গ্রাম থেকে আসা পরিযায়ী পরিবারগুলোর সংখ্যা এই যমজ শহর দুটিতে হুহু করে বাড়ছে। প্রয়োজনীয় লোড না বাড়িয়েই হু হু করে একদিকে পণ্য সংস্থাগুলোর ব্যাপক বিদ্যুৎ ব্যবহার, অন্যদিকে কার্যত বাধ্য হয়ে আসা পরিযায়ী পরিবারগুলোকে ঘর-ভাড়া দেওয়ার সময়েও প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক লোড বাড়ানো হচ্ছেনা।
বারাসাত মধ্যমগ্রামে কয়েকঘন্টা তীব্র বৈদ্যুতিক সংকট
১৮ এপ্রিল ২০২৩
গতকাল ১৭ই এপ্রিল দুপুর থেকে দীর্ঘক্ষণ বারাসাত-মধ্যমগ্রামে বৈদ্যুতিক সংকটের পরিস্থিতি তৈরী হয়। এই পরিস্থিতিতে ভোল্টেজ খানিক নীচে নেমে যায় এবং বিভিন্ন ছোট ব্যবসায়ী সহ সমাজের নিম্নবিত্ত পল্লীগুলোতে জীবন-জীবিকা ব্যাহত হয়। আসলে পুঁজিবাদী পণ্য সংস্থাগুলোর খিদেয় রাস্তার উপরে মুড়ি-বাতাসার মতো গজিয়ে ওঠা শপিং মল,বিভিন্ন শোরুমে ব্যাপক বিদ্যুতের সরবরাহ হয়। গ্রীষ্মের দিনে প্রায় সারাদিন চলে শীততাপনিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা।
একই সাথে গ্রাম থেকে আসা পরিযায়ী পরিবারগুলোর সংখ্যা এই যমজ শহর দুটিতে হুহু করে বাড়ছে। প্রয়োজনীয় লোড না বাড়িয়েই হু হু করে একদিকে পণ্য সংস্থাগুলোর ব্যাপক বিদ্যুৎ ব্যবহার, অন্যদিকে কার্যত বাধ্য হয়ে আসা পরিযায়ী পরিবারগুলোকে ঘর-ভাড়া দেওয়ার সময়েও প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক লোড বাড়ানো হচ্ছেনা।
অত্যাধিক দাবদাহে অফিস-দোকান অথবা গৃহবন্দী মানুষ। বিদ্যুতের অতিরিক্ত যতটা সরবরাহ দরকার ততটা না পেয়ে এই ধরণের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের পরোক্ষ মদতে চলা সিন্ডিকেট বাহিনীর ডেকে আনা পণ্য সংস্থার ফ্রাঞ্চায়েজী গুলো অবিলম্বে বৈদ্যুতিক সংস্কার না করলে এই পরিস্থিতি বারবার ঘটতে থাকবে বলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস। আদৌ কি বৈদ্যুতিক সংস্কার হবে—দেখার অপেক্ষা...
We hate spam as much as you do