংশ মহিলা।ফলতঃ তাদের গর্ভে জন্ম নিচ্ছে যে সমস্ত শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই তারাও সঠিক ওজন নিয়ে ভূমিষ্ঠ হতে পারছে না।
স্বাস্থ্য শিবিরে ৪০জন শিশু সহ প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ যাদের অধিকাংশ মহিলা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানালেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা:সিদ্ধার্থ মুখার্জি এবং চেস্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা:দেবশুভ্র মণ্ডল।
শনিবার ইয়াস বিধ্বস্ত সন্দেশখালি-১নং ব্লকের ঘটিহারা নদীর কোল ঘেষা ভোলাখালির জনপদে ভেসে উঠলো এমনই নিদারুণ ছবি।যেখানে এদিন লোনা মাটিতে 'স্টুডেন্টস হেলথ হোম' বসিরহাট আঞ্চলিক কেন্দ্রের ব্যবস্হাপনায় বেলদার পাড়ায় স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়।
শিবিরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র শিবিরে আসা মানুষজনদের হাতে তুলে দেন 'স্টুডেন্টস হেলথ হোম' বসিরহাট কেন্দ্রের সম্পাদক অধ্যাপক হিরণকান্তি মুখার্জি,সতীনাথ ভট্টাচার্য,সন্টু কুমার মণ্ডল ও উজ্জ্বল ব্যানার্জি। এছাড়াও এদিন সূদুর কলকাতা থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'মানবিক'র পক্ষ থেকে বানভাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্টীলের বাসনপত্র।
পাশাপাশি বানভাসীদের দাবি অনুযায়ী'মানবিক'র অঙ্গীকার ঘটিহারা নদীর পাড় বরাবর প্রতিটি পরিবারের হাতে খুব শীঘ্রই তুলে দেওয়া হবে ১০ টি করে ম্যানগ্রোভের চারা।চারা রোপণের দায়িত্ব পালন করবেন ভোলাখালির বানভাসি মহিলারা।তাদের সংকল্প পূর্বাঞ্চলীয় ভারতকে রক্ষা করতে সুন্দরবনকে আরও সুন্দর করে তোলা।
করোনা সচেতনতা গড়ে তুলতে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন মানবিকের পক্ষে প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট অনুপ ভৌমিক, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। সুবিধা অসুবিধার কথা তুলে ধরে বানভাসীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মিনতি সর্দার।যিনি দাবি করলেন শক্তপোক্ত নদীবাঁধ।ঠিকমতো সংসার চলছে না।তাই সব হাতে কাজ।আমরা অনলাইন ভালো বুঝি না।সেই কারনে ঘরের ছেলে মেয়েরা পড়াশুনায় পিছিয়ে পড়ছে।সেই কারণে অবিলম্বে স্কুল খোলার দাবিও জানাতে তিনি ভুললেন না।উপস্থিত ছিলেন বাম নেতা সুভাষ সর্দার, প্রদ্যুত দাস মানবিকের পক্ষে আনন্দ সাউ,সঞ্জয় গুপ্তা অভিষেক ঘোষ,উত্তম কুন্ডু, বিজয় দেবনাথ অনুপম ব্রক্ষ্ম,ত্রিলোকি গুপ্তা।যারা 'বানভাসীদের পাশে দাঁড়ানোর সাথে সাথে এই লকডাউনের সময়কালে কলকাতার রাজপথে ৩৫-৪০ দিন ধরে ফুটপাতবাসীদের শুকনো খাবার বিলি করে আসছেন
We hate spam as much as you do