ঘূর্ণাবর্তের বৃষ্টিপাতের জেরে ৭০০ বিঘা জমির ফুলকপি জলের তলায়। তাদের মাথায় হাত আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো পথ নেই।সরকারি সহযোগিতা পেলে হয়তো তারা ঋণ শোধ করতে পারবেন।
ছবি:বৃষ্টিতে দফারফা শীতকালীন ফুলকপি।
বিঘা বিঘা ফুলকপি জলের তলায়, ঘূর্ণাবর্তে দেগঙ্গায় বিপুল ক্ষতি
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতহাতিয়া এলাকা ফুলকপির ভান্ডার নামে পরিচিত। গত ১০ বছর ধরে এখানকার প্রায় কয়েক হাজার কৃষক ফুলকপি চাষ করে সুনাম অর্জন করেছেন এবং তাদের উৎপাদিত ফুলকপি রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পাইকারি ও খুচরা দামে বিক্রি হয়। আর কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের জেরে প্রায় ৭০০ বিঘা জমির ফুলকপি জলের তলায়। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের অবস্থা একেবারে ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋণ নিয়ে ফুলকপি চাষ করেছিল কৃষকরা কিভাবে সেই ঋণ শোধ করবেন ভেবে পাচ্ছেননা। সরকারি সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন সাহহাতিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ ফুলকপি চাষিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দেগঙ্গা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতহাতিয়া গ্রামে প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে প্রতি বছর অগ্রিম ভাবে উৎপাদিত হয় ফুলকপি ।উৎপাদিত সেই ফুলকপি ট্রাকে করে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করা হয়। ফুলকপি চাষী মোঃ জালাল উদ্দিন, মহিবুর রহমান ও মোঃ সাহেব আলী জানান ফুলকপি চাষ করে তারা ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে সুনাম অর্জন করেছেন।কেউ সরকারিভাবে ঋণ নিয়ে, কেউ সুদে টাকা নিয়ে আবার কেউ লোনের টাকা নিয়ে এই ফুলকপি চাষ করেন। প্রথমদিকে মুনাফার মুখ দেখে ছিল তারা। বিপুল পরিমাণে ফলন দেখে আনন্দিত ছিলাম। কিন্তু ঘূর্ণাবর্তের বৃষ্টিপাতের জেরে ৭০০ বিঘা জমির ফুলকপি জলের তলায়। তাদের মাথায় হাত আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো পথ নেই।সরকারি সহযোগিতা পেলে হয়তো তারা ঋণ শোধ করতে পারবেন।
এ বিষয় নিয়ে দেগঙ্গা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু পাঁড়ুই কৃষকদের পাশে থেকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। দেগঙ্গার সহ কৃষি অধিকর্তার ডাঃ গৌতম সামুই জানান ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো
এরপরে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের যে নির্দেশ দেয়া হবে সেই অনুযায়ী কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
We hate spam as much as you do