প্রশ্ন উঠছে অপরাধীরা কী আদৌ শাস্তি পাবে?স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা মমতাজ বেগম তো অপরাধীদের আড়াল করতেই ব্যস্ত।খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অপরেশ মুখার্জির কাছে মৃত কিশোরীর বাবা মা পাশে দাঁড়ানোর আর্তি নিয়ে গিয়েছিল।পাশের থাকা দুরস্ত।শুনতে হয়েছিল একবস্তা চালের কথা।পরামর্শ দিয়েছিল খেয়েদেয়ে শুয়ে থাক।
কবর থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর মৃতদেহ তুলে ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ আদালতের
নিজস্ব সংবাদদাতা:বসিরহাট, ৯ অক্টোবর-অসহায় বাবা মায়ের বুকফাটা কান্নায় শনিবার ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে খানখান।কবর থেকে মেয়ের মৃতদেহ তোলা হবে। আশ্বিনের শারদ প্রাতে বিবর্ণ রঘুনাথপুর দক্ষিণপাড়ার একটাই আর্তি সঠিক তদন্ত হোক।অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়।।বিডিও,পুলিশ, চিকিৎসক,আইনজীবি,সংবাদমাধ্যম,প্রতিবেশী, আসপাশের গ্রামের উৎসুক মানুষের ভীড়ে ফের ময়নাতদন্তের তোড়জোড়ে ব্যস্ত প্রশাসন।পকসো আইন অনুযায়ী বসিরহাট সেশন কোর্টের এ ডি জে প্রিয়ব্রত দত্তের নির্দেশে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর মৃতদেহ কবর খুঁড়ে ফের ময়নাতদন্তে পাঠাতে হবে।পরিবারের দাবি মতো আদালতের এমনই নির্দেশ।
সেইমতো বসিরহাট-২নং ব্লকের বিডিও জয়দীপ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে(এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট), এস ডি পিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র,মাটিয়া থানার ওসি তাপস ঘোষ,তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ দে,চিকিৎসক ,মামলাকারীর আইনজীবি অর্পণ হালদার,স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা মমতাজ বেগমের উপস্হিতিতে সময় গড়িয়ে সকাল ৮টা৩৭মিনিট নাগাদ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাঁশগাছ বেষ্টিত কবর থেকে ২১দিনের মাথায় মৃতদেহ তোলার কাজ শুরু হয়।প্রশাসনের তরফে গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়।উপস্থিত মানুষের গুঞ্জনে মুখরিত আকাশ বাতাস।তাদের একটাই কথা এবার অন্তত যেন তদন্ত সঠিক হয়।দীনমজুর পরিবার যেন বিচার পায়।স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী হাসানবানুরও একই কথা।আইনের আইনের পথে চলুক।সত্য প্রকাশ হোক।অপরাধীরা শাস্তি পাক।প্রশ্ন উঠছে অপরাধীরা কী আদৌ শাস্তি পাবে?স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা মমতাজ বেগম তো অপরাধীদের আড়াল করতেই ব্যস্ত।খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অপরেশ মুখার্জির কাছে মৃত কিশোরীর বাবা মা পাশে দাঁড়ানোর আর্তি নিয়ে গিয়েছিল।পাশের থাকা দুরস্ত।শুনতে হয়েছিল একবস্তা চালের কথা।পরামর্শ দিয়েছিল খেয়েদেয়ে শুয়ে থাক।
বেশি ঘাটাঘাটি করিস না।মেম্বার বলেছিল গ্রামে থাকতে হলে মেনে নে।এদিন এই অভিযোগ শোনা গেল অসহায় বাবা মায়ের কাছ থেকে।এদিন তাদের এও অভিযোগ আমাদের মেয়ে মরতে পারে না।ওকে ধর্ষন করে মেরে ফেলা হয়েছে।বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট জাল।আমাদের একান্ত আবেদন এবার যেন আর জাল না হয় পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট।সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ একটু চোখের দেখা দেখিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সইসাবুদের পর অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর মৃতদেহ ফের ময়নাতদন্তে রওনা দিল বসিরহাট জেলা হাসপাতালের দিকে।
বিডিও জয়দীপ চক্রবর্তী জানান,আদালতের নির্দেশ মতো মেডিকো লিগ্যাল এক্সপার্টকে দিয়ে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে কলকাতায়।আগামী ২৩নভেম্বর আদালতে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।আদালত এও নির্দেশ দিয়েছে মৃতার চুল,নখ,দাঁত,রক্ত, সোয়াপ সহ সংগৃহীত ভিসেরা রিপোর্ট জমা দিতে হবে নির্দিষ্ট স্হানে।থানায় অভিযোগ করা হয়েছে ২৫অক্টোবর।ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী৩৭৬,৩০২,২০১,৩৪এবং পকসো৬আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। মাঝখানে কেটে গিয়েছে ১২দিন।এখনো বেপাত্তা মূল অভিযুক্ত রাজেন মণ্ডল সহ বাকিরা।
বাতাস এখানে যখন অনেকটাই ভারী,এদিকে তখন গাজি পরিবারের ক্যানভাসে অসহায় বাবা মা আত্মীয় স্বজনের বুকফাটা কান্না,অব্যক্ত যণ্ত্রনার নিদারুণ ছবি।একটাই দাবি সঠিক বিচারের।
We hate spam as much as you do