ভরদুপুরে এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। এখানে হকারি করে সংসার চালান তাঁরা। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে হকারি করেন বলে দাবি তাঁদের। সেখানে এভাবে রুটিরুজি কেঁড়ে নিতে চাইলে প্রতিবাদ হবেই বলে সুর চড়ান হকাররা। আর রেলের অফিসাররা বলতে থাকেন, এভাবে রেলের জমি দখল করে হকারি করা যাবে না। দু’পক্ষের বাদানুবাদে তপ্ত হয়ে ওঠে বিরাটি স্টেশন। তখন রেল অবরোধ করেন হকাররা। তার জেরে দাঁড়িয়ে পড়ে হাবড়া লোকাল।
উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিরাটি স্টেশনে হকারদের তীব্র প্রতিরোধ রেল কতৃপক্ষ পিছু হটল
01 Dec 2024,
এই পরিস্থিতি দেখে রেলের অফিসাররা বারবার হকারদের রাস্তা ফাঁকা করার ঘোষণা করেন। কিন্তু সে ঘোষণায় কর্ণপাত করতে রাজি হননি বিক্ষোভকারী হকাররা। তাঁদের শক্তিবৃদ্ধি হয় রাজনৈতিক দলগুলির সংগঠন পাশে এসে দাঁড়ানোয়। হকারদের দাবি, এই দোকান চালিয়ে তাঁদের সংসার চলে। সেগুলি ভেঙে দেওয়া হলে সংসার চালানো সম্ভব হবে না।
কদিন ধরেই সমস্যা শুরু হয়েছিল। সর্বত্রই রেলের জমিতে বা প্ল্যাটফর্মে হকার বসে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে রেল সেই হকার উচ্ছেদ করতে চায় । তা নিয়ে কদিন ধরেই চাপানউতোর চলছিল। আজ রবিবার সেই হকার উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেল বিরাটি স্টেশনে। হকাররা নিজেদের অধিকার ছাড়তে নারাজ। আর রেলের অফিসাররাও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। এই আবহে আরপিএফ সঙ্গে নিয়ে অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন হকাররা। এমনকী উচ্ছেদের প্রতিবাদে রেল অবরোধ করেন তাঁরা।
ভরদুপুরে এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। এখানে হকারি করে সংসার চালান তাঁরা। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে হকারি করেন বলে দাবি তাঁদের। সেখানে এভাবে রুটিরুজি কেঁড়ে নিতে চাইলে প্রতিবাদ হবেই বলে সুর চড়ান হকাররা। আর রেলের অফিসাররা বলতে থাকেন, এভাবে রেলের জমি দখল করে হকারি করা যাবে না। দু’পক্ষের বাদানুবাদে তপ্ত হয়ে ওঠে বিরাটি স্টেশন। তখন রেল অবরোধ করেন হকাররা। তার জেরে দাঁড়িয়ে পড়ে হাবড়া লোকাল। হকারদের সঙ্গে প্রতিবাদ জানায় CITU রেল হকারস ইউনিয়ন সংগঠনগুলি। সাথে ছিল INTUC সহ অন্যান্য হকার সংগঠনগুলি। এর ফলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় বিরাটি স্টেশন চত্বরে।
রেল সূত্রে খবর, বিরাটি স্টেশনের পাশে হকার উচ্ছেদ করার জন্য আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নোটিশ হকাররা দেখেছিলেন। সুতরাং হকারদের নিজে থেকেই জায়গা ছেড়ে উঠে যাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন রেলের অফিসাররা। কিন্তু তা করতে তাঁদের দেখা যায়নি। বরং দখল করে রেখেছিলেন রেলের জায়গা। তাই আজ, রবিবার সেখানের দোকানগুলি ভাঙার কাজ শুরু হয়। সেটা দেখতে পেয়েই প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন হকাররা। পুলিশ অফিসারদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান হকাররা। তার পরও দোকান ভাঙার কাজ না থামলে বিরাটিতে স্টেশনে রেল অবরোধ করেন তাঁরা। তার জেরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়ে হাবড়া লোকাল।
এই পরিস্থিতি দেখে রেলের অফিসাররা বারবার হকারদের রাস্তা ফাঁকা করার ঘোষণা করেন। কিন্তু সে ঘোষণায় কর্ণপাত করতে রাজি হননি বিক্ষোভকারী হকাররা। বরং তাঁদের শক্তিবৃদ্ধি হয় শ্রমিক সংগঠনগুলি পাশে এসে দাঁড়ানোয়। হকারদের দাবি, এই দোকান চালিয়ে তাঁদের সংসার চলে। সেগুলি ভেঙে দেওয়া হলে সংসার চালানো সম্ভব হবে না। সংসার চলবে কী করে? এই প্রশ্নও তোলেন হকাররা। প্রতিবাদ যখন তুঙ্গে ওঠে তখন সেখানে পৌঁছয় জিআরপি। এখন বিক্ষোভকারী হকারদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ অফিসাররা। সেখানে মোতায়েন হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
কিন্তু হকারদের বিপুল প্রতিরোধের মুখে রেল প্রশাসন পিছু হটতে বাধ্য হয়। আগামী দিনে আইনী পথে এবং ব্যাপক আন্দোলনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের রেল স্টেশন বিক্রি করে হকার মারার এই ধারাবাহিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে আরো বেশি বেশি তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে রেল হকার দের পক্ষ থেকে চন্ডি সিংহ সহ অন্যান্যরা জানিয়েছেন।
We hate spam as much as you do