এখন রান্নার গ্যাস আর বিদ্যুৎ পরিষেবা ভালো থাকায় অনেকেই কেরোসিন বেচে দেন। রেশনের কেরোসিন তেল কিনতে পাড়ায় পাড়ায় দেখা যায় সাইকেলে বড় বড় প্লাস্টিকের ব্যারেল নিয়ে সওদা করতে।যার অধিকাংশই যুবক।জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দেয় চাষের কাজে এই তেল তারা ৪০-৪৫ টাকা লিটারে কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
৬০০০ লিটার বেআইনিভাবে মজুত কেরোসিন তেল বাজেয়াপ্ত
তৃণমূল কর্মীর গোডাউন থেকে জনবন্টন ব্যবস্হার(রেশনিং সিস্টেম)প্রায় ৬০০০ লিটার কেরোসিন তেল বাজেয়াপ্ত করলো ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।।যার বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা।দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে মজুত থাকা এই কেরোসিন বানিজ্যিকভাবে ব্যবহার আইন বিরুদ্ধ।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ডি ই বি'র আধিকারীকরা অভিযান চালায় বসিরহাট থানার দন্ডিরহাট এলাকায়।দেখা যায় তিনটি গোডাউনে বিপুল পরিমাণ কেরোসিন মজুত করে রাখা হয়েছে।ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী আবদুল রসিদ মণ্ডল বেপাত্তা।
বসিরহাট থানার দন্ডিরহাট অনন্তপুরে তিনটি গোডাউনে প্রায় ৬০০০ লিটার কেরোসিন তেল বেআইনিভাবে মজুত করা ছিল।জেলা দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা শুক্রবার রাতভর এই এলাকায় তল্লাশি চালায়।তিনটে গোডাউন সিল করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার লিটার কেরোসিন তেল। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪,লক্ষ টাকার কাছে।যদিও এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায় নি আবদুল রসিদ মণ্ডলকে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে মাস ছয়েক আগে অনন্তপুরের বাসিন্দা বেআইনি কেরোসিনের কারবারি তৃণমূল কর্মী আবদুল রসিদ মণ্ডলের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়।উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমানে মজুত করা কেরোসিন।বসিরহাট মহকুমা আদালতের তৃণমূল পন্হী জনৈক আইনজীবির মধ্যস্থতায় সে যাত্রায় রক্ষা পায় আবদুল রসিদ। সূত্রের খবর আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকায় সে পুলিশের।সাথে রফা করে নেয় এবং কারবার চালিয়ে যেতে থাকে।স্থানীয় মানুষের অভিযোগ সর্ষের ভিতরেই ভুত।তাই এখনো রসিদ অধরা। রসিদ বাড়িতে একটি মুদিখানার দোকানও চালায়।তার আড়ালেই এই বেআইনি কেরোসিনের কারবার বলে অভিযোগ স্হানীয়দের।
শুক্রবার এই বিপুল অঙ্কের কেরোসিন তেল উদ্ধার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শশুক্রবার এই বিপুল অঙ্কের কেরোসিন তেল উদ্ধার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।সাধারণ মানুষের করের টাকায় ভর্তুকিতে কেরোসিন তেল দেয় সরকার। সেই ভর্তুকিতে পাওয়া কেরোসিন তেল নিয়েই চলছে বেআইনি ব্যবসা।পুলিশ, প্রশাসন নীরব নিশ্চুপ। নীল কেরোসিন থেকে জাল পেট্রোল, ডিজেল। মহকুমায় বিস্তীর্ণ এলাকায় রমরমিয়ে চলছে এই বেআইনি কারবার। অভিযোগ, প্রশাসনের একাংশের মদতেই এ সব হচ্ছে।সরকারি ভর্তুকি যুদ্ধ যে নীল কেরোসিন তেল দেওয়া হয়, তা হাতিয়ে চলছে এই বেআইনি কারবার। নীল রঙের কেরোসিন তেলে নানা ধরনের কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জাল পেট্রোল ডিজেল এবং সেগুলি বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। যা ব্যবহার হচ্ছে কখনও সেচের কাজে যন্ত্র চালাতে, কখনও আবার মাছ ধরার ট্রলারে আবার ছোট্ট ছোট দু চাকা চার চাকার গাড়িতে।
কীভাবে তৈরি হয় এই জাল তেল ? প্রথমে নীল কেরোসিনের মধ্যে কেমিক্যাল মিশিয়ে সাদা করা হয়। তারপর ফের কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা হয় জাল পেট্রোল,ডিজেল।
এখন রান্নার গ্যাস আর বিদ্যুৎ পরিষেবা ভালো থাকায় অনেকেই কেরোসিন বেচে দেন। রেশনের কেরোসিন তেল কিনতে পাড়ায় পাড়ায় দেখা যায় সাইকেলে বড় বড় প্লাস্টিকের ব্যারেল নিয়ে সওদা করতে।যার অধিকাংশই যুবক।জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দেয় চাষের কাজে এই তেল তারা ৪০-৪৫ টাকা লিটারে কিনে নিয়ে যাচ্ছে।রেশনে কেরোসিন তেল পান অথচ ব্যবহার করেন না এমন বহু পরিবার এই তেল ঘরে জমিয়ে রাখেন।একসাথে অনেকটা হলে বিক্রি করে দেন ওই সমস্ত ক্রেতাদের কাছে।সূত্রের খবর এই সমস্ত সংগৃহিত কেরোসিন জমা করা হয় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর কাছে।এছাড়াও রেশন ডিলারদের কাছ থেকেও ওই সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক দামে কেরোসিন মজুত করে তাদের গোডাউনে।সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশেও পাচার করা হয় সরকারি ভর্তুকি যুক্ত কেরোসিন।মাঝে মাঝেই দেখা যায় বেসরকারি যাত্রীবাহী বাসে বহন করা হচ্ছে প্লাস্টিকের বড়ো বড়ো ব্যারেলে করোসিনের মতো দাহ্যবস্তু। আর দিনের পর দিন এসব চলতেই থাকে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে।
We hate spam as much as you do