সেলিম বলেন, মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা রোখা যায়নি কারণ পুলিশকে দিয়ে এর আগে ভোট লুট করিয়েছে তৃণমূল সরকার। পুলিশের এসপি, প্রাক্তন এসপি-কে ব্যবহার করা হয়েছে। এই পুলিশকে দিয়ে ধর্ষণ, দাঙ্গা আটকানো যায় না। জ্যোতি বসু বলেছিলেন সরকার না চাইলে দাঙ্গা হয় না। আজকে সরকার চাইছে বলে দাঙ্গা হচ্ছে।
ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ হোক গনতান্ত্রিক ভাবে, দাঙ্গাবাজদের দমন করা হোক - বললেন সেলিম
13 Apr 2025
শনিবার অশোকনগরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি মহম্মদ সেলিম। ছিলেন সিপিআই(এম) উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক পলাশ দাশও।
ওয়াকফ কেবল মুসলিমদের বিষয় নয়। এটি সাংবিধানিক বিষয়। কেন্দ্রের পদক্ষেপ সাংবিধানিক অধিকারের ওপর আঘাত। সব অংশের সাংবিধানিক অধিকারই আক্রান্ত। ফলে ওয়াকফ আন্দোলনে সব অংশকে যুক্ত করে করতে হবে। এই আন্দোলন বিষয় নয়।
শনিবার একথা বলেছেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য এবং রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ওয়াকফের এই আইনের বিরুদ্ধে আমরা সবাই। কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে হবে। মুর্শিদাবাদের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এখানে এমন শক্তি রয়েছে যারা বিজেপি-কে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। কারণ বিজেপি চাইছে ওয়াকফ আইন নিয়ে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিরোধ তৈরি করতে।
এদিন অশোকনগরে সিপিআই(এম)’র মহামিছিলের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সেলিম। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সংবিধানে যে কোনও ধর্মের মানুষ নিজের ধর্মপালন করতে পারে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারে। ওয়াকফ মুসলিমদের একটি ধর্ম সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা। কেন্দ্রের সরকার এই সম্পত্তিকে রিয়েল এস্টেট হিসেবে দেখছে। ন্যাশনাল মনিটাইজেশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই সম্পত্তি হস্তগত করার পরিকল্পনা করছে।
সেলিম বলেন, এ রাজ্যে গত কয়েক বছরে তৃণমূলের নেতারা বহু ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করেছে। আমরা সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দুর্নীতি বন্ধ করতে কেন্দ্র ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তার বদলে ওয়াকফ বন্দোবস্তকেই ভেঙে দিতে চাইছে। সাংবিধানিক একটি ব্যবস্থাকে এভাবে ভেঙে দিতে পারে না।
সেলিম বলেন, মুসলিমদেরও বুঝতে হবে যে এটা কোনও ধর্মযুদ্ধ নয়। এখানে সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। সব অংশের সাংবিধানিক অধিকারই আজ আক্রান্ত। ফলে সব অংশের মানুষকে নিয়েই সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার লড়াই করতে হবে। আমরা সেই লড়াইয়ে আছি।
সেলিম বলেন, মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা রোখা যায়নি কারণ পুলিশকে দিয়ে এর আগে ভোট লুট করিয়েছে তৃণমূল সরকার। পুলিশের এসপি, প্রাক্তন এসপি-কে ব্যবহার করা হয়েছে। এই পুলিশকে দিয়ে ধর্ষণ, দাঙ্গা আটকানো যায় না। জ্যোতি বসু বলেছিলেন সরকার না চাইলে দাঙ্গা হয় না। আজকে সরকার চাইছে বলে দাঙ্গা হচ্ছে।
তিনি এক প্রশ্নে বলেন, বিজেপি-তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করছে। উন্মত্ততা তৈরি করা হচ্ছে ধর্মের নামে। তারপর দাঙ্গায় নামানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, কেন মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলো? কারণ গত লোকসভা নির্বাচনেও বামপন্থীরা এবং কংগ্রেস সবচেয়ে ভালো ফল করেছে মুর্শিদাবাদে। ২০২৬’র নির্বাচনের আগে বাম এবং কংগ্রেসের ভোট ঘেঁটে দিতে চাইছে বিজেপি এবং তৃণমূল।
We hate spam as much as you do