Tranding

12:16 PM - 01 Dec 2025

Category: Article
পুঁজিপতিদের সক্রিয় বিরোধীতা সত্ত্বেও মামদানির জয়, মধ‍্যবিত্ত গরীবের দাবীকেই প্রতিষ্ঠা করল

পুঁজিপতিদের সক্রিয় বিরোধীতা সত্ত্বেও মামদানির জয়, মধ‍্যবিত্ত গরীবের দাবীকেই প্রতিষ্ঠা করল

জেপি মরগান চেজের সিইও জেমি ডিমন পূর্বে ফরচুনকে বলেছিলেন যে মামদানি ‘সমাজতান্ত্রিকের চেয়ে বেশি মার্কসবাদী’। মামদানির জয়ের পর, ডিমন ৫ নভেম্বর সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য উন্মুক্ত। ডিমন বলেন, “যদি আমি এটিকে ফলপ্রসূ মনে করি, আমি এটি চালিয়ে যাব। যে কোনও মেয়র, যে কোনও গভর্নরকে সহায়তা করতে ইচ্ছুক।”

'বাম জনবাদীতা'র জোয়ার: ইসলামোফোবিয়া থেকে ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নতুন সময়

'বাম জনবাদীতা'র জোয়ার: ইসলামোফোবিয়া থেকে ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নতুন সময়

দুজনই তাদের (নিজ নিজ) প্রসঙ্গে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুকে চিহ্নিত করে আক্রমণ করেছেন—মামদানি স্থানীয় কর্পোরেট-রাজনৈতিক জোট এবং ইসলামোফোবিয়াকে, রাহুল গান্ধী জাতীয় স্তরের ক্রোনি ক্যাপিটালিজম এবং একটি শক্তিশালী নির্বাচনী যন্ত্রকে। মামদানি ইসলামোফোবিয়ার মতো সাংস্কৃতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়েছেন, রাহুল লড়ছেন বর্ণভিত্তিক নিপীড়ন এবং অর্থনৈতিক লুটেরার বিরুদ্ধে। দুজনই মুফের বহুমাত্রিক 'জনগণ'-এর ধারণাকে সক্রিয় করেছেন। দুজনেরই 'অন্য' পক্ষ খুবই স্পষ্ট এবং মূর্ত—মামদানির ক্ষেত্রে যা স্থানীয় ক্ষমতার কাঠামো ও ইহুদিবাদী লবি, রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে সেটাই আদানি গোষ্ঠী ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও আরএসএস।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ড: ৪১ বছর পর

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ড: ৪১ বছর পর

ইন্দিরা গান্ধীর জীবনীকার ইন্দর মালহোত্রা বলছেন, গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে মিসেস গান্ধীর ওপরে এরকম একটা হামলা হতে পারে। তারা সুপারিশ পাঠিয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রীর আবাস থেকে সব শিখ নিরাপত্তা-কর্মীদের যেন সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই ফাইল যখন ইন্দিরা গান্ধীর টেবিলে পৌঁছায়, তখন ভীষণ রেগে গিয়ে তিনি নোট লিখেছিলেন, "আরন্ট উই সেকুলার?" অর্থাৎ, "আমরা না ধর্মনিরপেক্ষ দেশ?" এরপরে ঠিক করা হয়েছিল যে একসঙ্গে দু'জন শিখ নিরাপত্তা-কর্মীকে প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি ডিউটি দেওয়া হবে না। ৩১শে অক্টোবর সতবন্ত সিং বলেছিল যে তার পেট খারাপ। তাই তাকে শৌচালয়ের কাছাকাছি যেন ডিউটি দেওয়া হয়। এইভাবেই বিয়ন্ত আর সতবন্ত সিংকে একই জায়গায় ডিউটি দেওয়া হয়েছিল।

"আমাদের কোনো রাজা নেই" - বিক্ষোভে উত্তাল ট্রাম্প প্রশাসন

"আমাদের কোনো রাজা নেই" - বিক্ষোভে উত্তাল ট্রাম্প প্রশাসন

রিপাবলিকান পার্টি হয়ে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের স্লোগান ছিল "আমেরিকা ফাস্ট" অর্থাৎ আমেরিকার স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দেবেন, আমেরিকা ফাস্ট স্লোগানটা বহু পুরনো, ১৯৩০ দশকে এক গুরুত্বপূর্ণ মত ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জড়ানোর বিরুদ্ধে এরা মনে করতেন অন্য দেশের মার্কিন দাদাগিরির জন্য যে বিপুল অর্থ খরচ হয় তা দেশের কল্যাণে কাজে লাগুক। বহু বছর পর ট্রাম্প এই উক্তি ব্যবহার করেন। কিন্তু ক্ষমতা পেয়েই ট্রাম্পের আসল চেহারা দেখা গেল ১৫ই অক্টোবর সিএনএন থেকে এক প্রতিবেদনের শিরোনাম হয়, নিজেকে বিশ্বগুরু প্রমাণ করার জন্য ট্রাম্পের কাছে "আমেরিকা ফাস্ট" এখন "ট্রাম্প ফাস্ট"

বাম শাসিত কেরল স্বাধীন ভারতে প্রথম চরম দারিদ্রমুক্ত রাজ্য, ঘোষনা ১লা নভেম্বর

বাম শাসিত কেরল স্বাধীন ভারতে প্রথম চরম দারিদ্রমুক্ত রাজ্য, ঘোষনা ১লা নভেম্বর

রাজ্যকে দারিদ্রমুক্ত করতে পিনারাই বিজয়নের সরকার ‘এক্সট্রিম পভার্টি ইরাডিকেশন প্রজেক্ট’ (ইপিইপি) চালু করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুঃস্থ পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা করাই মূল লক্ষ্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুঃস্থ পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করতে তৃণমূল স্তর থেকে সমীক্ষা শুরু করে রাজ্য সরকার। কেরলকে চরম দারিদ্রসীমামুক্ত করতে নানা পদক্ষেপ করা হয়। ইপিইপি প্রকল্পের মূল লক্ষ্য, রাজ্যে কেউ যেন চরম দারিদ্রসীমার নীচে না থাকেন।

পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাষার কারনে চুড়ান্ত হয়রানি, কেন এত শ্রমিক?  সমীক্ষা কি বলছে?

পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাষার কারনে চুড়ান্ত হয়রানি, কেন এত শ্রমিক? সমীক্ষা কি বলছে?

এই ধরনের পরিযায়ী অবস্থা ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষায় প্রভাব ফেলছে দেখা গেছে ৬০.২৩% পরিযায়ী শ্রমিক তারা পরিযায়ী হওয়ার আগে আগে পর্যন্ত ছাত্র ছিল এর থেকে বোঝা যায় পশ্চিমবাংলায় উচ্চশিক্ষা থেকে বিশাল সংখ্যক ড্রপ আউটের কারণ l এই পরিযায়ী শ্রমিক ৫১℅ বেশি যারা এই প্রশ্নোত্তরে সাড়া দিয়েছে তারা মূলত দশম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।

এইসময়কালে দেশজুড়ে রাহুল গান্ধীর জনযাত্রার আলোড়ন ও গনমাধ‍্যমের অবহেলা

এইসময়কালে দেশজুড়ে রাহুল গান্ধীর জনযাত্রার আলোড়ন ও গনমাধ‍্যমের অবহেলা

এই যাত্রা রাহুল গান্ধীকে আসল ভারতকে চিনতে সাহায্য করল এইরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে যখন গোটা ভারতবর্ষে একটা অত্যন্ত শক্তিশালী সামাজিক বৈষম্যবাদ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। যখন রাহুল গান্ধীর নিজেদের পারিবারিক ঐতিহ্যকে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং ব্যক্তিগতভাবে রাহুল বিরোধী প্রচারের সমস্ত কর্পোরেট মিডিয়া সংগঠিতভাবে নেমে পড়েছে তখন তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন একজন নেতা হিসেবে। ভারতীয় বর্ণ ব্যবস্থা, কৃষি পরিস্থিতি, এবং শ্রমজীবী ​​মানুষের মধ্যে ভারতীয় শিক্ষার অবস্থা বোঝার মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করা ছাড়া তাঁর আর কোনও উপায় ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী, মূখ্যমন্ত্রীকে পদচ‍্যুত করার সংশোধনী কি গনতন্ত্রের বিপদ ডেকে আনবে?

প্রধানমন্ত্রী, মূখ্যমন্ত্রীকে পদচ‍্যুত করার সংশোধনী কি গনতন্ত্রের বিপদ ডেকে আনবে?

এবার বিলটিকে মধ্যযুগীয় বলে তুলোধোনা করলেন রাহুল গান্ধী । লোকসভায় তিনি বলেন, "আমরা আসলে মধ্যযুগে ফিরে গিয়েছি, যখন রাজা নিজে ইচ্ছামতো কাউকে সরিয়ে দিতে পারতেন। কারোওর মুখটা পছন্দ না হলে তাকে ইডি দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে দিতে পারেন। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ব্যক্তিকে ৩০ দিনের মধ্যে ছুড়ে ফেলে দিতে পারেন।" কালো টিশার্ট পরে রাহুলের মত, যারা সংবিধানকে হত্যা করছে আর যারা রক্ষা করছে-দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে।

RSS প্রধান যা বলছেন তার অর্থ তিনি বোঝেন?

RSS প্রধান যা বলছেন তার অর্থ তিনি বোঝেন?

আমাদের মনে আছে ২০১৮ সালে বিজ্ঞান ভবনে ভগবতের বক্তব্য শুনে অনেকেই বলেছিলেন বিশেষ করে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যে আরএসএস এর পরিবর্তন ঘটছে একজন আরএসএস অভ্যন্তরীণ কর্মী মন্তব্য করেছিলেন যে সংঘ ক্রমশ গ্লাস নষ্টের রাস্তায় যাচ্ছে। কিন্তু আমরা দেখলাম যে যত সময় গেছে তত আরএসএস তার মূল আগেন্ডার বিভেদমূলক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করছে, যা ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।

কমরেড ভি এস অচ‍্যুতানন্দন আপোষহীন সংগ্রামের দীর্ঘ  রাজনৈতিক জীবনের বার্তা

কমরেড ভি এস অচ‍্যুতানন্দন আপোষহীন সংগ্রামের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বার্তা

তাঁর পরিবেশবাদ কেবল স্লোগান নয়, বরং কেরালার বাস্তুতন্ত্র এবং দরিদ্রদের জীবিকার প্রতি উদ্বেগ থেকেই উদ্ভূত হয়েছিল। ১৯৯০ এবং ২০০০ এর দশকে, ভিএস একজন শক্তিশালী জননেতা হিসেবে পরিচিত হন এবং তিনবার বিরোধী দলের নেতা হন। তিনি জমি দখল, লটারি মাফিয়া এবং প্লাচিমাডায় কোকা-কোলার মতো প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান, যা স্থানীয় জলের উৎসগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।

যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে  কি প্রভাব ফেলতে পারে। 'স্ট্রেট অফ হরমুজ়’ বন্ধ?

যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কি প্রভাব ফেলতে পারে। 'স্ট্রেট অফ হরমুজ়’ বন্ধ?

ভারতের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। বার্ষিক আমদানির এক-তৃতীয়াংশের বেশি আসে এই পথেই। বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের রপ্তানির তালিকায় উপরের দিকে থাকা সৌদি আরব-ইরান-ইরাক-কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশের উৎপাদিত তেলের রপ্তানির প্রধানতম রুট এটিই। কাতার-সহ আরও একাধিক দেশে উৎপাদিত লিক্যুইফায়েড ন্যাচারাল গ্যাসও (এলএনজি) প্রধানত এই প্রণালী দিয়েই চলাচল করে। এখন ঝিকে মেরে বৌকে শেখানোর মতো বাকি বিশ্বকে টাইট দিতে ইরান যদি হরমুজ় প্রণালী দিয়ে জ্বালানি ও পণ্যবাহী কন্টেনার চলাচল বন্ধ করে দেয়, সেক্ষেত্রে সাপ্লাই লাইন ‘চোক’ করে যাওয়ায় গোটা বিশ্বে জ্বালানি সঙ্কট অনিবার্য। যা অপরিশোধিত তেলের দরকে পৌঁছে দিতে পারে ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারের ও-পারে। এই কয়েক সপ্তাহআগেও যা ৬৫-৬৮ ডলারের আশেপাশে ছিল।

পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলা, ঘৃণাভাষনের প্রসার - বিদেশে ভারতীয় প্রতিনিধিদল

পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলা, ঘৃণাভাষনের প্রসার - বিদেশে ভারতীয় প্রতিনিধিদল

প্রাক্তন কূটনীতিক থারুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বলেন যে, "যদিও পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে বিভক্ত করা, বিপরীতে এটি ভারতে মানুষকে ঐক‍্যবদ্ধ করেছে, তাদের ধর্ম বা অন্য কোনও বিভেদ নির্বিশেষের একতা ... ধর্মীয় এবং অন্যান্য বিভেদকে ভেঙে অসাধারণ পরিমাণে ঐক্যবদ্ধতা ছিল যা মানুষ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বার্তাটি খুব স্পষ্ট যে একটি খারাপ উদ্দেশ্য ছিল... "।

নববর্ষ ও তার কৃষি ভাবনা

নববর্ষ ও তার কৃষি ভাবনা

সুকুমার সেন দোলের কথা প্রবন্ধে তার উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন বাঙ্গালীর দুই সর্বজনীন উৎসব দুর্গাপূজা এবং দোলের উৎসবের কথা। শ্রী চৈতন্যের পূর্বে শ্রী কৃষ্ণের দোল যাত্রা বলে কোন ধর্মানুষ্ঠান বঙ্গদেশে ছিল না। যে দিন তিনি জন্মে ছিলেন সেদিন ছিল ফাল্গুনী পূর্ণিমা এবং চন্দ্র গ্রহণ লেগেছিল। তাই নবদ্বীপ জুড়ে হরি ধ্বনি, শঙ্খ- ঘণ্টার শব্দে দলে দলে মানুষ গঙ্গা - স্নানে গিয়েছিল। সেখানে থেকেই দোলের আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্যের শুরু। তবে প্রাচীন জনজাতির বসন্ত উৎসবে ধর্মের ছোঁয়া ছিলনা। Shifting cultivation বা পাতা চাষ - ঝুমচাষ প্রভৃতির ক্ষেত্র প্রস্তুতির জন্যে শুকনো পাতা, ডাল পালায় আগুন দিয়ে ছাই ভষ্ম মাটির সাথে মিশিয়ে শস্য ক্ষেত্র প্রস্তুত হত।

সম্প্রীতির বঙ্গাব্দ! এ সময় সাম্প্রদায়িকতার বিষে বিপন্ন!

সম্প্রীতির বঙ্গাব্দ! এ সময় সাম্প্রদায়িকতার বিষে বিপন্ন!

বিবিধের মাঝে মিলন মহানের দেশ ভারতবর্ষে তাই স্বাধীন মত প্রকাশের পরিসরে আপন ছন্দে উদযাপিত হোক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।

ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪, অন‍্য সংখ‍্যালঘু সম্পত্তির ক্ষেত্রেও একই সম্ভাবনা

ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪, অন‍্য সংখ‍্যালঘু সম্পত্তির ক্ষেত্রেও একই সম্ভাবনা

বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন যে এর পরে অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সম্পত্তি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। তার এই বক্তব্যের প্রমাণ হিসেবে তিনি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবেই উল্লেখ করেন বিলটি পাস হওয়ার পরপরই, আরএসএস মুখপত্র অর্গানাইজার ক্যাথলিক চার্চের সম্পত্তি সম্পর্কে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। যদিও তারা অবিলম্বে প্রবন্ধটি পরে প্রত্যাহার করে নেয়,যদিও এই প্রবন্ধের বক্তব্য অত‍্যন্ত জোর এবং স্পষ্ট ছিল।

Jio - Starlink  চুক্তি, প্রশ্নের মুখে দেশের অভ‍্যন্তরীন নিরাপত্তা ও বিপুল গ্রাহক খরচ মাসিক প্রায় ৪৭০০০? বিরোধীতায় CPI(M)

Jio - Starlink চুক্তি, প্রশ্নের মুখে দেশের অভ‍্যন্তরীন নিরাপত্তা ও বিপুল গ্রাহক খরচ মাসিক প্রায় ৪৭০০০? বিরোধীতায় CPI(M)

বিশ্বের বৃহত্তম ধনী এলন মাস্কের সংস্থা আমেরিকার ‘স্টারলিঙ্ক’-র সঙ্গে ভারতের দুই টেলিকম কর্পোরেট রিলায়েন্স জিও এবং এয়ারটেলের চুক্তির খবর প্রকাশিত হয়েছে। দুই সংস্থার তরফে এমন দাবি জানানো হয়েছে। ভারতে টেলিকম নিয়ামক প্রতিষ্ঠান ‘ট্রাই’ যদিও ‘স্টারলিঙ্ক’-র প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। অতীতে রিলায়েন্সে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল। তবে কর্পোরেটের চাপে অবস্থান বদলানোর আশঙ্কা যথেষ্ট।

২০২৫ এ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ভারতে শ্রমজীবী মহিলারা কেমন আছেন?

২০২৫ এ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ভারতে শ্রমজীবী মহিলারা কেমন আছেন?

বহু আন্দোলনের পরেও একই কাজে পুরুষদের সমান বেতন পান না মেয়েরা। স্যালারি ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে মেয়েরা পুরুষদের থেকে ২৮ শতাংশ বেতন কম পান। এমনকি, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র, যা অনেকটাই প্রগতিশীল বলে ধরা হয়, সেখানেও এই ফারাক প্রায় ২৬ শতাংশ। আর অংসগঠিত ক্ষেত্রে এই বৈষম্য আরও বেশি। সেখানে পুরুষ কর্মীদের চেয়ে মেয়েরা কার্যত অর্ধেক মজুরি পান বলে অভিযোগ। আবার, জরুরি এবং সামাজিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ‘স্বেচ্ছাকর্মী’ হিসেবে নামমাত্র সাম্মানিক পান অঙ্গনওয়াড়ি, মিড-ডে মিল কর্মী, আশাকর্মীরা।

মাতৃভাষার অধিকার এবং ভারতবর্ষ নিয়ে কিছু কথা!

মাতৃভাষার অধিকার এবং ভারতবর্ষ নিয়ে কিছু কথা!

২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতিতে মাতৃভাষায় স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে। আপাত ভাবে, প্রগতিশীল শোনালেও এক্ষেত্রে শিক্ষণ পদ্ধতি এবং পরিকাঠামো প্রশ্নের বাইরে নয়। দ্বিতীয়তঃ এক্ষেত্রেও তিন ভাষা নীতি কেই গ্রহণ করা হয়েছে। বিপন্ন ভাষা গুলোতে শিক্ষা দানের ব্যবস্থা এক্ষেত্রে প্রশ্নের মুখে। এছাড়াও সংস্কৃতের মত ভাষা যা আজ কোনো মানুষেরই মাতৃভাষা নেই তাকে মূলধারার পাঠক্রমে অধিক গুরুত্ব আরোপ আগ্রাসনবাদী গৈরিকি করণের নীতি কেই সামনে আনে।

Red Book Day ও একটি চিন্তার সংগ্রাম

Red Book Day ও একটি চিন্তার সংগ্রাম

Red Book Day হলো কমিউনিস্ট ইশতেহার প্রকাশের বার্ষিকী । বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের মাতৃভাষা হলো শ্রেণী সংগ্রামের ভাষা। Red Book Dayকে মাতৃভাষা দিবসের সাথে যুক্ত করা উচিত এই অর্থে যে লেখালেখি এবং পড়ার শ্রেণী রাজনীতি উদযাপনের দিন। উভয়ই ক্ষমতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের স্মারক এবং জোর, উভয়ই জনপ্রিয় প্রতিরোধের ইতিহাসে প্রোথিত, উভয়ই আশা, সম্মিলিত জীবন এবং সংহতির বার্তা বহন করে, উভয়ই আন্তর্জাতিক।

রজতজয়ন্তী বর্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস লড়াইয়ের ৭২ বছর

রজতজয়ন্তী বর্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস লড়াইয়ের ৭২ বছর

এই বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী। ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের লক্ষ্য হলো 'বিপন্ন ভাষা রক্ষা এবং মানুষের ভাষাগত অধিকারকে সম্মান করার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া'। শিক্ষামূলক কর্মসূচি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মাতৃভাষা নিয়ে আলোচনা ইত্যাদি নানান অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালন করা হবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

মহাকুম্ভ '১৪৪ বছর' বিরল ঐতিহ্য? নাকি শুধুই রাজনৈতিক প্রচার! কি বলছে তথ‍্য

মহাকুম্ভ '১৪৪ বছর' বিরল ঐতিহ্য? নাকি শুধুই রাজনৈতিক প্রচার! কি বলছে তথ‍্য

২০১৩ সালের কুম্ভ মেলার CAG-এর পারফরম্যান্স অডিটও বলছে সেই বছর ১৪ জানুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত ৫৫ দিন অনুষ্ঠিত হয়েছিল মহাকুম্ভ মেলা। CAG রিপোর্টে বলা হয়েছে, "মহাকুম্ভ মেলা প্রতি ১৪৪ বছরে, পূর্ণ কুম্ভ মেলা প্রতি ১২ বছরে, অর্ধ কুম্ভ মেলা প্রতি ৬ বছরে এবং গঙ্গা নদী ও তার উপনদী যমুনার তীরে প্রতি বছর মাঘ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।”

বাজেট 2025-26 ! শুধুমাত্র আয়কর হ্রাস করেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা যাবে না

বাজেট 2025-26 ! শুধুমাত্র আয়কর হ্রাস করেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা যাবে না

যা প্রকৃতপক্ষে চাহিদা বাড়াত তা হল – কৃষি ও অকৃষি শ্রমিক, শিল্প শ্রমিক ও কর্মচারীদের মজুরি বৃদ্ধি; C2+50% স্তরে বিভিন্ন পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধি করা (2006 সালে এমএস স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এবং 2014 সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রচারে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী) ; ভারতীয় বাজারকে আমদানি থেকে রক্ষা করা, যাতে শিল্প, বিশেষ করে MSME (মাঝারি, ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগ) সেক্টর ইউনিটগুলি বিকাশ লাভ করতে পারে; সরকারী খাতকে রক্ষা করা যা আরও কর্মসংস্থান এবং ভাল মজুরি দিতে পারে ; এবং প্রধান খাতে সরকারি ব্যয় না কমিয়ে সম্প্রসারণ করা, যেমন পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদির ফলে পারিবারিক বাজেটের উপর ক্রমবর্ধমান বোঝা হ্রাস করা।

পরিবেশের ভারসাম্যহীণতাই লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়ংকর দাবানলের কারন

পরিবেশের ভারসাম্যহীণতাই লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়ংকর দাবানলের কারন

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়ায় খরা, প্রবল বাতাস এবং জল সংকটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। তবে এর প্রকোপ গত এক দশকে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। অঙ্গরাজ্যের বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩২ সালের পর থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার ১০টি বৃহত্তম দাবানলের মধ্যে ৯টি ঘটেছে গত দশকে। এর আর্থিক প্রভাবও বড় ধরনের, যেমন ২০১৯ সালে জাতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পিজি অ্যান্ড ইর দেউলিয়া হয়ে যাওয়া।

HMPV নতুন ভাইরাস নয়। সতর্ক থাকুন ,আতঙ্কিত নয়, গুজবে কান দেবেন না

HMPV নতুন ভাইরাস নয়। সতর্ক থাকুন ,আতঙ্কিত নয়, গুজবে কান দেবেন না

HMVP সংক্রমণের লক্ষণগুলি কি কি? ফি বছরের পাত্তা না পাওয়া অতি সাধারণ ফ্লু-এর মতই কার্যত HMVP র রোগ লক্ষণ - ১) নাক দিয়ে জল পড়া, ২) গলা বসে যাওয়া, ৩) কাশি, ৪) হ্রস্ব শ্বাস, ৫) জ্বর, এবং ৬) গা-ময় আমবাত ইত্যাদি। মনে রাখা ভাল সাধারণ ভাবে ৫ বছরের কম ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরাই এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং শরীরে একবার এই ভাইরাসের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দিন তিনেক, খুব বেশি হলে হপ্তা খানেক পার হতে না হতেই নিজে থেকেই এরা কেটে পড়ে; পরিভাষায় যে ঘটনার গালভরা নাম শেডিং। তবে সমস্যা হয় তাদের নিয়েই বেশি, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা - বিভিন্ন অটো-ইমিউনড্ ডিজিজ, হাঁপানি, সিওপিডি বা এতদৃশ নানা রোগের কারনে সাধারণের তুলনায় অনেক খানি কম। এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে শ্বাসনালীর ওপরের অংশের (Upper Respiratory Tract) থেকে খুব দ্রুত নিচের অংশে ফুসফুসের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার একটা আশঙ্কা থেকে যায়। একমাত্র সেক্ষেত্রেই নিউমোনিয়া জাতীয় লক্ষণ রোগীকে বেশ কাবু করে ফেলতে পারে। তবে এ রোগে মারা যাওয়ার ঘটনা খুবই বিরল।

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও গবুচন্দ্র মন্ত্রীর হুঙ্কার

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও গবুচন্দ্র মন্ত্রীর হুঙ্কার

বিশ্ব উশ্নায়ন সম্পর্কিত উপরোক্ত কারণগুলিতে আর্কটিক অঞ্চলে জাহাজের চলাচল বিগত এক দশকে প্রায় ৩৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। বরফের স্তর যত কমবে তত খুলে যাবে বাণিজ্যের রাস্তা। সমস্ত ব্যাপারটাই একটি ফিডব্যাক লুপ বা ভিসিয়াস সাইকেলের মতো কাজ করছে। যত গলবে বরফ তত বাড়বে বাণিজ্য পথে যাতায়াত। তত আরও কমবে বরফের স্তর। বাণিজ্য পথে জাহাজ চলাচল আরও ভয়ানক বিপর্যয় ডেকে আনছে। বেশিরভাগ জাহাজের নকশাই আর্কটিকের উপযুক্ত নয়। ফলতই তেল এবং বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক আর্কটিকে ছড়িয়ে পড়ছে, মিশে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে আর্কটিক এর বাণিজ্যপথেও পরিবর্তন হচ্ছে।

প্লাস্টিক দূষণ রোধে INC 5 সম্মেলনের ফলাফল

প্লাস্টিক দূষণ রোধে INC 5 সম্মেলনের ফলাফল

কিন্তু একটি ব্যাপার ভুলে গেলে চলবে না যে প্লাস্টিক রিসাইকেল করা খুব একটা সহজসাধ্য কাজ নয়। আমরা রোজ সকালে যে মাজন দিয়ে দাঁত মাজি, তাঁর প্লাস্টিক টিউব কোথায় যায় তা আমরা জানি না। নিজেদের সুবিধার জন্য আমরা যে কত ভাবে দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার করি তা আমরা নিজেরাই বোধহয় অনুধাবন করতে পারি না। এখন আমাদের গায়ে মাখার সাবান, হাত ধোয়ার, কাপড় কাচার সাবানও আসে প্লাস্টিকের সুন্দর সুন্দর বোতলে। কেউ আমরা কখনও ভেবে দেখিনি কোথায় শেষ পর্যন্ত যায় এই বোতলগুলি।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুতিতে চরম উদ্বেগ! আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে মূল বিষয়

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুতিতে চরম উদ্বেগ! আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে মূল বিষয়

২০২৪ সালের গ্লোবাল রিপোর্ট অনুযায়ী,২০২৩ সালের শেষ নাগাদ অন্তত ৬.৬ মিলিয়ন মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।এই সংখ্যাটি মূলত বন্যা, ঝড়, খরা, এবং অগ্নিকাণ্ডের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এতে অন্তত ২০.৩ মিলিয়ন মানুষ স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও ১.১ মিলিয়ন মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে,যদিও সেগুলো সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়,যেমন ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ।

নভেম্বর বিপ্লবের শিক্ষা ও আজকের সময়

নভেম্বর বিপ্লবের শিক্ষা ও আজকের সময়

নভেম্বর বিপ্লবই প্রথম এই আলো এবং অন্ধকারে থাকা সব মানুষকেই সম মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করবার পথ দেখিয়েছিল। শোষণ বঞ্চনা কে এড়িয়ে সব মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারে একটা রাষ্ট্র, তা এর আগে কেউ করে দেখায়নি যা সোভিয়েত ইউনিয়ন পেরেছিল। একটা দেশের সমাজ ব্যবস্থার বদল দুনিয়ার মুক্তিকামী মানুষকে শেকল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসার সাহস জুগিয়েছে। যেহেতু শুধু ভারতবর্ষে নয়, শোষণ, বঞ্চনা, বৈশম্য সারা দুনিয়া জুড়ে বাড়ছে, তাই নভেম্বর বিপ্লব আজও প্রাসঙ্গিক। এই অসম ব্যবস্থা বদলের স্পর্ধা প্রকাশ পায় নভেম্বর বিপ্লবের অনুপ্রেরণায়।

'এক জাতি,এক নির্বাচন ' ভাবনা ভারতের গনপরিষদের চিন্তার পরিপন্থী

'এক জাতি,এক নির্বাচন ' ভাবনা ভারতের গনপরিষদের চিন্তার পরিপন্থী

যে কোন সময় উপ-নির্বাচন হতে পারে সেই পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি গভীরভাবে সচেতন ছিলেন, তাই তিনি যোগ করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন, “পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হতে পারে। ফলস্বরূপ, ভোটার তালিকা সর্বদা আপ টু ডেট রাখতে হবে যাতে কোনও অসুবিধা ছাড়াই নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ট্রাম ফিরে আসুক শুধু ঐতিহ্য নয় দূষণ মুক্তি থেকে কম খরচ, যানজট হবে না

ট্রাম ফিরে আসুক শুধু ঐতিহ্য নয় দূষণ মুক্তি থেকে কম খরচ, যানজট হবে না

শুধুই কি ঐতিহ্য-নস্টালজিয়া-আবেগের মধ্যে আটকে থাকবে ট্রাম? নাকি কলকাতার ভবিষ্যতও হতে পারত এই গণপরিবহণ? বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব ঝুঁকছে ইলেকট্রিক ভেহিকল বা বৈদ্যুতিন যানের দিকে। নিত্যনতুন বৈদ্যুতিন বাস, গাড়ি, মোটরবাইক, স্কুটার আসছে বাজারে। আর এই সময়েই বিশ্বের অন্যতম দক্ষ এবং পরিবেশবান্ধব গণপরিবহনের মাধ্যমকে বিদায় জানান হল।

বিদ্যাসাগর : নারীর অধিকার ও সমাজ  সংস্কারের অক্ষয় মনুষ্যত্ব

বিদ্যাসাগর : নারীর অধিকার ও সমাজ সংস্কারের অক্ষয় মনুষ্যত্ব

বিধবাদের, বিশেষ করে বাল্য বিধবাদের, সমস্যার সমাধান এনেছিলেন বিদ্যাসাগর বহু শাস্ত্র ঘেঁটে। অবশেষে বিদ্যাসাগর আবিষ্কার করেছিলেন পরাশরের বিধান। এই বিধানে স্বামী মারা গেলে বিধবাদের সামনে তিনটি পথ খোলা থাকে; পুনঃবিবাহ, ব্রহ্মচারিত্ব, স্বামী সহগমন বা সতীদাহ। সতীদাহ যেহেতু তখন আইন বহির্ভূত হয়ে গেছে রামমোহনের নেতৃত্বে আন্দোলনের ফলে, তিনি বিধবাদের ওপর রামমোহনের মতো ব্রহ্মাচারীর জীবন চাপিয়ে দেন না। তিনি রামমোহনের মতো কেবল প্রাণ নয়, রক্তমাংসে গড়া স্বাভাবিক প্রবৃত্তির মানুষের মতো জীবন দিতে চেয়েছেন বিধবাদের। ফলে বহু কষ্টে বিধবা বিবাহ আইন পাস করিয়ে এইসব বিধবা মেয়েদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের পথ খুলে দেন তিনি। আর সেটা করলেন তিনি যুক্তি বা আইনের ভয় দেখিয়ে নয়। ধর্মীয় শাস্ত্র ঘেঁটেই প্রমাণ করলেন যে, বিধবা বিবাহ শাস্ত্রসম্মত।

৫০ বছর পরিচিত একজন কমরেডকে আমি কীভাবে বিদায় জানাব ?  

৫০ বছর পরিচিত একজন কমরেডকে আমি কীভাবে বিদায় জানাব ?  

আমাদের ছাত্রজীবন যখন শেষ হয়ে আসছিল, তখন স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে বেরিয়ে আসা প্রবীণ প্রজন্মের পার্টি নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে পার্টিকে তার ভবিষ্যত নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। প্রকাশ কারাট এবং সীতারাম ইয়েচুরি ১৯৮৪ সালে অষ্টম পার্টি কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় কমিটিতে এবং পরে দলের পলিটব্যুরোতে উন্নীত হন। এই পদক্ষেপ স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতাদের এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র স্থাপন করেছিল।

বাংলাদেশের হিংসার খবর কিছু সত্যি কিছু গুজব: অনিন্দ্য বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়

বাংলাদেশের হিংসার খবর কিছু সত্যি কিছু গুজব: অনিন্দ্য বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়

মঙ্গলবার অনেক দিন পরে অফিসে গিয়েছিলাম। কাজ হয়তো সে ভাবে হয়নি। কিন্তু যাতায়াতে খুব সমস্যা হয়নি। দেশে এখনও কার্ফু আছে। অন্তর্বতী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। আশা, খুব তাড়াতাড়ি প্রশাসনিক পরিষেবাও চালু হবে। তখন হয়তো এই অবাঞ্ছিত, অনভিপ্রেত ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এত অশান্তির মধ্যেও ইতিবাচক দিক, দেশের যান নিয়ন্ত্রণে পথে নেমেছে ছাত্রদল

দেশের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল মোদি ৩.০ সরকারের বাজেট?

দেশের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল মোদি ৩.০ সরকারের বাজেট?

স্বাভাবিক ভাবেই এই বাজেটের অ্যাজেন্ডায় কর্মসংস্থান তৈরির ব্যাপারটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। যদিও নির্মলা সীতারমন একবারও MNREGA প্রকল্পের নাম এদিনের বাজেট ভাষণে নেননি। তবে কার্যত স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন, দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে গরিব মানুষের অনেকটাই সহায়তা করেছে এই প্রকল্পই। যদিও কংগ্রেসের কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থতার উদাহরণ হিসেবে এই প্রকল্পকে ২০১৫ সালে বাতিল করে দেয় মোদি সরকার। অথচ দেখা গিয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে রেকর্ড পরিমাণ টাকা বরাদ্দ হয়েছে, যা প্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। দেখা গিয়েছে গত অর্থবর্ষেও কিন্তু একই পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়েছিল এই প্রকল্পের পিছনে। যদিও অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, MNREGA-র খরচ দিয়ে দেশের গ্রামীণ পরিস্থিতি পরিষ্কার করে বোঝা সম্ভব নয়। কারণ MNREGA ছাড়াও প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব গ্রামীণ প্রকল্প রয়েছে। সেই খাতে আলাদা আলাদা বরাদ্দ রয়েছে। তার উপর গ্রামীণ ভারতের অবস্থা অনেকটাই নির্ভর করে।

বাংলাদেশ : মুক্তি বনাম যুদ্ধ

বাংলাদেশ : মুক্তি বনাম যুদ্ধ

তাহলে কি সকলেই রাজাকার? যেমন প্রশ্ন করলেই দেশদ্রোহী অথবা মাওবাদী? উত্তর হল না। বাংলাদেশ অত সহজ না। অত সরলরেখায় চলে না। প্রথমত, আমার মনে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের -'তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার' স্লোগানকে আমরা ভুল বুঝছি। তাদের অভিমানকে পড়তে পারছি না। কারণ এই স্লোগানের পরের লাইনটাই ছিল, 'কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার।' শখ করে তারা নিজেদের রাজাকার বলেনি। দুঃখ করে বলেছে, 'চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার।' আমাদের এটা জেনে নিশ্চিন্ত হওয়া উচিৎ, বাংলাদেশের এই প্রজন্মের অধিকাংশ প্রগতিশীল ছেলেমেয়েই 'রাজাকার' শব্দটিকে ঘৃণার চোখেই দেখেন।

‘দ্য গার্ডিয়ান’ সমীক্ষা ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের গড় উষ্ণতা পর্যন্ত ২.৫°c বৃদ্ধি পেতে পারে যা বিপজ্জনক ,

‘দ্য গার্ডিয়ান’ সমীক্ষা ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের গড় উষ্ণতা পর্যন্ত ২.৫°c বৃদ্ধি পেতে পারে যা বিপজ্জনক ,

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানীদের প্রায় ৭৫ শতাংশ এই অক্ষমতার কারণ হিসাবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বিশ্ব নেতাদের অপর্যাপ্ত পদক্ষেপকে দায়ী করেছেন, আর তাঁদের শতকরা ৬০ ভাগ বলেছেন যে, জীবাশ্ম জ্বালানী কোম্পানিগুলির কর্পোরেট স্বার্থ উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণের কাজের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করছে।

পরিবেশ রক্ষায় ভারত কি আদৌ আগ্রহী!

পরিবেশ রক্ষায় ভারত কি আদৌ আগ্রহী!

যদি শুধু বাতাসের গুণগত মানের সূচক (Air Quality Index) কে ধরা হয় তাহলে ভারতের স্থান ১৭৭ তম, মানে আরও এক ধাপ নিচে। বাতাসের গুণগত মানের প্রশ্নে ভারতের পিছনে কেবল পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর নেপাল।

শেষ ১০ বছরে বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুহারা ১২ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ

শেষ ১০ বছরে বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুহারা ১২ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ

বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ অর্থাৎ প্রতি ৬৯ জনে ১ জন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। এদের অনেকে আভ্যন্তরণীভাবে নিজ দেশেও বাস্তুচ্যুত। আর এই সংখ্যা চলতি বছরের প্রথম চার মাস বাড়তে থাকে এবং এপ্রিলের শেষ নাগাদ ১২ কোটিতে অতিক্রম করে।

নির্বাচন কমিশন কি ভারতের নির্বাচনের সত‍্যতাকে নষ্ট করে দিতে চাইছে?

নির্বাচন কমিশন কি ভারতের নির্বাচনের সত‍্যতাকে নষ্ট করে দিতে চাইছে?

আমি যে প্রশ্নটি উত্থাপন করছি তা হল, ভারতের নির্বাচন কমিশন কি নির্বাচনে কারচুপির জন্য মাঠ প্রস্তুত করছে? প্রথমত, নির্বাচন কমিশন বলেছিল যে তারা ভোট ক্রস ভেরিফাই করবে না এবং এখন তারা আপনাকে বলছে যে কত ভোট হয়েছে তাও তারা আপনাকে বলবে না

মে দিবসঃ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন

মে দিবসঃ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন

১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে একটি শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই শ্রমিক সমাবেশে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে ১০ থেকে ১২ জন শ্রমজীবী মানুষ নিহত হন। শ্রমজীবী মানুষের এই আত্মত্যাগ সারাবিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে তোলে। দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবির এই যৌক্তিক আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

২৭ এ এপ্রিল - নারী শহীদ দিবসের কথা

২৭ এ এপ্রিল - নারী শহীদ দিবসের কথা

“রাজবন্দীদের মায়েদের কমিটি” গঠিত হয় উমা সেনকে সম্পাদিকা ও বিমলা দেকে সভানেত্রী করে। এরপর ১৯৫০ সালের ২৭ এ এপ্রিল লতিকা-প্রতিভা-অমিয়া- গীতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নারী শহীদ দিবস হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পদ্ম - কাঁটায় রক্তাক্ত ভারত

পদ্ম - কাঁটায় রক্তাক্ত ভারত

পরিসংখ্যান বিভাগ দ্বারা পরিচালিত জুলাই ২০২২ থেকে জুলাই ২০২৩ সময়কালীন পর্যায়ক্রমিক শ্রম বল নিরীক্ষায় একটি মারাত্মক তথ্য উঠে এসেছে। স্বনির্ভর কর্মীদের হার মারাত্মক ভাবে বেড়ে মোট কর্মী সংখ্যার বিচারে ৫৮ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের অর্থনীতিতে কম বেশি কর্মীর সংখ্যা ৫০ কোটি। ২০১৭ - ১৮ বর্ষে এর হার ছিল ৫২ শতাংশ যার মধ্যে সিংহভাগই ক্ষুদ্র বিক্রেতা এবং ব্যক্তি সেবা প্রদানকারী। অর্থাৎ অর্থনীতিতে প্রথম তিনের তালিকায় প্রায় ঢুকে পড়া ভারতের কর্মসংস্থানের বেহাল দশা নিয়ে মোদীজি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। সেই কারণেই পিএইচডি ডিগ্রী ধারী অনিল ডোমের চাকরির জন্যে হাপিত্যেশ করে বসে থাকে, ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে এম এ পাশ করা হামিদ কাঁচের চুড়ি, নেল পালিশ, টিপ, নথ, পাথরের মালা, ঝুমুর, চুলের ক্লিপ ফেরি করে অথবা বিএসসিতে প্রথম স্থানাধিকারী তমাল ভোর পাঁচটায় পৌরসভার ভ্যানরিক্সা নিয়ে বাঁশি বাজাতে বাজাতে বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহে বেরিয়ে পড়ে

ষাটের অধিক পরিবেশ ও সামাজিক সংগঠনের হিমালয় সংলগ্ন পরিবেশ বাঁচানোর ডাক

ষাটের অধিক পরিবেশ ও সামাজিক সংগঠনের হিমালয় সংলগ্ন পরিবেশ বাঁচানোর ডাক

সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যাগসাইসাই পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিবেশ আন্দোলনের প্রথম সারির ভারত বিখ্যাত কর্মী সোনম ওয়াংচুক যিনি মাত্র কয়েকদিন আগেই লাদাখ সীমান্তে ২১ দিনের অনশন শেষ করেছেন। তিনি বলেছেন "যখন প্রকল্পগুলো হিমালয়ের সম্পদকে ধ্বংস করে, তখন প্রথমেই স্থানীয় লোকেরা বিপর্যয়ের শিকার হয়। সরকার পুনর্বাসন প্রচেষ্টার জন্য করদাতাদের অর্থ ব্যবহার করে, তবুও যারা সুবিধা ভোগ করে তাদের জবাবদিহি করা হয় না।"

মোদির ভারতে বেকারদের মধ্যে ৮৩ % যুব সম্প্রদায়, বলছে রিপোর্ট

মোদির ভারতে বেকারদের মধ্যে ৮৩ % যুব সম্প্রদায়, বলছে রিপোর্ট

২০০০ সালে এই অনুপাত ছিল ৫৪.২ শতাংশ। ২০২২ সালে এই অনুপাত বেড়ে হয়েছিল ৬৫.৭ শতাংশ। বর্তমানে দেশের বেকারদের মধ্যে ৭৬.৭ জন শিক্ষিত যুবক এবং ৬২.২ শতাংশ শিক্ষিত যুবতী। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতে বেকারত্বের সমস্যা যে ক্রমশ যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ হচ্ছে।

হোলি উৎসবে আজ ঋতুরাজ বসন্ত

হোলি উৎসবে আজ ঋতুরাজ বসন্ত

পৌরাণিক ও ধর্মীয় কাহিনী অনুসারে, হোলি উৎসব উদযাপনের কাহিনী দুষ্ট রাজা হিরণ্যকশ্যপের সঙ্গে সম্পর্কিত, যিনি ছিলেন বিষ্ণু ভক্ত প্রহ্লাদের পিতা। তিনি নিজেকে অত্যন্ত শক্তিশালী মনে করতেন এবং কঠোর তপস্যা করার পর তিনি ক্ষমতাবান হওয়ার বর পেয়েছিলেন আর ক্ষমতার অপব্যবহারও করেছেন। পুত্র প্রহ্লাদ এর স্বভাব পিতার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল, তিনি ভগবান বিষ্ণুর ভক্তিতে মগ্ন থাকতেন। প্রহ্লাদের স্বভাবে ক্রুদ্ধ হয়ে পিতা অবশেষে পুত্রকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। আগুনের প্রতি বিশেষ বরপ্রাপ্ত হিরণ্যকশ্যপ তার বোন হোলিকার কোলে রেখে বিষ্ণুপ্রান প্রহ্লাদকে আগুনের সাহায্যে হত্যার কথা চিন্তা করে। ভগবানের মহিমায় তার বোন হোলিকার মৃত্যু ঘটে এবং বিষ্ণু ভক্ত প্রহ্লাদ এর প্রাণ থাকে। এই কারণেই এই উৎসব শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মন্দের ওপর ভালোর জয় হয়ে আসছে। এইজন্যই হোলির আগের দিন ন্যাড়া পোড়ানো হয়।

ভারতে ৭ কোটি শিশু জিরো ফুড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফ্রিকার নীচে তীব্র নিন্দায় সিপিএম

ভারতে ৭ কোটি শিশু জিরো ফুড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফ্রিকার নীচে তীব্র নিন্দায় সিপিএম

সিপিআই(এম) নেতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ''দারিদ্র্য হ্রাসের প্রচার'' করার অভিযোগও তোলেন। ''আমাদের সন্তানদের এমন করুণ হৃদয় বিদারক বাস্তবতা! এটি দারিদ্র্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মোদির প্রচারের মিথ্যাকে উদ্দেশ্য করে," ইয়েচুরি এক্স-এর একটি পোস্টে গবেষণার একটি সংবাদ প্রতিবেদন ভাগ করে বলেছেন। "বিশ্বের মাত্র দুটি দেশের চেয়ে সামান্য উপরে স্থান পাওয়া সত্যিই লজ্জার বিষয় - গিনি এবং মালি। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ ভারতের উপরে,'' তিনি বলেছেন

কেন্দ্রের সমীক্ষা রিপোর্ট কমছে ভারতীয়দের গড় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার

কেন্দ্রের সমীক্ষা রিপোর্ট কমছে ভারতীয়দের গড় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার

কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় ছিল ১ লক্ষ ৭২ হাজার ২৭৬ টাকা। চলতি বছরে সেই মাথাপিছু আয় দাঁড়াতে পারে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৫৪ টাকায়। অর্থাৎ মাথা পিছু আয় বৃদ্ধির হার ৭.৯ শতাংশ। অথচ, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মানুষের মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি হয়েছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। ফলে গত বছরের নিরিখে এবারে মানুষের মাথা পাছু আয় বৃদ্ধির হার এক ধাক্কায় কমতে পারে প্রায় ৭ শতাংশ।

রাজনীতির সাম্প্রদায়িকীকরণ ও সুভাষচন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গি

রাজনীতির সাম্প্রদায়িকীকরণ ও সুভাষচন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গি

...১৯২৪ সালে ভারতে খিলাফত আন্দোলন প্রাসঙ্গিকতা হারালে খিলাফতিদের একটা অংশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে যুক্ত হন। অপর অংশ কিন্তু সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে যোগদান করেন। বস্তুত খিলাফত আন্দোলনকারীদের সরকার বিরোধী মনোভাব পরিবর্তিত হয়ে হিন্দু-বিরোধিতায় রূপান্তরিত হয়। শুধু তাই নয়, প্রতিনিধিত্বমূলক শাসন ব্যবস্থাকে অত্যাচারী হিন্দু শাসন বলে বিবেচনা করতে থাকে। এমনকি, হিন্দুদের সঙ্গে সম্মিলন নয়, আলাদা থাকার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে মুসলিমদের আস্থা অর্জনের প্রচেষ্টা হিন্দু নেতাদের মধ্যেও দেখা যায়নি। এরূপ পরিস্থিতিতে বাঙলার বিভিন্ন স্থানে ১৯২৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়।

গান্ধী ১৯২১ এ অযোধ‍্যায় যে রামমন্দির দর্শণ করেছিলেন..

গান্ধী ১৯২১ এ অযোধ‍্যায় যে রামমন্দির দর্শণ করেছিলেন..

গান্ধীর মন্দির এবং প্রার্থনা হলের ধারণা------ বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং সেখানে হিন্দু ধর্মের নামে ব্যাপক জনসমাবেশের ফলে একটি মন্দির নির্মাণের আইনি অনুমোদন শুনলে মহাত্মা গান্ধী ভেঙে পড়তেন। গান্ধী গভীরভাবে আধ্যাত্মিক ছিলেন এবং প্রায়ই গণপ্রার্থনা এবং অন্যান্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রামকে স্মরণ করতেন।

রেকর্ড ১৪৬ সাংসদ বহিষ্কার! বিতর্কিত বিল পাশ! দেশজুড়ে উত্তাল বিক্ষোভ

রেকর্ড ১৪৬ সাংসদ বহিষ্কার! বিতর্কিত বিল পাশ! দেশজুড়ে উত্তাল বিক্ষোভ

রাজদ্রোহ আইনের বিলোপ ঘটিয়ে আরও কড়া দেশদ্রোহ আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের দমনের নামে যা প্রয়োগ হতে পারে সরকারের বিরোধিতা করলেই। একইভাবে বিরোধীশূন‌্য সংসদে পাস করিয়ে নেওয়া হয়েছে বিতর্কিত টেলিকম বিল। সংসদের দুই কক্ষে পাস হওয়ার পর এটা এখন আইন হওয়ার পথে। নয়া টেলিকম আইনের বলে, সরকার যে কোনও টেলি পরিষেবা সংস্থার নিয়ন্ত্রণ অস্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে পারবে। ই-মেল ও হোয়াটসঅ‌্যাপের গোপনীয়তা আংশিকভাবে সরকার ভাঙতে পারবে।

১৬ ডিসেঃ কংগ্রেস শাসনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের ইতিহাস স্মরণ

১৬ ডিসেঃ কংগ্রেস শাসনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের ইতিহাস স্মরণ

1971 সালে আজকের দিনে যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৷ যার ফলে পাকিস্তান সেনার নৃশংস দাপট থেকে বেরিয়ে আসে বাংলাদেশ । দেশকে রক্ষা করার জন্য চূড়ান্ত আত্মত্যাগ করেছিলেন সেনা জওয়ানরা ৷ তাঁদের সম্মান জানাতে এই দিনটি উদযাপন করা হয় ৷

শিশু দিবস! ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় কোটির বেশি শিশুশ্রমিক, বিশ্বের অবস্থা কি?

শিশু দিবস! ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় কোটির বেশি শিশুশ্রমিক, বিশ্বের অবস্থা কি?

ভারতে কত শিশুশ্রমিক রয়েছে, সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা রাজ্য সরকারগুলির হাতে নেই। তবে জনগণনার সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে এক কোটিরও বেশি শিশুশ্রমিক রয়েছে। এই সংখ্যাটা ফের হু হু করে বেড়েছে দু'বছরে করোনাকালে। ভারতে শিশুশ্রম সম্পূর্ণ বেআইনি। যদিও শিশুশ্রম আটকাতে তেমন কোনও উদ্যোগ নেই সরকারের।

কেন বিজেপি সর্বভারতীয় জাতভিত্তিক আদমশুমারি চাইছে না?

কেন বিজেপি সর্বভারতীয় জাতভিত্তিক আদমশুমারি চাইছে না?

বিজেপি প্রধানত লোকসভা নির্বাচনের সময় ওবিসি ভোটারদের পছন্দ। কিন্তু রাজ্য সরকার নির্বাচন করার সময় সেই ওবিসি ভোটাররাই অন্য দলকে ভোট দেয়। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সময়, বিহারের মাত্র ১১% ওবিসি আরজেডিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু, ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনের সময়, ২৯% ওবিসি বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। ইউপিতে, ২০১৯ সালে, মাত্র ১৪% ওবিসি সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ২৯% ওবিসি সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দিয়েছিল।

গান্ধীজি ও রবীন্দ্রনাথ : দুই মহামানবের মিল,  অমিল

গান্ধীজি ও রবীন্দ্রনাথ : দুই মহামানবের মিল, অমিল

রবীন্দ্রনাথ চরকা কাটার সমালোচনা করেছিলেন , যদিও রোমা রোলা লেখেন……। Rabindranath never tires of criticizing charka. In this economic judgment, Tagor was probably right . Except for the rather small specialized market for high quality spun cloth, it is hard to make economic sense of hand spinning even with wheels less primitive than Gandhi’s charka. Hand spinning as a wide spread activity can survive only with the help of heavy govt. subsidies. গান্ধী তার উত্তরে লেখেন …… I am living on the spoliation of my countrymen. Trace the source of every coin that finds it’s into your pocket, and you will realize the truth of what I write . Everyone must spin; let tagor spin like the others. Let him burn his foreign cloths, that is the duty today, God will take care of the morrow .

বিপন্ন বিদ‍্যুতের অধিকার, প্রিপেড স্মার্ট মিটার! জনগনের ওপর তীব্র বোঝা চাপবে

বিপন্ন বিদ‍্যুতের অধিকার, প্রিপেড স্মার্ট মিটার! জনগনের ওপর তীব্র বোঝা চাপবে

বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল পাশ না করতে পেরে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২২ সালের জুলাই মাসে এক ভয়ানক স্কীম নিয়ে এসেছে যার পোষাকি নাম রিভ্যাম্পড ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টর স্কীম (আরডিএসএস) । ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সরাসরি নির্দেশে নিয়ে আসা এই স্মার্ট মিটারিং স্কীম জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নির্লজ্জভাবে কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে সব চালু আর্থিক সহায়তা স্কীম । ৩ লক্ষ কোটি টাকার এই স্মার্ট মিটারিং স্কীমের ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকার আর বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ওপরে । কী হবে আরডিএসএস লাগু হলে? এই স্কীম লাগু হলে ধাপে ধাপে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের নামে সব ধরনের ক্রস সাবসিডি তুলে দেওয়া হবে

১৪৫তম জন্মদিবসে 'পেরিয়ার' দক্ষিন ভারতের যুক্তিবাদের পথ প্রদর্শক

১৪৫তম জন্মদিবসে 'পেরিয়ার' দক্ষিন ভারতের যুক্তিবাদের পথ প্রদর্শক

তাঁদের বক্তব্য ছিল, জাতপাত বিভাজন ব্যবস্থার বিনাশ করতে হলে ব্রাহ্মণ্য-হিন্দুধর্মের শৃঙ্খল ভেঙে বেরোতে হবে কারণ হিন্দুত্ববাদের মূল ধারণা প্রোথিত আছে বর্ণাশ্রম অর্থাৎ জাত-বিভাজনের ধারণার মধ্যে। সামাজিক ন্যায় এবং সাম্য অর্জনের পথে ধর্ম এক বিরাট বাধা। পেরিয়ারের নেতৃত্বে আত্মমর্যাদা আন্দোলন প্রায় সারা তামিলনাডুতেই এক ব্যাপক সংগঠিত আন্দোলনের রূপ নিয়েছিল। বলা যায়, এদেশের বুকে তিনিই সর্বপ্রথম ‘হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদ’কে একটি বৈষম্যবাদী সর্বগ্রাসী রক্ষণশীলতা এবং প্রগতির পথে প্রধান অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।

‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্যে বড় অবদান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের

‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্যে বড় অবদান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের

২০১৯ সালে ‘চন্দ্রযান ২’-এর সঙ্গেই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ভারতের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার স্বপ্ন। একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে শিবনের চোখ। কিন্তু তাতেও দমে যায়নি আশা। বরং উঠে দাঁড়িয়ে শুরু হয়েছিল ইতিহাস সৃষ্টির প্রস্তুতি। আর এই প্রস্তুতিতেই সামিল হয়েছিলেন এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় জন প্রাক্তনী। সায়ন চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ গুপ্ত এবং অনুজ নন্দী সহ আরও তিন জন। তারাও এই মিশনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছিলেন। একদিকে প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র গৌতম মানি এবং নরেন সামন্ত। অন্যদিকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র অখিলেশ পান্ডে।

বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র্যের কারন কি?

বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র্যের কারন কি?

কেন এরকম হলো? প্রথমে করোনা মহামারি, তারপর রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। এই দুইয়ে মিলেই এই সংকটময় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে গোটা বিশ্বের অন্তত ১৬.৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে এই দুটি বিষয়ই। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বুথ ফেরত সমীক্ষার অসারতার বিরোধিতায় সিপিআইএমের মুখপত্রে

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বুথ ফেরত সমীক্ষার অসারতার বিরোধিতায় সিপিআইএমের মুখপত্রে

গ্রামগুলো জেগে উঠেছে। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে, বেকার, কাজ হারানো যুবক, হেঁশেল সামলাতে নাজেহাল গৃহবধূ, ১০০ দিনের কাজ না পাওয়া গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষ, ফসলের দাম না পাওয়া কৃষক, খুঁজতে থাকা খেতমজুর, বাড়ি আর প্রকল্প থেকে বঞ্চিত গরিব মানুষের এবার সাংঘাতিক জেদ সৃষ্টি হয়েছে মনে। লড়াই মানুষের সঙ্গে তৃণমূল ও তার দোসর বিজেপির। সব মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। এ দায়িত্ব বামপন্থীদের।

হুল দিবস! নিপীড়িত মানুষের এক অনন‍্য সংগ্রামের ইতিহাস।

হুল দিবস! নিপীড়িত মানুষের এক অনন‍্য সংগ্রামের ইতিহাস।

১৮৫৫ সালেই যে সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা তা নয়, এর আরও ৭৫ বছর আগে ১৭৮০ সালে সাঁওতাল জননেতা তিলকা মুরমুর (যিনি তিলকা মাঞ্জহী নামে পরিচিত) নেতৃত্বে শোষকদের বিরুদ্ধে সাঁওতাল গণসংগ্রামের সূচনা হয়। তিনি সর্বপ্রথম সাঁওতাল মুক্তিবাহিনী গঠনের মাধ্যমে পাঁচ বছর ধরে ইংরেজ শাষকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালান।

রাজ্যের বিদ্বজ্জনেরা কি ভাবছেন?

রাজ্যের বিদ্বজ্জনেরা কি ভাবছেন?

বৈদ্যুতিন মাধ্যমেও এই পরিবর্তনের আঁচ পাই যখন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ নেওয়া 'সবজান্তা' আলোচককে প্রশ্ন করেন - আপনি কোন সময়ে চাকরি পেয়েছিলেন, কাকে কত টাকা দিয়েছিলেন ইত্যাদি। সার্বিক এই অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে কি ভাবছেন রাজ্যের সম্পদ, আমাদের অস্মিতা প্রকৃত বিদ্বজ্জনেরা?

জালিয়ানওয়ালাবাগ  দিবস

জালিয়ানওয়ালাবাগ দিবস

এই আইন বলে ব্রিটিশ সরকার বিপ্লবী কাজকর্ম দমন করার নামে আসলে ভারতীয়দের ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করতে চাইলো । গান্ধীজি তখন সত্যাগ্রহ এবং ধর্মঘটের এর মাধ্যমে প্রতিবাদের আয়োজন করেন। তখন অবস্থা এমনই যে সাদা চামড়ার ইউরোপীয় যে কোন কর্মকর্তা দেখলেই ভারতীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতো। এই কালা কানুন এর বিরুদ্ধে সারাদেশে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়।

প্লাস্টিকদূষণ ও অন্ধকার ভবিষ্যতের জন‍্য অপেক্ষা?

প্লাস্টিকদূষণ ও অন্ধকার ভবিষ্যতের জন‍্য অপেক্ষা?

পরিবেশে অপচনশীল নানা রকম প্লাস্টিক বর্জ্যের সঙ্গে অতিবেগুনি রশ্মি এবং পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের মিথস্ক্রিয়ার ফলে মাইক্রো ও ন্যানো প্লাস্টিকের কণা এবং নানা রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, যেমন বিসফেনল-এ পরিবেশে নির্গত হয়। এসব মাইক্রো ও ন্যানো কণা এবং নিঃসৃত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মানুষ ও অন্যান্য জীবের হরমোনাল সিস্টেম নষ্ট করতে পারে। ফলে প্লাস্টিকদূষণ মানুষ ও অন্যান্য জীবের প্রজননক্ষমতা নষ্ট করে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রান্ত করে নানা রকম দুরারোগ্য ব্যাধি সৃষ্টি করে।

সাভারকার - এক প্রবঞ্চক বীরের কাহিনী

সাভারকার - এক প্রবঞ্চক বীরের কাহিনী

সাভারকর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সেলুলার জেলে আসার এক মাস পর, ৩০ আগস্ট ১৯১১ সালে ব্রিটিশ সরকারের কাছে তার প্রথম ক্ষমার আবেদন জমা দেন। সরকারী চিঠি নং ২০২২ দ্বারা, ৪ এপ্রিল ১৯১১ তারিখে, তার আবেদন ব্রিটিশ সরকার প্রত্যাখ্যান করে। সাভারকর ১৪ নভেম্বর ১৯১৩ তারিখে তার পরবর্তী ক্ষমার আবেদন ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল কাউন্সিলের হোম সদস্য স্যার রেজিনাল্ড ক্র্যাডককে ব্যক্তিগতভাবে পেশ করেন। তার চিঠিতে, তিনি নিজেকে "পিতামাতাসম সরকারের দরজায়" ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষায একজন "উৎসাহী পুত্র" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। ওই চিঠিতে তিনি আরও বলেছিলেন "এছাড়াও, সাংবিধানিক লাইনে আমার এই পরিবর্তন ভারতে এবং বিদেশের সেই সমস্ত বিপথগামী যুবকদের ফিরিয়ে আনবে যারা একসময় আমাকে তাদের পথপ্রদর্শক হিসাবে দেখছিল। আমি সরকারের পছন্দমত যে কোনও ক্ষমতায় সরকারকে সেবা করতে প্রস্তুত। যেহেতু আমার এই পরিবর্তন আমি সজ্ঞানে করছি, তাই আমি আশা করি আমার ভবিষ্যত আচরণও তেমনই হবে। আমাকে কারাগারে রেখে কিছুই পাওয়া যাবে না, অন্যথায় যা কিছু পাওয়া যাবে।

১৯ মে ! ভাষা আন্দোলনের আর এক রক্তাক্ত বীরগাথা

১৯ মে ! ভাষা আন্দোলনের আর এক রক্তাক্ত বীরগাথা

স্বাধীনতার পর সময় যত এগোতে থাকে, ততই আসামে বাংলা বিরোধী আওয়াজ জোরালো হতে থাকে। মদত দেয় রাজনৈতিক নেতারাও। তারই অংশ হিসেবে ১৯৬০ সালে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আসামের সরকারি ভাষা হিসেবে অসমিয়াকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য পাস করা হয় ‘আসাম ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাক্ট ১৯৬০’। আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিও এমনই ঘোষণা করে। এর ফলে উল্টোদিকে শুরু হয় বাঙালিদের আন্দোলন। বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা দিতে হবে; এভাবে তাঁদের অবহেলা করা যাবে না। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুন।

মার্কসবাদ সমাজ ও বিজ্ঞানের কোন কোন বিবর্তনের ফলশ্রুতি?

মার্কসবাদ সমাজ ও বিজ্ঞানের কোন কোন বিবর্তনের ফলশ্রুতি?

আমরা বর্তমানে যাকে মার্কসবাদ বলি তা হল সমাজ ও বিজ্ঞানের দীর্ঘ বিবর্তনের ফলশ্রুতি। মানুষের চেতনা, সংঘবদ্ধতা এবং মতাদর্শগত ধ্যান-ধারণার বিকাশের ফলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তার থেকেই মার্কবাদের সৃষ্টি হয়েছে। 'মার্কসবাদী-লেনিনবাদী দর্শনের মূলকথা' The Fundamentals of Marxist Leninist Philosophy গ্রন্থে বলা হয়েছে: "The way for the emergence of Marxism was prepared by the whole social, economic, political and spiritual development of the man, especially by the development of the capitalist system, and contradictions inherent in that system, by the struggle between the proletariat and the bourgeoisie."

শোষিতের মে দিবস, মধ‍্যবিত্তের দ্বিধা ও বাংলার কবি

শোষিতের মে দিবস, মধ‍্যবিত্তের দ্বিধা ও বাংলার কবি

মধ্যবিত্ত সমাজভুক্ত হয়েও কোনো বাঙালি কবি মে দিবসের প্রেরণায় সারা জীবন উদ্বুদ্ধ থাকতে পেরেছেন কি না বা তা আদৌ সম্ভব কিনা তা বিচার সাপেক্ষ। জীবন এমনই এক বস্তু। আমরা কি সবাই নিজেদের চিনি? দীর্ঘ জীবন থাকলে আজীবন বিপ্লবী থেকে যাওয়া কি সম্ভব?

রো জ  না ম চা র  ন তু ন  ব ছ র   --  শঙ্খজিৎ

রো জ না ম চা র ন তু ন ব ছ র -- শঙ্খজিৎ

আমাদের দেশের বিদ্বজ্জনেরা অজন্তা-ইলোরা-খাজুরাহোর স্থাপত্য-ভাষ্কর্যের মতো। গুণে সমন্বিত,দেখতেও পরিপাট্যময়,অথচ নিথর! ভারাভারা রাও এর কবিতা অবলম্বনে নাটক—শাসক এসে বেদম মারবে,ওরা সহ্য করে নেয়! কেক উৎসবের নামে নাট্যোৎসব বন্ধ করতে শাসক নাট্যকারের গায়ে হরদম হাত তুলবে—ওরা সহ্য করে নেয়! কৃষক শ্রমিকের ঘরের ছেলে হলে তো কোনো কথাই নেই। কোনো শব্দও ওদের খরচ করতে হয়না। এই নতুন বছরেও করবেনা। এভাবেই চলছে,চলতে থাকছে!

আম্বেদকরের কমিউনিস্ট ভাবনা : ফিরে দেখা

আম্বেদকরের কমিউনিস্ট ভাবনা : ফিরে দেখা

আমরা ধরে নিতেই পারি,বৌদ্ধদর্শনের পর যদি তাঁর আর কোনো দর্শনের প্রতি বিশ্বাস জন্মে থাকে সেটি কমিউনিজম। আজ তাই সময়ের দাবীতেই আম্বেদকরের ভাবনা রূপায়নে সর্বাগ্রগণ্য এদেশের কমিউনিস্ট পার্টিই।

২৩০ বছর পর বাতিল কর্নওয়ালিস কোড, সম্মতি দিলেন রাজ্যপাল

২৩০ বছর পর বাতিল কর্নওয়ালিস কোড, সম্মতি দিলেন রাজ্যপাল

কর্নওয়ালিস কোডের প্রধান বিষয় ছিল চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। এই বন্দোবস্তের অধীনে জমিদারকে জমির একচ্ছত্র মালিক বলে ঘোষণা করা হয়। মালিক হিসেবে জমিদার তার ভূসম্পত্তি অবাধে হস্তান্তর বা দান করার অধিকার লাভ করেন। জমিদারির ওপর সরকারি রাজস্ব ঘোষণা করা হয়। চুক্তি মোতাবেক সরকারি রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থ হলে জমি নিলামে বিক্রয় করে বকেয়া আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। প্রথমে বাংলায় এই কোড চালু হয়েছিল এবং পরে মাদ্রাজে এই কোড অনুসরণ করা হয়। এই কোডে ভারতীয়দের চাকরিতে উচ্চপদ না দেওয়া, বা সরকারি অফিস থেকে বঞ্চিত করার কথাও বলা রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় শিশুদের 'রামায়ন'-এর পাঠ দিতে বলল আরএসএস মহিলা ন‍্যাস

গর্ভাবস্থায় শিশুদের 'রামায়ন'-এর পাঠ দিতে বলল আরএসএস মহিলা ন‍্যাস

সোমবার দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছিল ওই আলোচনাসভার। আয়োজক ছিল আরএসএসেরই মহিলা শাখা সম্বর্ধিনী ন্যাস। ‘গর্ভ সংস্কার’ শীর্ষক ওই আলোচনা শিবিরে ন্যাসের জাতীয় সংগঠক সচিব মাধুরী মারাঠে ওই গর্ভ সংস্কারের প্রস্তাব দেন। মাধুরী বলেন, ‘‘গর্ভেই শিশুদের গীতা এবং রামায়ণ থেকে পাঠ করে শোনাতে হবে। মায়েদের যোগাসন অভ্যাস করতে হবে। এই অভ্যাস এবং শ্লোক পাঠ চলবে শিশুর জন্মের পর দু’বছর বয়স পর্যন্ত। এতে শিশুর সংস্কৃতিবোধ এবং নীতিবোধ বাড়বে।

মনুস্মৃতিকে কি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে ?

মনুস্মৃতিকে কি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে ?

প্রায় এক শতাব্দী আগে, এই আধুনিক সময়ের প্রথম দলিত বিদ্রোহের সময়, দলিতদের কিংবদন্তি নেতা ডঃ বি আর আম্বেদকর মহাদ -এ অনুষ্ঠিত একটি প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে প্রতীকীভাবে মনুস্মৃতি পোড়ান। শোনা যায় ২৫ ডিসেম্বর ১৯২৭-এ, মহাদ সত্যাগ্রহে, তিনি বোম্বাই প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বলেছিলেন, যে এই মনুস্মৃতি একটা "প্রতিবিপ্লবের গসপেল"।

বৌদ্ধিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার স্বার্থে ইউনিয়ন জরুরি

বৌদ্ধিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার স্বার্থে ইউনিয়ন জরুরি

শিক্ষায় বেসরকারীকরণের কাছ থেকে দুরকম বৈশিষ্ট্যের মুনাফা,বুর্জোয়া রাষ্ট্র এবং তার পরিচালক রাজনৈতিক আদর্শের দলগুলি ঘরে তোলে। এক.বেসরকারীকরণের লাগামহীন বিস্তার শিক্ষান্তে বাজারকে শ্রমিক সাপ্লাই দেবে;যে শ্রমিক তার উপার্জন ও ভোগ্যের জীবনচালনায় এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়বে যে সে কোনো রাজনৈতিক প্রশ্ন অথবা দাবীই রাখতে পারবেনা তা সে যতই তার শ্রম লুঠ হোক না কেন! সে এইসব দাবী এই কারণেই লুঠেরা মালিকের সামনে রাখতে পারবেনা যেহেতু শিক্ষাজীবন থেকে সে কেবলমাত্র উৎপাদনের প্রকৌশলটুকুই রপ্ত করেছে,বাজারী শিক্ষা ব্যবস্থা তাকে কখনই রাজনৈতিক এবং আর্থ সামাজিক সংকট সম্পর্কে কিছুই শেখায় নি

আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবস

আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবস

প্রাথমিক ভাবে কমিউনিস্ট দেশগুলিতেই কেবল আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হলেও ক্রমে আবিশ্ব নারীদের সমানাধিকার, সমকাজে সমবেতনের অধিকার, জননগত অধিকার ইত্যাদি নানা অধিকারের দাবিতে দেশে দেশে নারীবাদী আন্দোলনগুলি জোরালো হতে শুরু করে এবং বহুক্ষেত্রেই এই আন্দোলনগুলির সঙ্গে কমিউনিস্টরা যুক্ত হয়। ফলে ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগে ৮ মার্চ তারিখটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে পালন করা শুরু হয়।

পুরুষ নয়, নিপাত যাক পুরুষতন্ত্র..

পুরুষ নয়, নিপাত যাক পুরুষতন্ত্র..

ঔনিবেশিক ভারত, দাঙ্গাবিধ্বস্ত ভারত, বিশ্বযুদ্ধোত্তর ভারত,স্বাধীনতা পরবর্তী ভারত -- ইতিহাস বলছে এই সমস্ত সময়ে সবথেকে পশ্চাদপদতা, অবজ্ঞা, নির্যাতন, অশিক্ষার শিকার মেয়েরা। ভাবুন না, মহাভারতে ভাইয়ে ভাইয়ে গৃহযুদ্ধ রদ করতে কেবলমাত্র অর্জুনের দ্বারা লব্ধ দ্রৌপদীকে কিভাবে পঞ্চস্বামীভোগ্যা করে তুলেছিল তার শাশুড়ী মাতা কুন্তীর একটিমাত্র বাক্য! একটা লংজাম্প কাটে চলে আসুন বাংলা টেলিভিশনে প্রদর্শিত সন্ধ্যাকালীন বিনোদনী উপাখ্যানমালায় -- 'শ্রীময়ী', 'মেয়েবেলা', 'মিঠাই', 'অনুরাগের ছোঁয়া', ইত্যাদি প্রত্যেকটি কাহিনীতে মেয়েদের সহিষ্ণুতা, নির্বিরোধী

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ গোটা দুনিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের এক অনন‍্য দলিল

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ গোটা দুনিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের এক অনন‍্য দলিল

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর সর্বজনীনতা। এই ভাষণ দেশ-কালের গণ্ডি ছাড়িয়ে সর্বজনীন হয়েছে। অলিখিত বক্তৃতাটিতে কোনো পুনরুক্তি ছাড়াই একটি জাতির স্বপ্ন, সংগ্রাম আর ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এই ভাষণটি একটি জাতির প্রত্যাশার আয়নায় পরিণত হয়েছে। এই ভাষণের এমনই শক্তি যে বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে তোলে মাত্র আঠারো মিনিটে। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধেও এই ভাষণই বাঙালিকে প্রেরণা জুগিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে বিপন্ন মাতৃভাষা, আক্রান্ত মাতৃভাষায় শিক্ষাঃ  কিছু তথ্য  ২য় পর্ব

বিশ্বজুড়ে বিপন্ন মাতৃভাষা, আক্রান্ত মাতৃভাষায় শিক্ষাঃ কিছু তথ্য ২য় পর্ব

২০১১-র সেন্সাস অনুযায়ী ভারতে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া ভাষা হিন্দি (২৫.১৯%)। দ্বিতীয় কাশ্মীরী (২২.৯৭%), তৃতীয় গুজরাটি (২০.৪%), চতুর্থ মণিপুরী (২০.০৭%), এবং পঞ্চম বাংলা (১৬.৬৩%)। দুঃখের বিষয়, অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত দুটি ভাষার বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক – উর্দু (- ১.৫৮%) ও কোঙ্কনি (- ৯.৩৪%)।

বিশ্বজুড়ে বিপন্ন মাতৃভাষা, আক্রান্ত মাতৃভাষায় শিক্ষাঃ কিছু তথ্য  ১ম পর্ব

বিশ্বজুড়ে বিপন্ন মাতৃভাষা, আক্রান্ত মাতৃভাষায় শিক্ষাঃ কিছু তথ্য ১ম পর্ব

এরপর ২১ মার্চ ১৯৪৮ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জিন্নাহ-র ঘোষণা, "উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা"। ২৪ শে মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জিন্নাহ একই ঘোষণা করলে তীব্র প্রতিবাদ করে ওঠেন বামপন্থী ছাত্র আবদুল মতিন সহ আরো অনেকে। এরপরের ইতিহাস সকলেরই জানা। ১৯৪৮ এর ভাষা আন্দোলন এবং তার পরবর্তীতে একের পর এক আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ে পূর্ব বাংলায়। দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলনের চরম পরিণতি ঘটে একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২য়। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য, পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, অলি আহাদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আব্দুল মতিন-এর উদ্যোগে হাজার ছাত্রের মিলিত মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বেরোলে শুরু হয় পুলিশের গুলি বর্ষণ।

একুশের চেতনায় আজকের সংগ্রাম

একুশের চেতনায় আজকের সংগ্রাম

৫২-র ঝোড়ো ফেব্রুয়ারিতে যে রক্তস্নাত দিন এসেছিল,আজও তার চেতনা অম্লান,বহমান। ইতিহাসের কালচক্রের দিকে সনির্বন্ধ দৃষ্টিতে তাকালে বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে তুলে ধরার শুরুয়াৎ হয় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষতে মাওলানা আক্রাম খাঁ-এর প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে,সালটা ১৯৩৭। ইতিহাসের জল গড়িয়ে আজ যে দেশভাগের ৭৫ বছর আমরা অতিক্রম করছি সেই দেশভাগের ঘৃতাহুতিতেই ভাষা আন্দোলনের ঢেউ উঠতে থাকে ক্রমান্বয়ে। ১৯৪৭ সালে করাচিতে শিক্ষা সম্মেলনে দাবী ওঠে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের। এরপর পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগে বিভাগে উত্তাল সমাবেশের সূচনা

প্রবন্ধ - রাজ‍্য বাজেট ও চিরকুটে মহার্ঘ ভাতা

প্রবন্ধ - রাজ‍্য বাজেট ও চিরকুটে মহার্ঘ ভাতা

আগের বাজেট গুলোতে পথশ্রী নমক একটি প্রকল্পের কথা খুঁজে পাই। এই প্রকল্পের অধীনে কি কি কাজ হয়েছে, কতটা রাস্তা তৈরি হয়েছে, তার কোন উল্লেখ সহকারী নথিতে নেই। রাজ্যবাসী তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে রাস্তাঘাটের হালের সাম্যক ধারণা খুব ভালোই আছে । এই প্রেক্ষাপটে এবারের বাজেটে একই ক্ষেত্রের জন্য ভিন্ন নাম দিয়ে ঘোষণা হলো রাস্তাশ্রী প্রকল্প।এই জন্য বরাদ্দ তিন হাজার কোটি টাকা। তৈরি হবে ১১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা। সারাই হবে পুরনো রাস্তাও। দেখা যাক, পথশ্রী দিয়ে তো হলো না রাস্তাশ্রী দিয়ে রাস্তা ঘাটের হাল ফেরানো যায় কিনা।

ডারউইনের তত্ত্ব বিজ্ঞানের গতির নিয়মেই আজ প্রাসঙ্গিক ও পরিবর্তনশীল

ডারউইনের তত্ত্ব বিজ্ঞানের গতির নিয়মেই আজ প্রাসঙ্গিক ও পরিবর্তনশীল

গ্যালাপাগোসের দ্বীপুঞ্জে বিরল সমস্ত প্রজাতির বিস্তারণ লক্ষ্য করেই তিনি ভেবেছিলেন, ঐসব প্রজাতি একদা মূল ভূখন্ডের পূর্বপুরুষদের মধ্যে থেকেই এসেছিল এবং পরে কোন কারণে অন্যরকম হয়ে উঠেছে- কিন্তু কেমন করে এবং কেন? এমন কি হতে পারে যে জীবনযাত্রার পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক রয়েছে- যা সম্ভবত কতকগুলি বৈশিষ্ট্যেরই অনুকূল, অন্যগুলির নয়?

বিদ্ধস্ত তুরস্ক - সিরিয়ার পাশে  ইন্দোনেশিয়া ও কিউবা

বিদ্ধস্ত তুরস্ক - সিরিয়ার পাশে ইন্দোনেশিয়া ও কিউবা

তবে, মৃতের হার যে ভাবে বাড়ছে তাতে কতজন মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যাবে তা নিয়ে উদ্ধারকারীরাই দ্বিধাভক্ত। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে থাকা অংশগুলিতে এই প্রথম সংযুক্ত রাষ্ট্রের ত্রাণ পৌঁছাল। তাছাড়া, ভারত সহ বহু দেশ ত্রাণ ও অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে দুই দেশে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেন গোটা দুনিয়াকে এক সূত্রে বেঁধে ফেলেছে।

CPIM মুখপত্রে দাবি-আদানির উত্থানে প্রধানমন্ত্রীর ভুমিকা আলোচনা হোক-না হলে ব‍্যাখা অসম্পূর্ণ

CPIM মুখপত্রে দাবি-আদানির উত্থানে প্রধানমন্ত্রীর ভুমিকা আলোচনা হোক-না হলে ব‍্যাখা অসম্পূর্ণ

আদানি গোষ্ঠীর এই বাড়বাড়ন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরাসরি "পৃষ্ঠপোষকতা" আছে। এই অভিযোগ , সিপিআই(এম)এর। তাদের দাবি যে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তত্ত্বাবধানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এইসব গুজরাটি সংস্থার বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগ গুলি তদন্ত করবে।

অমৃত্ কালের কেন্দ্রীয় বাজেট

অমৃত্ কালের কেন্দ্রীয় বাজেট

ভর্তুকির খতিয়ান দেখলে বোঝা যায় কীভাবে খাদ্য ও সার থেকে ভর্তুকি তুলে নিচ্ছে এই মোদি সরকার-- ২০২০-২১ অর্থবর্ষে খাদ্যের উপর ভর্তুকি ছিলো ৫৪১.৩৩ হাজার কোটি টাকা, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে যা কমে হলো ২৮৬.৪৭ হাজার কোটি এবং ২৩-২৪ অর্থবর্ষে যা দাঁড়ালো ১৯৭.৩৫ হাজার কোটি। একই চিত্র সারের ক্ষেত্রেও, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে যা ছিলো ২২৫.২২ হাজার কোটি, ২৩-২৪ অর্থবর্ষে যা দাঁড়িয়েছে ১৭৫.১০ হাজার কোটি।

.'হায় রাম'   (গান্ধী হত‍্যার ৭৫ বছরের প্রাক্কালে )

.'হায় রাম' (গান্ধী হত‍্যার ৭৫ বছরের প্রাক্কালে )

গান্ধীজীকে যে দিন হত্যা করা হয় তার ঠিক দিন দশেক আগে ২০ জানুয়ারি,১৯৪৮ দিল্লির বুকে আরও একবার মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বোমা ছোঁড়া হয়, যদিও সেই প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছিল। গান্ধীজী নিজেও বুঝেছিলেন যে হিন্দু মৌলবাদীদের পক্ষ থেকে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, ব্যর্থ বোমা বিস্ফোরণ আদতে একটি দুর্ঘটনা কিনা তাঁর এক সহযোগীর এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি দ্ব্যর্থহীণ ভাষায় জানান, ''The fool; don't you see, there is a terrible and widespread conspiracy behind it."

অপারেশন সংবিধান

অপারেশন সংবিধান

আমার নিজের মতে ১৯৭৫ এর দু বছরের জরুরী অবস্থার সময় বাদ দিলে গণতন্ত্রের এমন বিপদ এর আগে কখনো আসেনি। যে সংবিধান আইন ও শাসন বিভাগীয় স্বৈরাচারের হাত থেকে এতদিন রক্ষা করে এসেছে এবার সরাসরি আক্রান্ত সেই সংবিধান। কথাটা বোধ হয় একটু নরম হয়ে গেল। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার সংবিধান ধ্বংস করার কাজে বদ্ধপরিকর। কিন্তু কেন? তাই নিয়েই এই লেখা।

২৫ জানুয়ারি -জাতীয় ভোটার দিবস, ফিরে দেখা দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন

২৫ জানুয়ারি -জাতীয় ভোটার দিবস, ফিরে দেখা দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন

২৫ অক্টোবর ১৯৫১ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ এই চার মাস ব্যাপী  সারাদেশে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। সারাদেশে ১৭,৩২,১৩,৬৩৫ জন তালিকাভুক্ত ভোটারের ৪৫.৬৭ শতাংশ অর্থাৎ ১০,৫৯,৪৪,৪৯৫ জন ভোটার লোকসভা নির্বাচনে ভোটদান করেন। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটার সংখ্যা ছিল ১০,৩৮,০১, ১৯৯টি। একাধারে ভোটগ্রহণ এবং ফল  ঘোষণার কাজ চলতে থাকে সারা দেশব্যাপী। সারাদেশে ৭,০০,০০০ ভোট কর্মী ২,২৪,০০০ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট কার্য পরিচালনা করেছিলেন । এই মহাযজ্ঞে প্রশাসনিক সহায়তায় শামিল হয়েছিলেন ২,২৪, ০০০ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশকর্মী। দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের পটভূমিতে রাজনৈতিক দ্বৈরথ বর্তমান সময়ের মতো কলুষিত না হলেও একেবারে বিষমুক্ত ছিল না। তবে রাজনৈতিক হানাহানির বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের 'জুয়া খেলায়' সুকুমার সেনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছিল এবং সদ্য স্বাধীন একটি দেশ সারা বিশ্বের কাছ থেকে সম্ভ্রম আদায় করে নিয়েছিল। ভারতবর্ষের প্রথম সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে সারা বিশ্ব যে উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করেছিল তা আজও দেশবাসীকে গর্বিত করে।

শ্যামাপ্রসাদ ও ৩৭০ ধারা

শ্যামাপ্রসাদ ও ৩৭০ ধারা

ড. শ্যামাপ্রসাদ প্রাথমিক ভাবে ৩৭০ এর বিরোধিতা তো করেনইনি বরং তার পক্ষেই যে সওয়াল করেছিলেন তার এমন অসংখ্য প্রমান ছড়িয়ে আছে। আসলে ১৯৫৩ সালে হিন্দু মহাসভা ছেড়ে ভারতীয় জনসঙ্ঘ গঠন ক'রার পর কার্যত সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারনেই তিনি হঠাৎই ৩৭০ এর বিরোধিতা শুরু করেন।

লর্ড ক্লাইভের পোষ্য

লর্ড ক্লাইভের পোষ্য

তারপর ১৮৭৫ এর ২৭ ডিসেম্বর কি ১৮৭৬ এর ১ জানুয়ারি ভারতের রেল স্টেশনগুলোতে বৈদ্যুতিক বাতি লাগানোর সমীক্ষা চালাতে আসা জার্মান বিদ্যুৎ মিস্ত্রি কার্ল ল্যুইস শোয়েন্ডলারের সৌজন্যে অদ্বৈত ব্যারাকপুরের ক্লাইভ হাউজ থেকে চলে এসেছে আলিপুর চিড়িয়াখানায় - যে চিড়িয়াখানার উদ্বোধন করেছেন রাজা সপ্তম হেনরি স্বয়ং।

স্বামী বিবেকানন্দের সমাজ ভাবনা - নবজাগরণের সময়কালের ধর্মপ্রচার

স্বামী বিবেকানন্দের সমাজ ভাবনা - নবজাগরণের সময়কালের ধর্মপ্রচার

তিনি লিখেছিলেন "I am a socialist not because I think it is a perfect system, but half a loaf is better than no bread."

আত্মবলিদান দিবসে বীর বিপ্লবী মাষ্টারদা

আত্মবলিদান দিবসে বীর বিপ্লবী মাষ্টারদা

সূর্য সেন কৈশাের কালেই বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। যখন তিনি জাতীয় বিদ্যালয়ের ছাত্র , তখন অম্বিকা চক্রবর্তী সহ আরও কিছু বিপ্লবী নেতার সংস্পর্শে আসেন। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন হেমেন্দ্রলাল। তিনি ছিলেন বরিশাল যড়যন্ত্র মামলার পলাতক আসামি।তাঁর সংস্পর্শে এসে সূর্য সেন জাতীয়তাবাদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। সূর্য সেন বুঝতে পেরেছিলেন যে ,তাকে চরিত্র গঠন করতে হবে।

সফদর হাসমি মানে জাগা, জেগে থাকা, জাগানো।

সফদর হাসমি মানে জাগা, জেগে থাকা, জাগানো।

সফদর এমন একজন অনন্য সংগ্রামী মানুষ-নাট্যকর্মী-কবি-চিত্রশিল্পী-রাজনৈতিককর্মী-সংগঠক, যাঁর সম্পর্কে কথা বলতে গেলে মাথা-মেরুদণ্ড-মন-ভাষা-চেতনা সবকিছুই যেন আরও আরও সতেজ-প্রানবন্ত-দৃঢ়-শক্তিশালী হয়ে ওঠে। দিল্লিতে ১৯৫৪ সালের ১২ এপ্রিল অর্থাৎ আজকের দিনেই জন্ম তাঁর। স্বীকার করতে বাধা নেই, তাঁর জন্মদিন সকলে 'সেলিব্রেট' করে না।

ভারতে বেকারত্ব ৫ কোটি ছুঁতে চলেছে

ভারতে বেকারত্ব ৫ কোটি ছুঁতে চলেছে

গত কয়েক বছর ধরে ভারতে বেকারত্বের হার ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর হয়েছে। ২০১৯ সালে এটি গড়ে ৭.৪% ছিল, ২০২০-এর তুলনায় ১০% এর বেশি গড় (প্রথম লকডাউনে ২৫% সহ), তারপর ২০২১ সালে প্রায় ৭.৪ %-এ নেমে আসে এবং বর্তমানে নভেম্বরে প্রায় ৭.৫% অনুমান করা হয়েছিল।

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সর্বভারতীয় সম্মেলনে সঠিক বেতন ও সামাজিক সুরক্ষার দাবি

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সর্বভারতীয় সম্মেলনে সঠিক বেতন ও সামাজিক সুরক্ষার দাবি

অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড হেল্পার্স (AIFAWH) সারা দেশে ক্রমবর্ধমান শিশু অপুষ্টি মোকাবেলায় ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীন মনোভাবের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম তীব্র করার সংকল্প করেছে। সংস্থাটি নারী ও শিশু উন্নয়নের জন্য বাজেটে বরাদ্দের ব‍্যাপক হ্রাসের ফলে, দেশজুড়ে ছয় মাসের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে ।

কাতার বিশ্বকাপের লজ্জা-আয়োজনেই ১৫ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু!

কাতার বিশ্বকাপের লজ্জা-আয়োজনেই ১৫ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু!

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ‘ইন দ্য প্রাইম অব দিয়ার লাইভস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত এক দশকে, হাজার হাজার তরুণ অভিবাসীশ্রমিক কাতারে হঠাৎ এবং অপ্রত্যাশিতভাবে মারা গেছেন। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কাতারে ১৫ হাজার ৭৯৯ শ্রমিক মারা গেছেন। তাঁরা কাতার সরকারের অভিবাসী মৃত্যুর রেকর্ড থেকে এই সংখ্যার কথা জানিয়েছে। এসব শ্রমিক কাতারে কাজে যাওয়ার আগে বাধ্যতামূলক ফিটনেস মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। এত শ্রমিকের প্রাণহানির পরও কাতার কর্তৃপক্ষ আজ অবধি তাদের মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।

বীরসা মুন্ডার জন্ম। "উলগুলানের শেষ নাই। ভগবানের মরণ নাই"

বীরসা মুন্ডার জন্ম। "উলগুলানের শেষ নাই। ভগবানের মরণ নাই"

মুন্ডা ভাষায় বিদ্রোহকে বলা হয় 'উলগুলান'। বিরসার নেতৃত্বে মুন্ডাদের উলগুলান কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না। পৃথিবী যখন তথাকথিত সভ্য হয়ে এসেছে, ঠিক সেই সময় ভারতীয় উপমহাদেশের আদি জনগোষ্ঠী আদিবাসীদের অসভ্য বলে, নীচ বলে ঘৃণা করা হয়েছে। আদিবাসীরা অনেক সময়ই চুপ করে এসব সহ্য করেছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা মঙ্গলবার ৮০০ কোটি পেরিয়ে গেল ! ৪৮ বছরে দ্বিগুণ, পরের ডাবল কত বছরে?

বিশ্বের জনসংখ্যা মঙ্গলবার ৮০০ কোটি পেরিয়ে গেল ! ৪৮ বছরে দ্বিগুণ, পরের ডাবল কত বছরে?

রাষ্ট্রসংঘের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছতে ১২ বছর সময় লেগেছে। পরবর্তী ১৫ বছরে তা ৯০০ কোটিতে পৌঁছবে। পরিষ্কার করে বলতে গেলে ২০৩৭ নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা ৯০০ কোটিতে পৌঁছবে। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের অনুমান, বিশ্বের জনসংখ্যা ২০৫০-এ ৯৭০ কোটিতে পৌঁছবে।

ভারতে কর্ম-সংস্থানের অবস্থা ‘রীতিমতো উদ্বেগজনক’, রঘুরাম! প্রাক্তন RBI কর্তার তীর কেন্দ্রের দিকে

ভারতে কর্ম-সংস্থানের অবস্থা ‘রীতিমতো উদ্বেগজনক’, রঘুরাম! প্রাক্তন RBI কর্তার তীর কেন্দ্রের দিকে

তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের আরও অনেক কিছু করা বাকি রয়েছে। শুধুই আমরা এই শিখর স্পর্শ করেছি বা দেশের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি আমরা, এটুকুই দাবি করলে হবে না। বরং বর্তমান কর্ম সংস্থানের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য আরও কাজ করতে হবে। কারণ, দেশের কর্ম সংস্থানের পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক।’’

শহীদ হওয়ার ৫৫তম বর্ষে চে -- চে দেবতা নন ! পশ্চিমী বিজ্ঞাপনের হিরো মডেল নন!

শহীদ হওয়ার ৫৫তম বর্ষে চে -- চে দেবতা নন ! পশ্চিমী বিজ্ঞাপনের হিরো মডেল নন!

হুয়ান লিখেছেন, ‘এখানকার সবার কাছে চে একজন সাধু-সন্ন্যাসী হয়ে উঠেছেন। তাঁর ছবি সামনে নিয়ে প্রার্থনা করা হয়, অলৌকিক প্রত্যাশা করা হয় তাঁর কাছে। এ এক ভয়ংকর অবস্থা। আমার ভাইয়ের চিন্তা ও আদর্শ ধুয়েমুছে গেছে।’

গান্ধীজীর রাষ্ট্রচিন্তা ও রাজনৈতিক দর্শনের মূল বৈশিষ্ট্য |

গান্ধীজীর রাষ্ট্রচিন্তা ও রাজনৈতিক দর্শনের মূল বৈশিষ্ট্য |

গান্ধীজীর রাষ্ট্রচিন্তার উপর টলস্টয় এবং ডেভিড থােরাে প্রমুখের চিন্তা দর্শনের প্রভাব ছিল অপরিসীম। The Kingdom of God is within you এবং Essay on civil Disobedience গ্রন্থ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি রাষ্ট্রের প্রকৃতি সম্পর্কে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন। The Story of My Experiments with truth নামক আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, বিভিন্ন প্রবন্ধ, পুস্তক-পুস্তিকায় রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও প্রকৃতি সম্পর্কে আলােচনা করেছেন। গান্ধীজীর মতে, রাষ্ট্র হল কেন্দ্রীভূত শক্তি বা হিংসার বহিঃপ্রকাশ (“The State represents violence in a concentrated and organised form") রাষ্ট্রকে তিনি ভয়ের চোখে দেখতেন, তিনি মনে করতেন রাষ্ট্র মানুষের সার্বিক বিকাশের পরিপন্থী। তার মতে, সেই সরকারই ভালাে যে সরকার সবচেয়ে কম শাসন করে (...that government is best, which govern the least) গান্ধিজি রাষ্ট্রকে নিজেই নিজের লক্ষ্য (an end in itself) বলে মনে করতেন।

জন্মদিবসে ভগৎ সিং! ফাঁসির পর শতগুণ বেশি জীবন্ত ।

জন্মদিবসে ভগৎ সিং! ফাঁসির পর শতগুণ বেশি জীবন্ত ।

ভগৎ সিংয়ের ফাঁসির ব্যাপারে গান্ধিজির আপাত নীরবতা এবং তা রোধ করতে তাঁর নিরুৎসাহ নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। বিয়য়টি, যতদূর সম্ভব, মন দিয়ে আমি পড়েছি। এমন নয়, গান্ধিজি অহিংস সত্যাগ্ৰহী ছিলেন বলে, ভিন্ন পথের দেশসেবীদের আত্মবলিদানে তিনি বিচলিত হতেন না। তিনি 'অমানবিক' ছিলেন, এমন কথা ভাবা বা বলা অসঙ্গত। ১৯৩০-এ গান্ধি-আরউইন চুক্তি সই হয়, এর আগে ও পরে ভাইসরয় আরউইনের সঙ্গে তাঁর ভগতের ফাঁসির বিষয়ে কথা হয়েছে , কিন্তু আরউইন গান্ধির অনুরোধ রাখেননি। ভগৎ সিংয়ের মৃত্যুর পর গান্ধিজি কাগজে লিখিত বিবৃতি দিয়ে ব্রিটিশের কড়া নিন্দা এবং ভগতের দেশপ্রেমের প্রতি প্রগাঢ় ও অকুন্ঠ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

মহালয়ায় বাঙালি- বাজল তোমার আলোর বেনু - ২য় ভাগ

মহালয়ায় বাঙালি- বাজল তোমার আলোর বেনু - ২য় ভাগ

১৯৩২-এ বাণীকুমারের প্রযোজনায় সম্প্রচারিত হল শারদ-আগমনী গীতিআলেখ্য ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। তখন এটি ঘিরে তীব্র আপত্তি ওঠে। ধর্মকে যাঁরা চিরদিন বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রাখতে চায়, সেই রক্ষণশীলদের পক্ষ থেকে। প্রতিবাদের মূল কারণ ছিল – এক অব্রাহ্মণ ব্যক্তির কন্ঠে কেন চণ্ডীপাঠ শোনা যাবে? রুখে দাঁড়ালেন বাণীকুমার। গ্রন্থনা ও চণ্ডীপাঠ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রই করবেন এই সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন তিনি। আর মায়ের এই আরাধনায় মুসলমান শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করবেন৷ সে-ও আটকাবে না কিছুতেই৷ মা শুধু হিন্দুর মা নন। এই লড়াকু মনোভাব লেখা ছিল যেন মজ্জায়৷

মহালয়ায় বাঙালি- বাজল তোমার আলোর বেনু - ১ম ভাগ  পরে ২য়                                                   

মহালয়ায় বাঙালি- বাজল তোমার আলোর বেনু - ১ম ভাগ  পরে ২য়                                                   

মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় দ্বিপ্রহরে নদী বা হ্রদের তীরে বা শ্রাদ্ধকর্তার গৃহে। অনেক পরিবার ‘বারাণসী’ বা ‘গয়া’য় গিয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করেন। মৃত ব্যক্তির পুত্র (বহুপুত্রক হলে জ্যেষ্ঠ পুত্র) বা পিতৃকুলের কোনো পুরুষ আত্মীয়ই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের অধিকারী এবং শ্রাদ্ধ কেবলমাত্র পূর্ববর্তী তিন পুরুষেরই হয়ে থাকে। মাতার কুলে পুরুষ সদস্য না থাকলে সর্বপিতৃ অমাবস্যায় দৌহিত্র মাতামহের শ্রাদ্ধ করতে পারেন। কোনো কোনো বর্ণে কেবলমাত্র পূর্ববর্তী এক পুরুষেরই শ্রাদ্ধ করা হয়।

শনির বলয় কি তার চাঁদের ধ্বংসস্তূপ?

শনির বলয় কি তার চাঁদের ধ্বংসস্তূপ?

শনির বয়সও হল সাড়ে চারশো কোটি বছর। বিজ্ঞানীদের সন্দেহ, তার জীবনকালের বেশি সময়টাই হয়তো সে বলয়হীন ছিল। আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার ক্যাসিনি অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায়ের তথ্যগুলো ঘেঁটে বিজ্ঞানীদের সন্দেহ এমনটাই। তারা জানিয়েছেন, আনুমানিক ১৬ কোটি বছর আগে শনির একটি উপগ্রহ তার একেবারে কাছে চলে এসেছিল। এর পর দৈত্যাকার গ্যাসীয় পিণ্ড গ্রহটির প্রবল মাধ্যাকর্ষণ বলে উপগ্রহটি ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অসংখ্য খণ্ড হয়ে ছড়িয়ে পড়ে তার কক্ষপথ জুড়ে। শনির চারপাশে একে দেয় এক বিচিত্র মহাজাগতিক দৃশ্য।

মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের রেকর্ড হার,কেরল সর্বনিম্ন বেকার  

মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের রেকর্ড হার,কেরল সর্বনিম্ন বেকার  

আজাদির অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে দেশ আগামী পঁচিশ বছরে কেমন হবে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাণী শুনেছে জনগণ। অর্থনৈতিক অগ্রগতির রঙিন স্বপ্ন দেখানো হয়েছে দেশবাসীকে। কিন্তু দেশের বর্তমান ছবিটা ভয়াবহ।  তিনি যখন ভবিষ্যতের ছবি দেখাচ্ছেন, তখন সেই অগাস্ট মাসেই দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেকারত্ব রেকর্ড হারে বেড়েছে। সিএমআইই-র গত অগাস্ট মাসের হিসেব বলছে, দেশের যুব সমাজের প্রতি ১০০ জনে ৩৪ জন বেকার।

৯/১১ : টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ২১ বছর পর ফিরে দেখা

৯/১১ : টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ২১ বছর পর ফিরে দেখা

বহুদিন আগে থেকেই আফগানিস্তানের প্রগতিশীল শাসক নাজিব্বুল্লা সোভিয়েত সহযোগিতায় উন্নত দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তাই চরম মৌলবাদী শক্তি ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে আল কায়দা  গড়ে ওঠে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত‍্যক্ষভাবে এই গোষ্ঠীকে সহযোগিতা করতে থাকে। শেষে সোভিয়েতের ক্ষমতাহীন হয়ে যাওয়ার ফলে আফগানিস্তানে নাজিব সরকার দূর্বল হয়ে পড়ে। সেই সুযোগেই তালিবানরা ক্ষমতা দখল করে। এবং নৃশংসভাবে গাছে ফাঁসি দিয়ে নাজিবুল্লাকে হত‍্যা করে। এই সময় পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাদেনের পক্ষেই ছিল। কিন্তু ক্রমশ মার্কিন সাম্রাজ‍্যবাদের কথা না শোনার প্রবনতা লক্ষ করা যায়। সন্ত্রাসী মৌলবাদ গোটা পৃথিবীতেই সভ‍্যতার বিপদ হিসেবে দেখা যায় এবং ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার ধ্বংস হয়। 

৯/১১ : টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ২১ বছর 

৯/১১ : টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ২১ বছর 

বহুদিন আগে থেকেই আফগানিস্তানের প্রগতিশীল শাসক নাজিব্বুল্লা সোভিয়েত সহযোগিতায় উন্নত দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তাই চরম মৌলবাদী শক্তি ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে আল কায়দা  গড়ে ওঠে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত‍্যক্ষভাবে এই গোষ্ঠীকে সহযোগিতা করতে থাকে। শেষে সোভিয়েতের ক্ষমতাহীন হয়ে যাওয়ার ফলে আফগানিস্তানে নাজিব সরকার দূর্বল হয়ে পড়ে। সেই সুযোগেই তালিবানরা ক্ষমতা দখল করে। এবং নৃশংসভাবে গাছে ফাঁসি দিয়ে নাজিবুল্লাকে হত‍্যা করে। এই সময় পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাদেনের পক্ষেই ছিল। কিন্তু ক্রমশ মার্কিন সাম্রাজ‍্যবাদের কথা না শোনার প্রবনতা লক্ষ করা যায়। সন্ত্রাসী মৌলবাদ গোটা পৃথিবীতেই সভ‍্যতার বিপদ হিসেবে দেখা যায় এবং ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার ধ্বংস হয়। 

গণেশঃ গণপতি থেকে গজানন, বিনায়ক থেকে বিঘ্নেশ

গণেশঃ গণপতি থেকে গজানন, বিনায়ক থেকে বিঘ্নেশ

তামিলনাডুতে গণেশ হলেন পিল্লাই বা পিল্লাইয়ার। তামিল ভাষায় পিল্লে মানে আদুরে শিশু। গাল পাড়ার সময় হিন্দিতেও মনুষ্যেতর প্রাণীর বাচ্চা বোঝাতে ওই প্রাণীটির সঙ্গে তামিল পিল্লে শব্দটি জুড়ে দিতে আমরা দেখেছি - যেমন কুত্তে কি পিল্লে। আবার পালি ভাষায় পিল্লাকা মানে হস্তীশাবক। তামিল পিল্লু মানেও বাচ্চা হাতি কিম্বা হাতির দাঁত। তাহলে কি হাতির মুখওয়ালা গনেশ আদতে আর্য্য দেবতাই নয়! জনপ্রিয় কোনো দেশজ দেবতা বা টোটেমকে ব্রাম্ভণ্যধর্মে আত্মীকরণ করার উদ্দেশ্যেই কি তবে খ্রীষ্টীয় চতুর্থ-পঞ্চম শতক ও তার পরবর্তী সময়ে লিখিত পুরাণগুলিতে গণেশ নিয়ে এত চর্চা; এত লেখালিখি! 

ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলন :  ৩১আগষ্ট ১৯৫৯এর আগে ও পরে।

ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলন :  ৩১আগষ্ট ১৯৫৯এর আগে ও পরে।

৩১ শে আগস্ট খাদ্যমন্ত্রীর অপসারন ও খাদ্যের দাবিতে এবং পুলিশি দমন-পীড়নের প্রতিবাদে কলকাতায় শহীত মিনার ময়দানে লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত হলো। মহাকরণ অভিমুখে চলমান শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর পুলিশ লাঠি চালায়। সহস্রাধিক মানুষ পুলিশের আক্রমণে আহত হলেন। সাধারণভাবে বলা হয় ৮০ জন, কিন্তু আরো কতজন মানুষ ঐ  আক্রমনে মারা যান তার হিসেব মেলেনি বলে জানা যায় । শেষ রাতে প্রচুর মৃতদেহ পাচার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

বুরে দিন! ডাল ভাতেও জিএসটি হু হু করে বাড়বে দাম, পুঁজিপতিদের আয়কর ফাঁকির ঘাটতি পূরনে নিম্নআয়ের মানুষ

বুরে দিন! ডাল ভাতেও জিএসটি হু হু করে বাড়বে দাম, পুঁজিপতিদের আয়কর ফাঁকির ঘাটতি পূরনে নিম্নআয়ের মানুষ

মুদ্রাস্ফীতির কারণে ইতিমধ্যেই ত্রস্ত ভারতের সাধারণ মানুষ। সরকারি কর্মী ছাড়া বেসরকারি ক্ষেত্রে নিচুতলার কর্মীদের অবস্থা হয়ে উঠেছে আরও খারাপ। বেতন বৃদ্ধি না হলেও প্রতিদিন দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি রিপোর্ট মোতাবেক, ইতিমধ্যেই ভারতের মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৮ শতাংশের কাছাকাছি। ভারতের মতো এরকম একটা বিপুল সংখ্যা দেশের জন্য এটা মোটেও খুব একটা ভালো সংকেত নয়। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল একটি দেশের জন্য তো একেবারেই নয়। তবে তারই মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য রয়েছে আরও একটি খারাপ খবর। আজ, অর্থাৎ সোমবার, ১৮ জুলাই থেকেই সারা ভারতে বেশ কিছু পণ্যের ওপর থেকে কর ছাড়ের সুবিধে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

উগ্র জাতীয়তাবাদ , পপুলিস্ট অর্থনীতি ও রাজনৈতিক অদূরদর্শিতাই শ্রীলঙ্কার সংকটের কারণ

উগ্র জাতীয়তাবাদ , পপুলিস্ট অর্থনীতি ও রাজনৈতিক অদূরদর্শিতাই শ্রীলঙ্কার সংকটের কারণ

সিংহলি উগ্র জাতীয়তাবাদের পালে হাওয়া দেওয়ার মতো নানা অগণতান্ত্রিক কাজ করেছেন রাজাপক্ষে ভাইয়েরা। সিংহলি উগ্র জাতীয়তাবাদের পালে হাওয়া দেওয়ার মতো নানা অগণতান্ত্রিক কাজ করেছেন রাজাপক্ষে ভাইয়েরা। স্বৈরাচারী মানসিকতা শ্রীলঙ্কা সংকটের মূল কারণ চীনের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঋণসহ বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নিয়ে যাচ্ছেতাই করা থেকে শুরু করে পরিণাম না ভেবে তৎকালীন অর্থমন্ত্রীর দেউলিয়া হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণীর পরও ভ্যাট অর্ধেকে নামিয়ে আনা, পুরো কৃষিকে জৈবকৃষিতে রূপান্তর করার মতো উদ্ভট চিন্তাগুলো এসেছে রাজাপক্ষেদের স্বৈরাচারী মানসিকতার কারণে। এটাই আসলে শ্রীলঙ্কার সংকটের প্রধান কারণ।

জ্যোতি বসু মিলিয়ে দিলেন ভারত -বাংলাদেশকে ১০৯তম জন্মদিন বাংলাদেশে উদযাপন

জ্যোতি বসু মিলিয়ে দিলেন ভারত -বাংলাদেশকে ১০৯তম জন্মদিন বাংলাদেশে উদযাপন

পশ্চিমবঙ্গের টানা ২৩ বছরের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর বাংলাদেশের ছিল নাড়ীর টান। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনার গাঁ উপজেলার বারদী গ্রামে চৌধুরী পাড়ায় জ্যোতি বসুর পৈতৃক ভিটে এখন পাঠাগার। মুক্তিযুদ্ধের সময় একাধিকবার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে তাঁদের উৎসাহিত করেছেন পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

হুল দিবস! সাম্রাজ‍্যবাদের বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ গনসংগ্রাম

হুল দিবস! সাম্রাজ‍্যবাদের বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ গনসংগ্রাম

১৮৫৫ সালেই যে সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা তা নয়, এর আরও ৭৫ বছর আগে ১৭৮০ সালে সাঁওতাল জননেতা তিলকা মুরমুর (যিনি তিলকা মাঞ্জহী নামে পরিচিত) নেতৃত্বে শোষকদের বিরুদ্ধে সাঁওতাল গণসংগ্রামের সূচনা হয়। তিনি সর্বপ্রথম সাঁওতাল মুক্তিবাহিনী গঠনের মাধ্যমে পাঁচ বছর ধরে ইংরেজ শাষকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালান।

এই বাংলায় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার আধিপত্য

এই বাংলায় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার আধিপত্য

হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল যখন পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের ঘাঁটি গড়তে মরীয়া, তখন সামান্য খোঁচাতেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে মুসলিম-বিদ্বেষ৷ এবং না, শিক্ষা এক্ষেত্রে কোনো হেরফের ঘটায়নি৷ অতি উচ্চ শিক্ষিত, সফল পেশাদাররাও এখন প্রকাশ্যে বলছেন, ‘‘‌ওদের‌ বড্ড বাড় বেড়েছে৷ শিক্ষা না দিলে চলছে না!‌''‌ কী রকম শিক্ষা?‌ গুজরাটে যেমন দেওয়া হয়েছিল!‌

১২ই জুন শিশুশ্রম বিরোধী দিবসে সামাজিক  সুরক্ষা বৃদ্ধির দাবী

১২ই জুন শিশুশ্রম বিরোধী দিবসে সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধির দাবী

শুধু ভাত কাপড়ের জোগাড় নয়, কখনো কখনো এর বাইরে রোজগারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। রোগ নিরাময়, ওষুধ পত্র কেনার জন্য, বাড়িতে ভাই ও বোনের সংখ্যাও কম নয়, তাই তো সকলকে সামান্য পেট ভরানোর জন্য সেই শিশুটিকে মোটর গ্যারেজ, মিষ্টির দোকানে জোগারে হিসেবে পাঠাতে হয়।

প্লাস্টিকখেকো কেঁচো মাটিদূষণ রোধে দিশা  দেখাচ্ছে

প্লাস্টিকখেকো কেঁচো মাটিদূষণ রোধে দিশা দেখাচ্ছে

ক্ষতিকর পচনরোধী বর্জ্য পরিবেশে ৪০০ থেকে ১ হাজার বছর পর্যন্ত থাকতে পারে এবং নানা রকম মাইক্রো বা ন্যানো কণা বা ক্ষতিকর পদার্থ নিঃসরণ করে প্রতিবেশে ও মানবস্বাস্থ্যে ভয়ংকর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্লাস্টিকদূষণ বিশ্বের সব দেশে এবং সব পরিবেশে এমনকি মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া, গভীর সমুদ্রের তলদেশ এবং মেরু অঞ্চলেও বিস্তৃত।

মানুষের আন্দোলনই বাঁচাতে পারে পরিবেশকে

মানুষের আন্দোলনই বাঁচাতে পারে পরিবেশকে

কলকাতায় সবুজের শামিয়ানা হু হু করে কমছে। গত দশ বছরে সবুজ কমেছে ৩০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের রিপোর্ট পাওয়ার পরেও রাজ্য সরকার নির্বিকার। কলকাতায় ভূগর্ভস্থ জলস্তর নেমেই চলছে। তবুও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলিকে বহুতলে মাটির নীচের জল তুলতে অনুমতি দিচ্ছে কর্পোরেশন। পাম্পের শক্তি বাড়িয়ে অতিগভীর থেকে জল তোলার ফলে বৃহত্তর কলকাতার বেশিরভাগ অঞ্চলে পানীয় জলে বাড়ছে আর্সেনিক-ফ্লুরাইড দূষণ। তবু নীতি পরিবর্তনে আগ্রহী নয় সরকার। লালসা গিলছে কল্লোলিনীকে।

ভারত পথিক রামমোহন ২৫০ ।এক নিরন্তর সত্য সন্ধানী ও আজকের ভারত

ভারত পথিক রামমোহন ২৫০ ।এক নিরন্তর সত্য সন্ধানী ও আজকের ভারত

বাংলার তথা দেশের নবজাগরণের প্রতীক এর ২৫০ তম জন্মদিবসে আমরা দেখতে পাচ্ছি এখনকার ভারতবর্ষে মৌলবাদী চিন্তা ও সংস্কারকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে । বাংলার তথা দেশের নবজাগরণের প্রতীক বেঁচে থাকলে এই নতুন অধ্যায় হয়তো সহ্য করতে পারতেন না।

৩ মাসের মধ্যে  বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ হাইকোর্টের! মামলায় রাজ‍্যের আবেদন খারিজ,

৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ হাইকোর্টের! মামলায় রাজ‍্যের আবেদন খারিজ,

এদিন হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৩১ শতাংশ বকেয়া ডিএ আগামী তিন মাসের মধ্যে মধ্যে মেটাতে হবে সরকারকে। শুধু তাই নয়, কর্মীদের জন্য ডিএ -র গুরুত্ব কতটা, সেটা বোঝানোরও চেষ্টা করছে ডিভিশন বেঞ্চ

দেশপ্রেম জাতীয়তাবাদ ও আজকের ভারতবর্ষে রবীন্দ্রনাথ

দেশপ্রেম জাতীয়তাবাদ ও আজকের ভারতবর্ষে রবীন্দ্রনাথ

তার জীবনে ফ্যাসিবাদের উত্থান একটা বড় ঘটনা। প্রথম অবস্থায় ফ্যাসিবাদ কে প্রগতিবাদের মোড়কে উপস্থাপিত করা হলে রবীন্দ্রনাথের মতন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইন্টেলেকচুয়াল বিভ্রান্ত হন। পরে রোমা রোলা তাকে ইটালিতে মুসোলিনির চরিত্র বুঝিয়ে দেন। রবীন্দ্রনাথ উপলব্ধি করেন এবং বার বার তিনি উগ্র জাতীয়তাবাদের নামে ফ্যাসিবাদ কে ঘৃণা করেছেন। সেজন্যই তার তাসের দেশের তাসেরা মানুষ হয়ে ওঠে, অচলায়তন ভেঙে পড়ে, মুক্তধারা বইতে থাকে এবং রক্তকরবীর সেই ভীষণ রাজারও পতন ঘটে। রবীন্দ্রনাথের ‘সভ্যতার সংকট’-এ ইংরেজ রাজত্বের অবসানের অবশ্যম্ভাবিতার যে বিশ্বাস ফুটে উঠেছে, তার সেই একই বিশ্বাস সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রেও। তার পাহাড় মেঘ হয়, নদী থাকে সতত প্রবহমান, আর মানুষ এগিয়ে চলে মুক্তির লক্ষ্যে- সব বন্ধন ছিন্ন করে। তার মতে, মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। মানুষের শক্তির ওপর আস্থা তার অবিচল।

আজ জন্মদিনে বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্বাধীনতা যুদ্ধের অনন্য সেনানী

আজ জন্মদিনে বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্বাধীনতা যুদ্ধের অনন্য সেনানী

বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনের সাথে সাক্ষাতের আগ্রহের কথা প্রীতিলতা কল্পনা দত্তকে বললেন। প্রীতিলতা কলকাতা থেকে আসার এক বছর আগে থেকেই কল্পনা দত্ত বেথুন কলেজ থেকে বদলি হয়ে চট্টগ্রাম কলেজে বি এস সি ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সুবাদে প্রীতিলতার আগেই কল্পনা দত্তের সাথে মাস্টার দা সূর্য সেনের দেখা হয়েছিল। প্রীতিলতার প্রবল আগ্রহের কারণেই কল্পনা দত্ত একদিন রাতে গ্রামের এক ছোট্ট ঘরে তার সাথে নির্মল সেনের পরিচয় করিয়ে দেন।

মোদী সরকারের  নয়া শ্রম কোড: শ্রমিকের অধিকার বিরোধী এবং কর্পোরেটের মুনাফার লক্ষ্য

মোদী সরকারের নয়া শ্রম কোড: শ্রমিকের অধিকার বিরোধী এবং কর্পোরেটের মুনাফার লক্ষ্য

দেশে ৪৪টি শ্রম আইনের বিলোপ ঘটিয়ে চারটি শ্রমকোডের এসেছে। এই চারটি কোডে শ্রমজীবী মানুষের সমস্ত আইনি অধিকার কেটেকুটে সর্বতোভাবে মালিকরাজ তৈরির কেন্দ্রীয় সরকারি পরিকল্পনা মোটামুটি পাকা। এই ৪৪টি শ্রম আইনেই কি দেশের শ্রমিকরা চরম সুখে ছিলেন? উত্তর হল, না। কিন্তু এই আইনগুলি যথেষ্ট না হলেও আইনিভাবে একটা পর্যায় অবধি শ্রমিকদের অধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করেছিল। এই আইন প্রণয়নও তো একদিনে হয়নি! এই দেশের শ্রমজীবী মানুষের লড়াইয়ের ফলস্বরূপই পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত হতে হতে গেছে এই আইনগুলি। এবার এই কষ্টার্জিত অধিকারটুকুও কেড়ে নিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার।

বিশ্ব বই দিবস সঙ্গে কপিরাইট দিবসে বই নিয়ে হৈ চৈ

বিশ্ব বই দিবস সঙ্গে কপিরাইট দিবসে বই নিয়ে হৈ চৈ

দিবসের মূল ধারণাটি আসে ভ্যালেন্সীয় লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে। তিনি তার প্রিয় লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেসকে সম্মান জানানোর একটি উপায় হিসাবে ধারণাটি দেন। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি রাজা আলফনসো ত্রয়োদশ স্পেন জুড়ে স্পেনীয় বই দিবস পালনের জন্য একটি রাজকীয় ফরমান জারি করেন। পরে সমগ্র স্পেনে দিবসটি পালন করা শুরু হয়। প্রথমে ৭ অক্টোবর থের্ভান্তেসের জন্মদিনে দিবসটি পালন শুরু হয়, পরে তা তার মৃত্যুদিন ২৩ এপ্রিলে স্থানান্তর করা হয়।

ভারতে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোর প্রক্রিয়া বাড়ছে, প্রশাসনের উদাসীনতার আড়ালে প্রশ্রয়ের অভিযোগ

ভারতে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোর প্রক্রিয়া বাড়ছে, প্রশাসনের উদাসীনতার আড়ালে প্রশ্রয়ের অভিযোগ

ভারতে সম্প্রতি ১০ই এপ্রিল যে রাম নবমী পার্বণ হয়ে গেল তার আগের বেশ কয়েকদিন ধরে একের পর এক এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যাতে নতুন করে প্রমাণিত হয়েছে ঘৃণা ছড়িয়েও দেশটিতে সহজে পার পাওয়া যায়।

আম্বেদকরের জন্মদিবসে ভারতের সংবিধানের কথা

আম্বেদকরের জন্মদিবসে ভারতের সংবিধানের কথা

সংবিধান হাতে লিখছেন প্রেমবিহারী নারায়ণ রায়জাদা। মূল সংবিধানটি হাতে লেখেন প্রেমবিহারী নারায়ণ রায়জাদা। অসাধারণ সুন্দর হাতের লেখা ছিল তাঁর। সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এই সংবিধানটি ফটোলিথো করে। সেই মুদ্রণ হয়েছিল দেরাদুনে। সংবিধান চিত্রিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয় শান্তিনিকেতনকে। তাই অনেক পৃষ্ঠাতেই রয়েছে নন্দলাল বসু ও রামমনোহর সিংহের হাতে আঁকা ছবি।

আম্বানিকে টপকে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানি

আম্বানিকে টপকে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানি

১০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক আদানি ৯৯ ডলারের মালিক আম্বানিকে টপকে গোটা বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় দশ নম্বরে চলে এলেন। গোটা দেশের অর্থনীতি যখন ধুঁকছে তখন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আদানির সম্পত্তির পরিবার স্রেফ এই বছরেই এখনও অব্দি ২৩.৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।

২৮-২৯ মার্চ,২০২২ – দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট। নতুন উচ্চতায় সংগ্রামের স্থাপনা

২৮-২৯ মার্চ,২০২২ – দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট। নতুন উচ্চতায় সংগ্রামের স্থাপনা

দেশের মানুষ এক স্বৈরাচারী সরকারের তরফে জীবন জীবিকার উপর এক ভয়ঙ্কর আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে। অতিমারির গোটা সময়কালে বর্তমান সরকারের নয় উদারবাদী শাসন ব্যবস্থার দাঁত নখ বার করা এক নিষ্ঠুর অমানবিক চরিত্র দেখেছে । অতিমারির সময়কালে মানুষের দুঃখ দুর্দশা কে কাজে লাগিয়ে এই সরকার কোনো রাখঢাক না রেখেই আর্থিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে চূড়ান্ত হিংস্র এবং ধ্বংসাত্মক নীতিসমূহের প্রণয়ন করেছে স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে। কৃষি ক্ষেত্রে তিন কালা কানুন প্রণয়নের উদ্দেশ্যই ছিল কৃষির উপর কৃষকদের অধিকার বিলোপ করে গোটা কৃষি ক্ষেত্রকে মষ্ঠিমেয় মুনাফালোভী কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়ার, যার ফলে দেশের স্বনির্ভরতা এবং দেশের অগুণতি ক্ষুধায় পীড়িত মানুষের খাদ্যের ন্যুনতম নিরাপত্তাকে শেষ করে দেওয়া। বর্তমান শ্রম কোডের উদ্দেশ্য হল’ শ্রমিক শ্রেণীকে ক্রীতদাসে রূপান্তরিত করা

১৪ই মার্চ! জন্মদিবসে আলবার্ট আইনস্টাইন ও সত‍্যের সন্ধান

১৪ই মার্চ! জন্মদিবসে আলবার্ট আইনস্টাইন ও সত‍্যের সন্ধান

১৯৩৩ সালে এডলফ হিটলার জার্মানিতে ক্ষমতার সময় আইন্সটাইন বার্লিন একাডেমি অব সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন। ইহুদী হওয়ার কারণে আইনস্টাইন সে সময় দেশত্যাগ করে আমিরেকায় চলে আসেন এবং আর জার্মানিতে ফিরে যান নি। আইনস্টাইন পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ দার্শনিক বার্টান্ড রাসেলের সঙ্গে মিলে আণবিক বোমার বিপদের কথা তুলে ধরে রাসেল-আইনস্টাইন ইশতেহার রচনা করেন।

১৪ই মার্চ! প্রয়ান দিবসে কার্ল মার্কস কিছু বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি সঙ্গে এঙ্গেলসের স্মৃতিচারণ

১৪ই মার্চ! প্রয়ান দিবসে কার্ল মার্কস কিছু বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি সঙ্গে এঙ্গেলসের স্মৃতিচারণ

মৃত্যু দিবসে তাঁকে স্মরণ করতে গিয়ে প্রথমেই বোধহয় বলা সঙ্গত যে 'মার্কসের মৃত্যু নেই'।

প্রখ‍্যাত মার্কসীয় চিন্তক আইজাজ আহমেদের সম্পর্কে আলোচনা

প্রখ‍্যাত মার্কসীয় চিন্তক আইজাজ আহমেদের সম্পর্কে আলোচনা

Post-Marxism is nothing other than pre-Marxism, a return to the idealism that Marx went beyond’. বলেছিলেন, ' 'উত্তর মার্কসবাদ প্রাক-মার্কসবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়, মার্কসকে অতিক্রম করে ভাববাদে প্রত্যাবর্তন'। এই মন্তব্যের জন্য, আইজাজের মনে ছিল আর্নেস্টো ল্যাকলাউ এবং চ্যান্টাল মুফের অত্যন্ত প্রভাবশালী বই, হেজেমনি অ্যান্ড সোশ্যালিস্ট স্ট্র্যাটেজি, 1985, যেটি ইতালীয় কমিউনিস্ট আন্তোনিও গ্রামসিকে একজন উত্তর-আধুনিক চিন্তাবিদ হিসেবে দেখেছিল । এই প্রেক্ষাপটেই আইজাজ গ্রামসির কাজ সম্পর্কে তার গভীর অধ‍্যয়ন শুরু করেন।

"Gender equality today for a sustainable tomorrow" আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ এর থিম

"Gender equality today for a sustainable tomorrow" আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ এর থিম

১৯৪৫ সালে, জাতিসংঘের সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং এটি ছিল নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতার নীতি নিশ্চিত করার প্রাথমিক আন্তর্জাতিক চুক্তি। তারপর থেকে, জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী নারীর মর্যাদাকে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত পদ্ধতি , মান, কর্মসূচি এবং লক্ষ্যগুলির একটি ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার তৈরি করতে সাহায্য করেছে।

স্ট্যালিন ভগৎ সিংকে যখন সোভিয়েত ইউনিয়নে আমন্ত্রণ করেছিলেন।

স্ট্যালিন ভগৎ সিংকে যখন সোভিয়েত ইউনিয়নে আমন্ত্রণ করেছিলেন।

সওকাত ওসমানী তাসখন্দে ১৯২০ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির একজন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এই শওকত ওসমানীই ভগৎ সিং এর সাথে স্ট্যালিনের যোগাযোগের মাধ্যম ছিলেন। যে ওসমানীকে ভারতে এম এন রায় পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় বিপ্লবীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। তৎকালীন হিন্দি পত্রিকা "প্রতাপ" যা ১৯২০ সালে কানপুর থেকে প্রকাশিত হতো,এর সম্পাদক স্বনামধন্য ব্যক্তি গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থীর মাধ্যমে ভারতীয় বিপ্লবীদের সাথে যোগাযোগ করেন।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজির ভূমিকা  ও অক্ষশক্তিবর্গের সঙ্গে সম্পর্ক

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজির ভূমিকা ও অক্ষশক্তিবর্গের সঙ্গে সম্পর্ক

জার্মানি ও জাপান দুই দেশের কাছেই নেতাজি সাহায্যলাভের আশায় গেছিলেন। কিন্তু কখনোই তিনি হিটলারের 'অপারেশন বারবারোসাকে' সমর্থন করেননি। ফিলিপন্স, চিনে, বর্মাতে জাপ সৈন্যদের বর্বরতাকেও তিনি মেনে নেননি। সহায়তা পেতে তিনি প্রথমে সোভিয়েত রাশিয়াতেই গেছিলেন। কিন্তু তখন রাশিয়ার সাথে নাৎসি জার্মানির তীব্র লড়াই চলছে। স্তালিনগ্রাদ ও ককেশাসে স্তালিন হিটলারকে কড়া প্রতিরোধের মুখে ফেলে দিয়েছেন। তাই যুদ্ধরত রাশিয়া থেকে তাঁকে খালি হাতেই ফিরতে হল। অতএব তাঁকে শিবির বদল করতেই হল। তিনি জার্মানির স্মরণাপন্ন হলেন। কিন্তু জার্মানি তখন রাশিয়ায় প্রবল প্রতিরোধের মুখে। তাই নাৎসি সরকারের থেকে কোনও সহায়তা তিনি পেলেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে যুদ্ধ সংক্রান্ত বিভিন্ন দলিল ও নথিপত্রে দেখা যায় যে নেতাজির সঙ্গে নাৎসি সরকারের মোটেই সদ্ভাব ছিল না। কারণ কোনও প্ররোচনাতেই তিনি স্তালিনের বিরুদ্ধে, সোভিয়েতের বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য রাখেননি,

একুশ কি দিয়েছে? কি ভাবতে শিখিয়েছে?

একুশ কি দিয়েছে? কি ভাবতে শিখিয়েছে?

দ্বিতীয় দিন ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তাল রাজপথের মিছিলে আবার গুলি- আবারও শহীদ সফিউর, আউয়াল, কিশোর ওহিউল্লাহ প্রমুখ। শহীদ স্মৃতি অমর করতে ঢাকায় মেডিক্যাল হোস্টেল প্রাঙ্গণে এক রাতে (২৩ ফেব্রুয়ারি) তৈরি হয় শহীদ মিনার- তৈরি হয় দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা শহরে প্রতিবাদী ছাত্রদের হাতে। আন্দোলন ছড়িয়ে যায় গ্রামাঞ্চলে।

সরস্বতী পুজার ইতিহাস ও অনেক ফেলে আসা কথা যা একাধারে নন্দিত ও নিন্দিত

সরস্বতী পুজার ইতিহাস ও অনেক ফেলে আসা কথা যা একাধারে নন্দিত ও নিন্দিত

বসন্তের শুরুতে এই ভ্যালেন্টাইনস ডে আসার অনেক আগে থেকেই স্কুলে, ক্লাবে বাগদেবীর আরাধনার সঙ্গে সঙ্গে শহরের বুকে অজস্র নির্মল কিশোর 'প্রেম' গড়ে ওঠার সাক্ষী থাকে সরস্বতী পুজো। এই শহরে দুর্গাপুজোর পর বোধহয় সরস্বতী পুজোর জৌলুসই সবচেয়ে বেশি। প্রথম দিকে ছবিটা কিন্তু এরকম ছিল না। টোল-চতুস্পাঠীগুলোতে দেবী পূজিতা হতেন পাতায় পটে। সেখান থেকে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসবে উত্তরণ ঘটেছে কিন্তু 'বাবু সমাজ'এর হাত ধরেই। ইংরেজি শিক্ষিত বাবু সমাজের নানান কাজের মতোই যুগপৎ নিন্দিত ও নন্দিত কলকাতায় সরস্বতী পুজোর ইতিহাস।

মীর নিসার আলি মানে প্রতিরোধ

মীর নিসার আলি মানে প্রতিরোধ

"সাহেব, তোমরা আমাদের দেশে এলে ক্যানে? আমরা তো তোমাদের কোন ক্ষেতি করিনি, আমরা তো ছিলাম ভাইয়ে ভাইয়ে গলাগলি করে, হিন্দু মুসলমানের প্রীতি বাহু বেঁধে বাংলা মায়ের শ্যামল অঞ্চলে মুখ ঢেকে...হাজার হাজার মাইল দূরে এসে ক্যানে বুট জুতা মাড়াতে এলে আমাদের স্বাধীনতা...” --এই ছিলো উৎপল দত্তের তিতুমীরের কথা।

প্রবন্ধ -রাজনৈতিক ও জীবনদর্শনে গান্ধীজী

প্রবন্ধ -রাজনৈতিক ও জীবনদর্শনে গান্ধীজী

গান্ধিজি নিজেই লিখেছেন, গান্ধীবাদ বলে কিছু নেই। কোনাে মৌলিক দর্শন বা নীতির স্রষ্টা হিসেবে আমি কিছু দাবি করি না। আমি কেবল আমার নিজের মতাে করে দৈনন্দিন জীবন ও সমস্যাবলির ক্ষেত্রে শাশ্বত সত্যকে প্রয়ােগ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। 'The Story of My Experiments with Truth' শীর্ষক রচনায় তিনি নিজেই লিখেছেন, আমার সমস্ত চিন্তা, দর্শন যা আমি বলেছি, তাকে আর যাই হােক গান্ধীবাদ বলে অভিহিত না করাই ভালাে। হরিজন পত্রিকায় তিনি লিখেছেন, 'I am not built for academic writings. Action is domain'।

প্রবন্ধ -নেতাজি সুভাষচন্দ্রের রাজনৈতিক চিন্তাধারার ভিত্তি ছিল এক অদ্ভুত রাজনৈতিক সংমিশ্রণ

প্রবন্ধ -নেতাজি সুভাষচন্দ্রের রাজনৈতিক চিন্তাধারার ভিত্তি ছিল এক অদ্ভুত রাজনৈতিক সংমিশ্রণ

হরিপুরা কংগ্রেসে দেওয়া সুভাষচন্দ্রের সভাপতির ভাষণ থেকে স্পষ্ট হল যে, প্রত্যক্ষ ভাবে সাম্যবাদী বা সমাজতন্ত্রী না হয়েও সুভাষচন্দ্র বসু ক্রমশ সেই দিকেই ঘেষছিলেন এবং সোভিয়েত রাশিয়ার সাফল্যে তিনি যথেষ্টই অনুপ্রাণিত। অমলেশ ত্রিপাঠী সঠিক ভাবেই ব্যখ্যা করেছেন যে, ‘ইন্ডিয়ান স্ট্র্যাগেলের অপরিণত চিন্তাভাবনা ইউরোপে কয়েক বছর (১৯৩৪-৩৮) কাটানোর ফলে অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। বারবার রাশিয়ার উল্লেখ, এমনকী শেষ উদ্ধৃতিতে সিপিজিবি-র উল্লেখ, ট্রেড ইউনিয়ন, কিষাণ সভা, সাম্যবাদী দলগুলির কংগ্রেসে সাময়িক যোগদানে সম্মতি, কংগ্রেস-সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন, সকল বামপন্থী শক্তিকে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তাকে আরও গণতান্ত্রিক ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী করার আহ্বান, সবই যেন একই রাগিণীর বিচিত্র বিস্তার।‘

প্রয়ান দিবসে লেনিন-বিপ্লবে মার্কসবাদের সৃজনশীল প্রয়োগে  লেনিনের নতুন চিন্তার অবদান (একটি দীর্ঘ তাত্ত্বিক আলোচনা )

প্রয়ান দিবসে লেনিন-বিপ্লবে মার্কসবাদের সৃজনশীল প্রয়োগে লেনিনের নতুন চিন্তার অবদান (একটি দীর্ঘ তাত্ত্বিক আলোচনা )

লেনিনের অভিমত অনুযায়ী কৃষকশ্রেণী হল শ্রমিক শ্রেণীর মজুদবাহিনী। তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্রমিকশ্রেণী বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করবে। তারপর সর্বহারা শ্রেণীর একনায়কত্বকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা দরকার। তারজন্য কৃষির সঙ্গে শিল্পের সংযোগ এবং সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। কৃষকশ্রেণীর সক্রিয় সহযোগিতা এই সমস্ত ক্ষেত্রে একান্তভাবে অপরিহার্য। লেনিন জার-শাসিত রাশিয়ায় বিপ্লব পরিচালনা করেছেন। তখন তিনি প্রলেতারিয়েতের মিত্র হিসাবে কৃষকশ্রেণীকে বিপ্লবের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

১৭ই জানুয়ারি!জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবসে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য( পুনঃপ্রচারিত)

১৭ই জানুয়ারি!জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবসে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য( পুনঃপ্রচারিত)

স্বাধীনতার পরবর্তীতে আমাদের রাজ্যে উদ্বাস্তু আন্দোলন, খাদ্য আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন — বহুমুখী আন্দোলনে তাঁর অনবদ্য ভূমিকা ছিল বিধানসভার ভিতরে এবং বিধানসভার বাইরেও। তিনি এই সমস্ত আন্দোলনকে সংগঠিত করতে প্রথম সারির নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিরোধী দলের যে ভূমিকা আছে সংসদীয় গণতন্ত্রে তা তিনি তাঁর জীবন দিয়ে, তাঁর কর্মপন্থা দিয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিরোধী দলের নেতা হিসাবে তিনি সফলভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন।

মধ্যপ্রদেশে SC/ST, দলিতরা নিগ্রহের বিচার পাচ্ছে না। তথ্য অনুসারে চুড়ান্ত সামাজিক অপরাধ চলছে।

মধ্যপ্রদেশে SC/ST, দলিতরা নিগ্রহের বিচার পাচ্ছে না। তথ্য অনুসারে চুড়ান্ত সামাজিক অপরাধ চলছে।

NCRB দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশ ২০২০ সালে SC/ST-এর বিরুদ্ধে অত্যাচারের ৯৫৭৪টি মামলার রিপোর্ট করেছে৷ কিন্তু ২০২০ থেকে মাত্র ৯৫টি মামলা এবং আগের বছরের ৫৯৪টি মামলা আদালতে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে৷

আজকের সময়ে বিবেকানন্দকে নতুন করে চিনতে হবে

আজকের সময়ে বিবেকানন্দকে নতুন করে চিনতে হবে

এ সময়ই তিনি দেশবাসীকে একটি নতুন পদ্ধতি প্রদান করেন। এ সময় তাঁকে আর Hindu Chauvinist-রূপে আমরা পাইনি। এ সময়ে তিনি ভারতের গণসমূহকে জাগিয়ে হিন্দু-মুসলমান ও ব্রাহ্মণ-শূদ্রকে এক কৃষ্টির ভিতর এনে একটা নতুন জাতিতে পরিণত করবার কথা বলেছিলেন। এ জন্যই তিনি বলেছিলেন ,- “বেরুক ভূনুরির দোকান থেকে,চাষার লাঙলের ফলা থেকে নূতন সভ্যতা।” যাঁরা পাশ্চাত্যের সাম্যবাদী ভাবধারার সঙ্গে পরিচিত আছেন তারাঁই জানেন যে, একে ‘প্রোলেটারিয়ান্ কালচার্’ বলা হয়। এটি ধনতান্ত্রিক বুর্জোয়া-কৃষ্টি হতে পৃথক

ফাস্ট - ফুড : এক ছদ্মবেশী শত্রু

ফাস্ট - ফুড : এক ছদ্মবেশী শত্রু

স্বাদে - গন্ধে ফাস্ট ফুডের বিকল্প নেই। কিন্তু 'জিভে' প্রেম করতে গিয়ে আমাদের স্বাস্থ্যকে কড়া মূল্য চোকাতে হচ্ছে। ফাস্ট - ফুড ডেকে আনছে ওবেসিটি আর ওবেসিটি ডেকে আনছে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, স্ট্রোক, হার্ট - এটাকের ঝুঁকি? শুধু শরীর নয়, বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত যে আমাদের মানসিক - স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উদ্বেগ (Anxiety),প্যানিক এটাক আজ বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সমস্যা যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে রোজ।

প্রবন্ধ - ২০২১-শ্রমিক-কৃষকের প্রতিরোধ এবং বিজয়ের বছর

প্রবন্ধ - ২০২১-শ্রমিক-কৃষকের প্রতিরোধ এবং বিজয়ের বছর

২৩-২৪ ফেব্রুয়ারি যৌথ প্ল্যাটফর্ম অফ সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে দেশব্যাপী দুই দিনের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রস্তুতি, প্রচার চলছে এবং কৃষকদের সংগঠনগুলিও সহায়তা বাড়িয়েছে, এটি একটি মাইলফলক হতে বাধ্য। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে চারটি শ্রমবিধি বাতিল, সরকারি খাতের বেসরকারিকরণের অবসান, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, সকলের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদি। মহামারীজনিত দুর্দশা থেকে অবিলম্বে মুক্তির জন্য চাহিদা সনদে অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ দাবি। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি আয়কর না দেওয়া পরিবারকে .৭৫০০ টাকা অনুদান, ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য বীমা এবং অন্যান্য সুরক্ষা, সবার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য টিকা এবং স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি।

গত বছরের অসাধারণ সব মহাজাগতিক ঘটনা। নীল চাঁদ থেকে দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ

গত বছরের অসাধারণ সব মহাজাগতিক ঘটনা। নীল চাঁদ থেকে দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ

২০২১ সাল শুরু হয়েছিল উল্কাবৃষ্টির মাধ্যমে। এটিকে সেরা বার্ষিক উল্কাবৃষ্টিগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই ধরনের উল্কাবৃষ্টি মাত্র কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হয়। নাসা তার ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ঝরনাটিতে কণার একটি পাতলা প্রবাহ রয়েছে, যার কারণে এর চূড়াটি ছোট হয়। সর্বোচ্চ সময়ে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ থেকে ২০০টি চতুর্মুখী উল্কা দেখা যায়।

ঘুম ভাঙানিয়া🔥 লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও

ঘুম ভাঙানিয়া🔥 লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও

প্রখর পাণ্ডিত্য, পরিশ্রম ও মেধা, গতানুগতিকতাকে বর্জন, যুক্তির হাতুড়ির ঘায়ে অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কারকে চূর্ণ করা এবং হৃদয়ের গভীরতা ও অনুভব দিয়ে ছাত্রদের আকর্ষণ করা, এই ছিল তাঁর পড়ানোর পদ্ধতি ••• জয় করে নিলেন হিন্দু কলেজের ছাত্রদের। অপার বিস্ময় ও গভীর মুগ্ধতা নিয়ে তারা শুনতো ও মর্মে গেঁথে নিতো এই তরুণ অধ্যাপকের বিদগ্ধ আলোচনা।

কবি শরৎ কুমার মুখোপাধ্যায় স্মরণে কল্লোল যুগের শেষ প্রতিনিধি   বাংলার সাহিত্য জগতের শূণ্যতা

কবি শরৎ কুমার মুখোপাধ্যায় স্মরণে কল্লোল যুগের শেষ প্রতিনিধি বাংলার সাহিত্য জগতের শূণ্যতা

কিছু নেই তোমাকে দেবার --- কোনো নীল জামা, কাঁসার বাসন, আখরোট কাঠের বাটি--- উত্তর প্রজন্ম --- শুধু ছাপার অক্ষরে কয়েকটি কবিতা রইল |

১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার দিবসে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য রক্ষাই ভারতের চ্যালেঞ্জ

১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার দিবসে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য রক্ষাই ভারতের চ্যালেঞ্জ

জনমুখী উন্নয়নের প্রাথমিক শর্ত হলো শান্তি, সম্প্রীতি ও সব অংশের জনগণের ঐক্য ও তাদের অংশগ্রহণ। সেই ভিত্তিটাই আজ নড়বড়ে। এই পটুভূমিতেই এই দিনটি বর্তমানে আমাদের দেশে পালনের কথা ভাবতে হবে। শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা অনুপ্রবেশের চক্রান্ত চলছে। গত দুই দশকে দেশে সংখ্যালঘু, আদিবাসী, নৃ-গোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন বেড়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপত্তাহীনতায় দেশত্যাগ করায় তাদের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। এ ঘটনা ঐক্যের সংস্কৃতি গঠন ও সমৃদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে হুমকির কারণ।

প্রবন্ধ - একা ক্লাসরুম। একা সবাই

প্রবন্ধ - একা ক্লাসরুম। একা সবাই

জিজ্ঞেস করতেই কান্নাভেজা গলায় প্রিয়া বলল "বাবা আমায় বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে । আমি কিছুতেই এখন বিয়ে করব না। পড়াশোনাটা শেষ করতে পারব না। এখন সবাই বলছে স্কুল বন্ধ, শুধু শুধু বাড়িতে বসে বসে সময় নষ্ট হচ্ছে । তাই আমার নাকি বিয়ে করে নেওয়াই উচিৎ।"

ভারতবর্ষের এই কৃষক আন্দোলন ও আন্দোলনের রাজনীতি

ভারতবর্ষের এই কৃষক আন্দোলন ও আন্দোলনের রাজনীতি

এই আন্দোলন কৃষকদের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য (MSP) সম্পর্কে সচেতন করেছে । আমরা এখন বুঝতে পেরেছি যে সরকার আমাদের ফসল কিনে কোনো দয়া করছেন না, বরং এটা আমাদের অধিকার। যদিও এর সুবিধা এখনও বহু কৃষক পাননা,

মহামারী দুনিয়াজুড়ে লক্ষ লক্ষ শিশুকে  শ্রমিকে পরিনত করেছে

মহামারী দুনিয়াজুড়ে লক্ষ লক্ষ শিশুকে শ্রমিকে পরিনত করেছে

দারিদ্র্য বৃদ্ধি, স্কুল বন্ধ ও সামাজিক সেবা প্রাপ্তি কমতে থাকায় অধিক সংখ্যায় শিশুদের কর্মক্ষেত্রে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কোভিড পরবর্তী বিশ্বকে আমরা নতুনভাবে দেখতে চাই বলে আমাদের নিশ্চিত করা দরকার যে, শিশু ও তাদের পরিবারগুলো ভবিষ্যতে একই ধরনের ধাক্কা সামলে নিতে বিকল্প পথ খুঁজে পায়। মানসম্পন্ন শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সেবাসহ আরও ভালো অর্থনৈতিক সুযোগ ইতিবাচক এই পরিবর্তনের নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।”

স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে জহরলাল নেহেরুর ভূমিকা।

স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে জহরলাল নেহেরুর ভূমিকা।

ভারতবর্ষের সামাজিক অবস্থা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। জহরলাল তার কার্যধারায় সেই মতাদর্শের ছাপ বারবার রাখার চেষ্টা করেছেন। আজ যখন ওয়ান ইন্ডিয়ার স্লোগান তোলা হচ্ছে, তখন জহরলালের এই কাজ গুরুত্বপূর্ণ। আবার ঐক্যের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছিলেন

ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লবের তাৎপর্য ও এইসময়ে তার প্রাসঙ্গিকতা

ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লবের তাৎপর্য ও এইসময়ে তার প্রাসঙ্গিকতা

চিনে জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী নেতা ডাঃ সান ইয়াৎ সেন, ইন্দোনেশিয়ার সোয়েকর্ন, আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, এঁরা সকলেই বারবার সমাজতন্ত্রকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র প্রথমবার কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে হরিপুরা অধিবেশনে বলেছিলেন, বিশ্বে একদিকে সাম্রাজ্যবাদ–পুঁজিবাদ আর একদিকে সমাজতন্ত্র৷ এই সমাজতন্ত্র আমাদের প্রেরণাদায়ক৷ এ দেশের বিপ্লবীরা সকলেই তাই মনে করতেন৷ বিংশ শতাব্দীতে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যত দেশে স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছিল, প্রত্যেকটি আন্দোলনকে মদত দিয়েছে, সাহায্য দিয়েছে রাশিয়ার সমাজতন্ত্র৷ না হলে সাম্রাজ্যবাদীরা সহজে পিছু হটত না৷

ভারতে কৃষক আত্মহত্যার তালিকা বাড়ছে, গতবছর ১০০০০ এর বেশি

ভারতে কৃষক আত্মহত্যার তালিকা বাড়ছে, গতবছর ১০০০০ এর বেশি

কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে ভারতে ১,৫৩,০৫২ আত্মহত্যা নথিভুক্ত করা হয়েছে -- ২০২০ সালে দৈনিক গড়ে ৪১৮টি - , তাদের মধ্যে কৃষিক্ষেত্র মোট ১০৬৭৭ জন আত্মহত্যা করেছেন।

জন্মদিনে কবি শামসুর রাহমান  অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জনমানুষের কবি

জন্মদিনে কবি শামসুর রাহমান অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জনমানুষের কবি

১৯৯৯ সালের ১৮ জানুয়ারি শামসুর রাহমানের রাজধানীর শ্যামলীর বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত; এতে গুরুতর জখম হলেও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ১০১. এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষনে প্রতিষ্ঠা

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ১০১. এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষনে প্রতিষ্ঠা

প্রথম দিকে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক প্রায় প্রতিবছর একটি করে বিশ্ব কংগ্রেস ডাকত (১৯১৯, ১৯২০, ১৯২১, ১৯২২, ১৯২৪)। ১৯২১-এর তৃতীয় কংগ্রেসে উপনিবেশ-আধা উপনিবেশের কমিউনিস্টরা দলিল-দস্তাবেজ লিখলেও সেগুলি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।

" নতজানু হয়ে সারা জীবন বাঁচার চেয়ে আমি এখনই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত'' ৯ অক্টোবর চে গুয়েভারা শহীদ দিবস

" নতজানু হয়ে সারা জীবন বাঁচার চেয়ে আমি এখনই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত'' ৯ অক্টোবর চে গুয়েভারা শহীদ দিবস

আজ সমাজতান্ত্রিক কিউবা কদিন আগে বিশ্বের মধ্যে দেশের সবচেয়ে বেশি নাগরিককে করোনা দুই ডোজ টিকা দেবার কৃতিত্ব অর্জণ করেছে। শুধু তাই নয় সারা বিশ্বের বহু দেশে কিউবার চিকিৎসক দল মহামারির লড়াইয়ে সামনের সারিতে। এমনকি তৃতীয় ডোজ দেবার রেকর্ড করেছে।

একবিংশ শতাব্দীতে আজকের ভারতবর্ষে গান্ধীজীকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

একবিংশ শতাব্দীতে আজকের ভারতবর্ষে গান্ধীজীকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

গান্ধী বলেছেন ‘‌হিন্দু–‌মুসলিম ইউনিটি হ্যাজ বিন মাই প্যাশন ফ্রম মাই আর্লি ইয়ুথ। আই মে নট লিভ আ সিঙ্গল স্টোন আনটার্নড টু অ্যাচিভ ইট‌।’‌

বিদ্যাসাগরের আধুনিকতা আজও বিস্ময়ের কারন

বিদ্যাসাগরের আধুনিকতা আজও বিস্ময়ের কারন

মৌলিকশিক্ষা যা জাতির মেরুদন্ডের মত তা বিদ্যাসাগরের জীবনচর্চার মুখ্য বিষয় ছিল। তার 'বর্ণপরিচয়', 'বোধোদয়' ও বিভিন্ন বিজ্ঞানী মনীষীর জীবনীগ্রন্থ শিশুদের মনে নীতিবোধ ও বিজ্ঞানমনস্কতার বীজ রোপণ করেছিল

নির্মাণ ও সৃষ্টি ;- রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞান চিন্তা ও আইনস্টাইন; কয়েকটি প্রসঙ্গ

নির্মাণ ও সৃষ্টি ;- রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞান চিন্তা ও আইনস্টাইন; কয়েকটি প্রসঙ্গ

Theory of inderteminacy ‘ বা অনির্দেশ্যতার নীতি। যদিও অনেকেই একে বলে থাকেন ‘ Theory of Uncertainty’ বা অনিশ্চয়তার নীতি। বিজ্ঞানী আইনস্টাইন কিন্তু এই সূত্রকে অস্বীকার করেছেন। কোয়ান্টাম বলবিদ্যার প্রতি আইনস্টাইনের মনোভাব সুস্পষ্ট ছিল না। ১৯২৫ সালএর পর থেকে যখন ধীরে ধীরে কোয়ান্টাম তত্ত্ব একে একে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের বেশ কিছু সমস্যার সমধান করে দিল যা এতদিনের প্রচলিত ধ্রুপদী বলবিদ্যা করতে পারেনি ।

বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে বিরাট খবরঃ আছে উদ্বেগও

বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে বিরাট খবরঃ আছে উদ্বেগও

আইসল্যান্ডে এই প্রথম বিশ্বের সব থেকে বড়ো, সরাসরি বাতাস থেকে কার্ব ডাই অক্সাইড টেনে নেওয়ার প্ল্যান্ট কাজ শুরু করলো। প্ল্যান্টের নাম ওরকা, এটি নির্মাণ করেছে সুইস সংস্থা ক্লাইমওয়ার্কস, তাদের পার্টনার হলো আইসল্যান্ডের কার্বফিক্স। এই প্ল্যান্ট বছরে ৪০০০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেবে যা বছরে ৭৯০ টি গাড়ির কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের সমতুল।

একটি লেখা -  গনপতি বাপ্পা কিন্তু বাঙালির গনেশ নন।

একটি লেখা - গনপতি বাপ্পা কিন্তু বাঙালির গনেশ নন।

এহেন হাতির মাথাওয়ালা বকচ্ছপ দেবতাটির হঠাৎ আবির্ভাব হ'ল কোথা থেকে! এ কথা ঠিক যে প্রায় তিন হাজার বছরের পুরানো ঋগ্বেদে 'গণপতি'র উল্লেখ আছে; তবে সে গণপতি কিন্তু হাতির মাথাওয়ালা আমাদের পরিচিত গণেশ নন; বরং সম্ভবত ইন্দ্রকেই জনগনের অধিপতি হিসাবে গণপতি উপাধিতে ভূষিত করা হয়ে থাকবে।

আজ 17ই সেপ্টেম্বর World Patient Safety Day ,  উপলক্ষে লেখা "একটি মৃত্যু, একটি আইন ও অনেক সম্ভাবনার জন্ম--"

আজ 17ই সেপ্টেম্বর World Patient Safety Day , উপলক্ষে লেখা "একটি মৃত্যু, একটি আইন ও অনেক সম্ভাবনার জন্ম--"

আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারি না যে এমন একটা উড়োজাহাজে চেপে বসেছি যার পাইলট একটানা ৩৬ ঘন্টা জেগে আছেন। তার হাতে কিছুতেই সুরক্ষিত থাকতে পারে না আমার জীবন। তাই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় "পেশেন্ট সেফটি" রুগীর সুরক্ষা।

প্রবন্ধ -- বাংলা সাহিত্যে বিভূতিভূষণ -- অমর কথাশিল্পীর জন্মদিনে

প্রবন্ধ -- বাংলা সাহিত্যে বিভূতিভূষণ -- অমর কথাশিল্পীর জন্মদিনে

বিভূতিভূষণ যে মানবজগৎ সৃষ্টি করেছিলেন তা সারল্যে অসাধারণ। সনাতন গ্রামবাংলার জনজীবনের চিরায়ত ছবি তিনি এঁকেছেন নিপুণ, দক্ষ শিল্পকুশলতায়। গভীর মমতায়, শ্রমে তিনি এই কীর্তি স্থাপন করে গেছেন। কথাশিল্পী হিসেবে আশ্চর্যরকম সফল তিনি। গ্রামীণ জীবনের শান্ত, সরল, স্নিগ্ধ ও বিশ্বস্ত ছবি ফুটে ওঠে তাঁর নিরাসক্ত কথকতা ও বয়ানে, চুম্বকের মতো টেনে নেয় পাঠককে। মুগ্ধ করে, বিস্মিত করে।

যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ —————————— ডঃ উত্তম কুমার সাহা

যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ —————————— ডঃ উত্তম কুমার সাহা

পৃথিবীর যুদ্ধাস্ত্রের বাজারের১৯৪.৭৯ মিলিয়ান ডলারের ব্যবসা দখল করে আছে মাত্র দশটি আমেরিকান ও ইউরোপীয়ান কোম্পানি

প্রবন্ধ --  পেগাসাস এর পর গোপনীয়তার কি হবে?

প্রবন্ধ -- পেগাসাস এর পর গোপনীয়তার কি হবে?

পক্ষপাতহীন বিচার বিভাগ, স্বাধীন সংবাদমাধ্যম, শান্তি পূর্ণ উপায়ে প্রতিরোধের অধিকার, এবং অবাধ ও শান্তি পূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠা : এগুলি হল ভারতীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি , যার দ্বারা সরকারের কার্যনির্বাহী ক্ষমতার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় বলে মনে করা হয়। তথাপি ,পেগাসাস প্রোজেক্টটি জনসমক্ষে আসার পর দেখা গেলো, ভারতীয় সাংবাদিক, সমাজকর্মী সহ একাধিক বিরোধী পক্ষের নেতা-নেত্রীদের উপর একটি স্পাইওয়্যার এর মাধ্যমে এমন ভাবে নজর রাখা হয়েছে , যার দ্বারা তাঁদের জীবন-যাপন এবং কাজের পুঙ্খানপুুঙ্খ বিবরণ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে । এই ধরনের নজরদারি স্বাধীনভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন থেকে তাঁদের দুরে রাখছে , তাঁদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করছে এবং ফলস্বরূপ, ভারতীয় সংবিধানের রোধন এবং সমন্বয়ন (checks and balances) এর নীতি কে পঙ্গুকরে দেওয়া হচ্ছে ।

রাজীব গান্ধীর জন্মদিনে সেই সময়ের কাবুলের কথা

রাজীব গান্ধীর জন্মদিনে সেই সময়ের কাবুলের কথা

২৪ শে ডিসেম্বর '১৯৮৭ ; এক মধ্যাহ্নভোজের টেবিলে মিলিত হলেন রাজীব গান্ধী এবং নাজিবুল্লাহ। সেই মিটিং - এ কি আলোচনা হলো কেউ ঘুণাক্ষরেও জানতে পারলো না। এরপরই ৪ ঠা মে ১৯৮৮ ; নাজিবুল্লাহকে ভারতের মাটিতে বিপুল ভাবে সম্বর্ধিত করা হলো।

স্বাধীনতা দিবসের গল্প - বন্দেমাতরম  মনজিৎ গায়েন

স্বাধীনতা দিবসের গল্প - বন্দেমাতরম মনজিৎ গায়েন

ব্রিটিশদের হাতে তখন বন্দি কিশোর হরিপদ। তার ওপর শুরু হল অকথ্য অত্যাচার। তার গায়ে জ্বলন্ত সিগারেট, চুরুটের ছ্যাঁকা দেওয়া হচ্ছে আর জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, “বল তোকে কে পাঠিয়েছে, বল তোদের গুরু সেই মাস্টার কোথায়?”

আমাদের স্বাধীনতা আছে।উপলব্ধি নেই…!  শাম্ব্য

আমাদের স্বাধীনতা আছে।উপলব্ধি নেই…! শাম্ব্য

দুটি সাম্প্রতিক ঘটনা উল্লেখ্য,প্রথমটি ঘটে ২২ শে জুলাই ২০২১,উত্তরপ্রদেশের দেবারিয়া জেলার ১৭ বছরের এক গ্রাম্য যুবতিকে পিটিয়ে থেতলে খুন করা হয় প্রকাশ্যে জিন্স এবং টি শার্ট পরিধান করার অপরাধে।অভিযুক্ত যুবতীর দাদু এবং কাকা।পারিবারিক হিন্দু স্বত্তিকতায় আঘাত করার অপরাধে এই শাস্তি।

৭৫তম স্বাধীনতা দিবস --দেশে ও রাজ্যে গণতন্ত্র আজ বিপন্ন

৭৫তম স্বাধীনতা দিবস --দেশে ও রাজ্যে গণতন্ত্র আজ বিপন্ন

বর্তমানে যে আইনে সব থেকে বেশী মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি হল ইউ এ পি এ (unlawful activities prevention act ) আমাদের দেশে নিবর্তন মূলক আটক আইনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে । Defence of India Rule (DIR) , PDAct , ESMA , NASA , TADA – এইসব বিভিন্ন নামে নিবর্তন মূলক আটক আইন প্রয়োগ হয়েছে বারবার । সব ক্ষেত্রেই মূল উদ্দেশ্য একটাই – বিরোধী প্রতিবাদী স্বর রুদ্ধ করা

শহীদ ক্ষুদিরামের আত্মবলিদান দিবসের অমলিন ইতিহাস ।   "

শহীদ ক্ষুদিরামের আত্মবলিদান দিবসের অমলিন ইতিহাস । "

ক্ষুদিরাম বলেছিলেন, "আমি ভাল বোমা বানাতে পারি, মৃত্যুর আগে সারা ভারতবাসীকে সেটা শিখিয়ে দিয়ে যেতে চাই"।

স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কমিউনিস্ট যোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ সম্পর্কে  দুচার  কথা

স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কমিউনিস্ট যোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ সম্পর্কে দুচার কথা

১৯২৯ সালের ২০ মার্চ ব্রিটিশ সরকার ৩১ জন শ্রমিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের জন্য মিরাটে চালান দেয়। এই তথাকথিত মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় মোজাফফর আহমদকে প্রধান আসামি বানানো হয়। অন্যদের মধ্যে ছিলেন এস এ ডাঙ্গে, শওকত উসমানি, পি সি জোশী সহ আরও অনেকে। ১৯৩৬ সালে তিনি মুক্তি পান

৩১'শে জুলাই ১৯৪০, শহীদ উধম সিংহ এর ফাাঁসির দিন

৩১'শে জুলাই ১৯৪০, শহীদ উধম সিংহ এর ফাাঁসির দিন

১৯২৪ সালে, উধম সিং ভারতের ঔপনিবেশিক শাসন উৎখাতের জন্য বিদেশে ভারতীয়দের সংগঠিত করার কাজের দায়িত্ব পান । ১৯২৭ সালে, তিনি ভগৎ সিংয়ের আদেশে ভারতে রিভলবার , গোলাবারুদ নিয়ে আসেন। লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র রাখার অভিযোগে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

চট্টগ্রাম বিপ্লবী কল্পনা দত্ত কমিউনিস্ট হয়েছিলেন, ২৭শে জুলাই সেই অগ্নিকন্যার জন্মদিনে

চট্টগ্রাম বিপ্লবী কল্পনা দত্ত কমিউনিস্ট হয়েছিলেন, ২৭শে জুলাই সেই অগ্নিকন্যার জন্মদিনে

ছেলেমেয়ে পাশাপাশি থাকলে ছেলেদের নৈতিক আদর্শ খারাপ হতে পারে। এই মনোভাবের বিরুদ্ধে কল্পনা দত্ত লিখেছেন, “It was an iron rule for the revolutionaries that they should keep aloof from the women.”

বিপ্লবী কানাইলালের বিস্মৃতপ্রায় শহীদ হওয়ার দিন ২৭শে জুলাই

বিপ্লবী কানাইলালের বিস্মৃতপ্রায় শহীদ হওয়ার দিন ২৭শে জুলাই

উপস্থিত বিচারকের রক্ষীবাহিনীর গুলি তৎক্ষনাৎ ঝাঁঝরা করে দিলো কানাইলালের দেহ; তাঁর পকেট থেকে পাওয়া গ্যালো এক টুকরো কাগজ যেখানে লেখা ছিলো... "ধ্বংস হও; দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসি দেওয়ার পুরস্কার লও.."।

Central Government নয় Union Government কথাটাই সংবিধানের মূল সুর বহন করে

Central Government নয় Union Government কথাটাই সংবিধানের মূল সুর বহন করে

১৯৪৬ সালের ১৩ঐ ডিসেম্বর জওহরলাল নেহরু সংবিধান সভার লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য উপস্থাপিত করার সাথে সাথে এও দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেন যে ভারত সেই সমস্ত রাজ্যক্ষেত্রের একটি সংঘ হবে যারা স্বেচ্ছায় এই 'স্বাধীন সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র' এ যোগদান করবে । অর্থাৎ বিভিন্ন প্রদেশ ও রাজ্যক্ষেত্রের একত্রীকরণ ও মিলনসাধনের উপরেই জোর দেওয়া হয়েছিল যাতে একটি মজবুত ঐক্যবদ্ধ দেশ গড়ে তোলা যায়।

জ্যোতি বসু - গুরুত্বপূর্ণ কমিউনিস্ট যিনি জাতীয় নেতার মর্যাদা পেয়েছিলেন

জ্যোতি বসু - গুরুত্বপূর্ণ কমিউনিস্ট যিনি জাতীয় নেতার মর্যাদা পেয়েছিলেন

কমিউনিস্ট হয়ে যাওয়া ব্যরিস্টার জ্যোতি বসু ট্রামে বাসে রাস্তায় পার্টির পত্রিকা বিক্রি করেছেন, রেলওয়ে শ্রমিকদের সংগঠিত করতে নানা জায়গায় ঘুরেছেন, শ্রমিক বস্তিতে থেকেছেন।

ধারাবাহিক প্রবন্ধ ( ১)  স্বাধীনোত্তর ভারত: প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তির খতিয়ান

ধারাবাহিক প্রবন্ধ ( ১) স্বাধীনোত্তর ভারত: প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তির খতিয়ান

ক্ষমতা হস্তান্তরের ভিতর দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।সেই অর্জনে গৌরবের পাশাপাশি গ্লানি ও ছিল প্রবল।দেশভাগের গ্লানি ই তারমধ্যে সবথেকে বেশি হৃদয়বিদারক।

বিধানচন্দ্র রায়: এক বর্ণময় রাজনীতিক , লেখক - গৌতম রায়

বিধানচন্দ্র রায়: এক বর্ণময় রাজনীতিক , লেখক - গৌতম রায়

বাঙালির আর্থ- সামাজিক বনিয়াদ তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্যে বিধানচন্দ্র রায় কতোখানি যত্নবান ছিলেন তা তাঁর জীবন থেকে বোঝা যায়।দেশভাগ জনিত অর্থনৈতিক অস্থিরতির জেরে কর্মমুখীনতা ঘিরে বাঙালির যে অতীতের অহংকার নিয়ে থাকলে চলবে না- এটা বিধান রায় উপলব্ধি করেছিলেন।

৩০শে জুন সাঁওতাল “হুল” এর ১৬৬ বছর , প্রথম ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র গনসংগ্রাম

৩০শে জুন সাঁওতাল “হুল” এর ১৬৬ বছর , প্রথম ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র গনসংগ্রাম

সাঁওতাল হুলে সাঁওতালরা পরাজয় বরণ করলেও তারা শোষকদের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি। তারই ধারাবাহিকতায় তেভাগা আন্দোলন ও আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে সাঁওতালদের অবদান অবিস্মরণীয়। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে এই লড়াকু জাতি আজও নিপীড়িত এবং শোষণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।

ইমারজেন্সি! তখন ও এখন  (গনতন্ত্রের বিপদ বেড়েছে)

ইমারজেন্সি! তখন ও এখন  (গনতন্ত্রের বিপদ বেড়েছে)

১৯৭৫-এ শাসকদল পলিটিক্যাল সোসাইিটর একটি অংশকে নিয়ন্ত্রণ  কোরে গনতন্ত্রের ওপর আক্রমন নামিয়ে  এনেছিল । মোদির শাসনকালে একইসঙ্গে সিভিল ও পলিটিক্যাল সোসাইিটর  নিয়ন্ত্রণ কােরে আরএসএস-এর পরিকল্পনা মতো ভারতে একটি ‘ হিন্দুরাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠার সংগঠিত ও ধারাবািহক প্রচেষ্টা  চলছে । সরকারে থাকার সুবাদে আরএসএস-এর লােকেরা সেই উদ্দেশ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান,  সব ধরেনর মিডিয়া ইত্যাদি  ‘কালচারাল অ্যপারেটাসগুলিকে ব্যবহার  করে ‘হিন্দুত্ববাদী’  মতাদশর্গত আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।

২৩ জুন  পলাসীর যুদ্ধে  সিরাজদৌলার পরাজয়ে দিন। ব্রিটিশ শাসনের শুরু।

২৩ জুন  পলাসীর যুদ্ধে  সিরাজদৌলার পরাজয়ে দিন। ব্রিটিশ শাসনের শুরু।

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আমবাগানে সকাল প্রায় ৮ টার দিকে ইংরেজ ও নবাবের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

সশস্ত্র চট্টগ্রাম বিপ্লবী গনেশ ঘোষ কমিউনিস্ট হয়েছিলেন ২২শে জুন তার ১২১ তম জন্মদিন।

সশস্ত্র চট্টগ্রাম বিপ্লবী গনেশ ঘোষ কমিউনিস্ট হয়েছিলেন ২২শে জুন তার ১২১ তম জন্মদিন।

১৯৩২-১৯৩৫ সাল পর্যন্ত তিনি বিপ্লববাদী পথ নিয়েও ভাবতেন। প্রচুর পড়াশোনা করতেন। ১৯৩৫ সালের এপ্রিল মাসে আন্দামান সেলুলার জেলে দুই কমিউনিস্ট নেতা কমরেড আব্দুল হালিম ও সরোজ মুখার্জী রাজবন্দী হয়ে এলেন। এই দুই বিপ্লবী আন্দামানে বন্দীদের রাজনৈতিক পড়াশুনা ও সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ সম্পর্কে ধারণা দিলেন। বন্দীদের মধ্যে প্রতিদিন গোপনে গোপনে বৈঠক হতো। এভাবে তাঁরা গঠন করলেন কমিউনিস্ট গ্রুপ। যে গ্রুপের মধ্যে যুক্ত হলেন গণেশ ঘোষ।

বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের ঐতিহাসিক সাফল্য

বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের ঐতিহাসিক সাফল্য

১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকারের দায়িত্বভার গ্রহণের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রবেশ করেছিল নতুন এক পর্বে। রাজ্য সরকারের অভিমুখই সেদিন থেকে বদলে যেতে  শুরু করে।

"যখন আমি জানতে পারি তুমি হয়ে গেছ রক্তমাখা আলো", “চে” র জন্মদিনে বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত কবিদের কবিতা

"যখন আমি জানতে পারি তুমি হয়ে গেছ রক্তমাখা আলো", “চে” র জন্মদিনে বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত কবিদের কবিতা

অপরাধের অসহায় সব জেনারেল, দক্ষতার সাথে লুকায় যোদ্ধার মৃতদেহ, যেন সেই দেহের আগুনে দগ্ধ হবে তারা। তিক্ত জঙ্গল শুষে নেয়

শান্ত লাক্ষাদ্বীপ অশান্ত । কেন্দ্রীয় প্রশাসকের সাম্প্রদায়িক এজেন্ডায় বিক্ষোভ 

শান্ত লাক্ষাদ্বীপ অশান্ত । কেন্দ্রীয় প্রশাসকের সাম্প্রদায়িক এজেন্ডায় বিক্ষোভ 

লাক্ষাদ্বীপের জনসংখ্যার প্রায় ৯৮ শতাংশই মুসলিম।আরব সাগরের বুকে লাক্ষাদ্বীপের দায়িত্ব হাতে নিয়েই তিনি এমন কয়েকটি বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার বিরুদ্ধে ওই দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা এখন ক্ষোভে অশান্ত হয়ে উঠেছেন।এরপর  সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে  তারা #save lakhadweep ক্যাম্পেনও শুরু করেছেন, কেরালার সঙ্গে ভাষাগত ঘনিষ্ঠতার কারনে এখানকার বহু বুদ্ধিজীবী বিশিষ্ট মানুষ সমর্থনে মন্তব্য করছেন।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২১ এ বছরের কাজ Environment Restoration. আগামী এক দশকের লক্ষমাত্রা

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২১ এ বছরের কাজ Environment Restoration. আগামী এক দশকের লক্ষমাত্রা

রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঠিক করেছে এই বাস্তুতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার দশক হবে ২০২১-২০৩০ যা সভ্যতা টিকিয়ে রাখার ন্যুনতম সময় বা সময়সীমার লক্ষ , বৈজ্ঞানিকদের মতে এ হল শেষ প্রচেষ্টা সম্পুর্ণ ধ্বংসের হাত থেকে পরিবেশকে রক্ষা করার ।

শতবর্ষে ' নবযুগ' : নজরুল ও কাকাবাবু   -  ( আজ ১১ই জ্যেষ্ঠ কাজী নজরুলের জন্মদিবস  )

শতবর্ষে ' নবযুগ' : নজরুল ও কাকাবাবু - ( আজ ১১ই জ্যেষ্ঠ কাজী নজরুলের জন্মদিবস )

নবযুগ' পত্রিকাতে লেখা ভিতর দিয়ে দেশপ্রেমের স্ফুরণে।সুনির্দিষ্ট ভাবে দেশপ্রেমের দিকনির্দেশে আজ থেকে ঠিক একশো বছর আগে নজরুল এবং মুজফফর আহমদের যৌথ সম্পাদনাতে প্রকাশিত ' নবযুগ  'পালন করেছিল এক ঐতিহাসিক ভূমিকা। ১৯২০ সালের ১২  ই জুলাই নজরুল এবং মুজফফর আহমদের যৌথ সম্পাদনায় সান্ধ্য দৈনিক হিশেবে প্রথম প্রকাশিত হয় ' নবযুগ' পত্রিকাটি

সব ব্যবস্থা সত্ত্বেও ভারতে সবার টিকাকরণ হল না কেন ?-প্রবন্ধ- প্রবীর পুরকায়স্থ 

সব ব্যবস্থা সত্ত্বেও ভারতে সবার টিকাকরণ হল না কেন ?-প্রবন্ধ- প্রবীর পুরকায়স্থ 

গত মোটামুটি কম সংক্রমণের পাঁচ মাস (অক্টোবর '20 থেকে ফেব্রুয়ারি'21) হাসপাতাল , অক্সিজেন,  এবং অন্যান্য মেডিকাল সাপোর্ট ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরির ব্যবস্থার জন্য ব্যবহার করা যেত ! আমাদের দেশের প্রায় ৫০টা কোম্পানি ভ্যাকসিন বানাতে পারে। ঠিকমত পরিকল্পনা এবং সরকারের সাহায্য পেলে ভারতবর্ষ ভ্যাকসিন উৎপাদন সম্পুর্ণ করে শুধু দেশের জন্য নয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও কোভিড-19   এর ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সক্ষম হত।

১৯শে মে ১৯৬১ শিলচরের ভাষা শহীদদের মনে রেখে।

১৯শে মে ১৯৬১ শিলচরের ভাষা শহীদদের মনে রেখে।

১৯শে মে দুপুর আড়াইটায় শিলচর রেল স্টেশনে তারা ধর্মঘটরত জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। শত শত লোক আহত হয়। গুলিতে শহীদ শচীন্দ্র পাল, কানাই নিয়োগী, কমলা ভট্টাচার্য, সুনীল সরকার, সুকোমল পুরকায়স্থ, কুমুদ দাস, চণ্ডীচরণ সূত্রধর, তরণী দেবনাথ, হীতেশ বিশ্বাস, বীরেন্দ্র সূত্রধর ও সত্যেন্দ্র দেব। 

১৫ মে - মহামারী কালে" বিশ্ব পরিবার দিবস"

১৫ মে - মহামারী কালে" বিশ্ব পরিবার দিবস"

পরিবার এক অপরিহার্য ব্যবস্থা। যদিও এই ধারনা বদলাচ্ছে । সামন্ততান্ত্রিক যুগে কৃষিভিত্তিক সমাজে পরিবার ছিল বিরাট। আর এই ধনতান্ত্রিক সমাজে ক্রমশ তা ভাঙতে ভাঙতে হয়েছে ছোট পরিবার সুখী পরিবার । যদিও তা ঠিক কিনা প্রশ্ন আছে । যে পরিবারের একজনের ওপর নির্ভরতা , তা নষ্ট হলে যখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে  তখন এই ধরনের মাইক্রো ফ্যামিলির ধারনা একেবারেই বেঠিক মনে হয় । 

রবীন্দ্রনাথ ১৬০ সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠ

রবীন্দ্রনাথ ১৬০ সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠ

শান্তিনিকেতনে দেওয়া একটি ভাষণে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন: "জাতীয়তাকে আমরা পরম পদার্থ বলে পূজা করি নে এইটেই হচ্ছে আমাদের জাতীয়তা,

মে দিবস: শতাব্দী অতিক্রান্ত একটি আত্মপ্রত্যয়

মে দিবস: শতাব্দী অতিক্রান্ত একটি আত্মপ্রত্যয়

আমাদের দেশের শ্রমিকেরা উঠে এসেছিলেন কিন্তু কৃষক সম্প্রদায়ের ভেতর থেকেই ।কৃষক সম্প্রদায়ের সংগ্রামী বনিয়াদের  ভেতর দিয়েই, তাঁদের সর্বহারা শ্রেণীর চেতনার ভেতর দিয়েই আমাদের দেশের কৃষক সমাজের অন্তস্থল থেকেই শ্রমিক শ্রেণীর উৎপত্তি

ভারতবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে হবে। পোর্টাল নিউজক্লিকে প্রকাশিত অধ্যাপক আর. রামকুমারের লেখা থেকে

ভারতবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে হবে। পোর্টাল নিউজক্লিকে প্রকাশিত অধ্যাপক আর. রামকুমারের লেখা থেকে

ভ্যাকসিন একটি বিশ্বজনীন সর্বজনীন পণ্য (global public good),  যা সকল দেশের সমস্ত মানুষের কাছে সঠিক নিরাপত্তাসহ সহজে পৌঁছে দেওয়া উচিত, এবং তা করার একমাত্র উপায় সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া।

২২শে এপ্রিল-১৫১ লেনিন এই মহামারী সময়ে প্রাসঙ্গিকতা 

২২শে এপ্রিল-১৫১ লেনিন এই মহামারী সময়ে প্রাসঙ্গিকতা 

পৃথিবীর বড় অংশজুড়ে, বিশেষ করে আমাদের দেশে সময়টা আজ অনেকটাই অন্যরকম । এই  সময়ে আবেগাহিত না হয়ে বলা যায় , লেনিনের প্রাসঙ্গিকতা বোধকরি অতীতের তুলনায় বেড়ে গেছে । 

১৮ই এপ্রিল ডিরোজিওর জন্মদিন। স্বাধীন চিন্তা, দেশপ্রেম, যুক্তিবাদের পথ প্রদর্শক 

১৮ই এপ্রিল ডিরোজিওর জন্মদিন। স্বাধীন চিন্তা, দেশপ্রেম, যুক্তিবাদের পথ প্রদর্শক 

হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও, উনিশ শতকের একজন শিক্ষক। পাশ্চাত্যের নবজাগরণের ছোঁয়ায় এ দেশের তরুণদের মেধা ও মননকে জাগানোর পথ বের করে দিয়ে গেছেন

বঙ্গাব্দ- উৎপত্তি- মিশ্র সংস্কৃতির প্রভাব

বঙ্গাব্দ- উৎপত্তি- মিশ্র সংস্কৃতির প্রভাব

এই যে সন বা সাল শব্দটি আমরা ব্যবহার করি, এই শব্দযুগলের ব্যবহার ও হিন্দু- মুসলমানের যৌথ সাধনার একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য অঙ্গ।সন শব্দটি এসেছে আরবী থেকে আর সাল শব্দটির উৎপত্তি ফার্সী থেকে। হিন্দু- মুসলমানের মিলিত সংস্কৃতি বাংলার সামাজিক পরিবেশ কে যুগ যুগ ধরে কিভাবে ঋদ্ধ করেছে এই শব্দদুটির উৎপত্তি এবং বহুল প্রচলনের ভিতর দিয়েই তা পরিস্কার হয়ে যায়।

১৪ই এপ্রিল আম্বেদকর জয়ন্তী- আমরা দলিত,হিন্দু নই

১৪ই এপ্রিল আম্বেদকর জয়ন্তী- আমরা দলিত,হিন্দু নই

ব্রাহ্মন্যবাদী মুখের মুখোশ হল হিন্দুত্ববাদ। হিন্দুত্ববাদীদের কাছে দলিতরা শুধু একটি পরিসংখ্যান মাত্র, যারা হিন্দুদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই কুণ্ঠিত না হয়ে জোর দিয়ে বলা যায় আমরা হিন্দু নই, আমরা দলিত।

একমাত্র  রুটি রুজির লড়াই পারে বিদ্বেষ বিষ মুক্ত করতে

একমাত্র  রুটি রুজির লড়াই পারে বিদ্বেষ বিষ মুক্ত করতে

দেশভাগের যন্ত্রনা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। পূর্ববাংলায় ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুর আগমন ঘটেছে পশ্চিমবাংলায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাম্প্রদায়িক বিভাজন পশ্চিমবঙ্গের বুকে দানা বাঁধতে পারেনি। খাদ্যের লড়াই, জমির লড়াই এই বিভাজনকে প্রতিহত করেছে। ১৯৮৪ এর শিখ দাঙ্গা বা ১৯৯২ এর বাবরি মসজিদ পরবর্তী দাঙ্গার কোনো প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়েনি। সেইসূত্রে পশ্চিমবঙ্গ বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কেন্দ্র বলে চিহ্নিত হয়েছে। 

আজ দোল -   কাল হোলিঃ  জীবনকে রাঙিয়ে নেওয়ার রঙের উৎসব

আজ দোল - কাল হোলিঃ জীবনকে রাঙিয়ে নেওয়ার রঙের উৎসব

দোল আর হোলির প্রেক্ষিত অবশ্য ভিন্ন। হোলির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিষ্ণু ভক্ত প্রহ্লাদ আর তার বিষ্ণু বিদ্বেষী পিতা হিরণ্যকশিপূ ও তার বোন হোলিকার কাহিনি। স্কন্দ পূরানে উল্লেখ আছে যে প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য অগ্নিস্পর্শ প্রতিরোধী বসনে আচ্ছাদিত হোলিকা শিশু প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনে প্রবেশ করলে তার সেই বসন তার গা থেকে খুলে গিয়ে প্রহ্লাদকে আচ্ছাদিত করে তাকে রক্ষা করে এবং আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে কুচক্রী হোলিকাকেই। সেই কারনে হোলি উৎসবের সূচনা হয় হোলিকা দহনের মধ্যে দিয়ে। অন্যদিকে মুখ্যত বৈষ্ণবদের দোলযাত্রা আসলে সূচিত করে রাধাকে শ্রীকৃষ্ণের প্রথম প্রেম নিবেদনের দিনটিকে। কথিত আছে পলাশের ফাগে এমনই এক বসন্ত দিনে রাধার মুখমন্ডল নাকি রাঙিয়ে দিয়েছিলেন কৃষ্ণ। এই দিনটি শ্রী চৈতন্যের জন্মতিথিও

আজ দোল - হোলি। জীবনের আনন্দই হয়ে উঠুক কালের সেই মন্দিরা ধ্বনি,

আজ দোল - হোলি। জীবনের আনন্দই হয়ে উঠুক কালের সেই মন্দিরা ধ্বনি,

জীবনের আনন্দই হয়ে উঠুক কালের সেই মন্দিরা ধ্বনি, যা কবি আমাদের মনের অন্দরে বাজিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।  বাঙালি নিজেকে চিনুক। জানুক।  

আজ দোল -- বিগত বসন্তে অশোক রক্ত রাগে

আজ দোল -- বিগত বসন্তে অশোক রক্ত রাগে

দোল ঘিরে আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগে শ্রীচৈতন্য কে ঘিরে একটা সংস্কৃতি বাংলায় চালু হয়েছিল।এই সংস্কৃতিতে আধ্যাত্মিক ভাবধারা ছিল।কিন্তু আধাত্মিকতাকে ও ছাপিয়ে ছিল সামাজিক অচলায়নের বেড়া ভাঙবার একটি সোচ্চার অভিব্যক্তি।অতীতে বাঙালি জীবনে , বিশেষ করে দলিত, নিম্নবর্গীয় জীবনে অঃই দোল উৎসবকে ঘিরে একটা যৌন আবেদন মিশ্রিত অভিধারা ছিল।সেই অভিধারাকে কেবলমাত্র যৌনতাতেই সীমাবদ্ধ না রেখে একটা সর্বাঙ্গীন প্রেমের মহোৎসবে রূপান্তরিত করেছিলেন শ্রীচৈতন্য । জাতপাতের বেড়া ভেঙে মানুষের ভিতরে সর্বাঙ্গীন ভাবে প্রেমের জয়গান, দেহজ প্রেমকে অতিক্রম করে , মানবপ্রেমের জয়পতাকা ওড়ানোর যে চেতনায় এই দোলযাত্রাকে বৈষ্ণব আন্দোলন উপস্থাপিত করেছিল , তা মধ্যকালীন বাংলার ভক্তি আন্দোলনের ধারাকে পরিপুষ্ট করে।

অতীত মুছতেই স্বাধীনতার ইতিহাসের পুনর্নিমাণ চায় সঙ্ঘ -( প্রবন্ধ )

অতীত মুছতেই স্বাধীনতার ইতিহাসের পুনর্নিমাণ চায় সঙ্ঘ -( প্রবন্ধ )

ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে ইতিহাস দর্শনের আধুনিক গতিপথের দিকে যে সব সময়ে সুবিচার করেছিলেন তা বলা যায় না।জাতীয়তাবাদের আড়ালে উগ্র জাতীয়তাবাদ, যা সেই সময়ে সুপ্ত হিন্দুত্ববাদী চেতনার ধারণার দ্বারা পুষ্ট ছিল, সেই ধারার ইতিহাস রচনার প্রবণতাও আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ঘিরে ক্ষমতা হস্তান্তরের অল্প সময় পর থেকেই তীব্র হয়ে উঠতে শুরু করে।

মোদির ব্রিগেডের রাজনৈতিক তাৎপর্য

মোদির ব্রিগেডের রাজনৈতিক তাৎপর্য

নিজের রাজনৈতিক সংগঠনের পায়ে মাটি জোগাতে আর এস এস যে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আলাদা দল করবার সময় থেকে মমতাকে সাহায্য করে এসেছে, খোদ প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড বক্তৃতার ভিতর দিয়ে তা দিনের আলোর মতো পরিস্কার হয়ে গেল।

সোমেন চন্দের ' বন্যা' তে শ্রেণীসচেতনতা

সোমেন চন্দের ' বন্যা' তে শ্রেণীসচেতনতা

সময়- সমাজ- সভ্যতা আর ইতিহাসবোধের সংমিশ্রণে সোমেন যে ভাবে তাঁর শ্রেণীচেতনার বোধকে প্রসারিত করেছিলেন, সেটিই তাঁর কলম কে অনন্যতা দান করেছিল

"শুধুমাত্র মহিলা বলেই”: আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও কিছু ভাবনা

"শুধুমাত্র মহিলা বলেই”: আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও কিছু ভাবনা

একটা শব্দ খুব শোনা যায় এই প্রসঙ্গে-  উদযাপন । ভাবছিলাম কি উদযাপন করে থাকি এই তথাকথিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসে/সপ্তাহে ? পাইয়ে দেওয়ার অপমান? সমানাধিকার অর্জনের লড়াইকে ভুলিয়ে দিতে বাজারের 'অফার 'লুফে নেওয়ার পরোক্ষ অসম্মান?

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে --

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে --

সারা পৃথিবীর মধ্যে ভারতে কন্যাভ্রনহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। এহেন দরিদ্র চৈতন্যের দেশে মেয়েদের ক্ষমতায়ন ? মেয়েদের জন্য বরাদ্দ কম আলো , কম শিক্ষা, কম পুষ্টি, যাতে ইটচাপা ঘাসের মতই পেলব ও পরাধীন হয়ে বড় হয় মেয়েগুলো।

ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের অর্ধশতক

ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের অর্ধশতক

বাংলাদেশের মানুষকে ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়তে হবে, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদের বিরুদ্ধে কিভাবে জানকবুল করতে হবে, তার রণকৌশল ৭ ই মার্চের বক্তৃতার ভিতর দিয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু।

চিনাদের বিয়েনকেইতিয়ান আর আমাদের সরস্বতী একই দেবীর নানা নাম।

চিনাদের বিয়েনকেইতিয়ান আর আমাদের সরস্বতী একই দেবীর নানা নাম।

চিনাদের বিয়েনকেইতিয়ান, জাপানের বেনজাইতেন, মায়ানমারের থিরাথুডি, তিব্বতের মঞ্জুশ্রী আর আমাদের সরস্বতী একই দেবীর নানা নাম।

হিন্দুধর্ম ও হিন্দুত্ব

হিন্দুধর্ম ও হিন্দুত্ব

হিন্দুধর্মের বিপরীতে হিন্দুত্ববাদ দাঁড়িয়ে আছে এক্সক্লুসিভ বা বর্জনমূলক অবস্থানের ওপর

Your Opinion

We hate spam as much as you do