Tranding

12:29 PM - 01 Dec 2025

Home / North 24 Parganas / খড়দহের রুহিয়া তে বোমা বিস্ফোরণে কিশোরের মৃত্যু

খড়দহের রুহিয়া তে বোমা বিস্ফোরণে কিশোরের মৃত্যু

এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দুর্বলতার দিক আরেকবার ফুটে উঠল। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট পক্ষ থেকে ক্রমশ থানা সংখ্যা বাড়ানো হলে পরেও, কিন্তু এলাকার মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে উদাসীনতায় ফুটে ওঠে। রহড়া থানার পিছনে এইভাবে কৌটো বোম আসলো কি করে? কে বা কারা এই জায়গাতে এইভাবে বোমটি রেখে যায়? যেকোনো মুহূর্তে থানাতেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ঠিক থানার বাউন্ডারি দেওয়াল পিছনে একটি কদম গাছ আছে এবং তার পাশে কচু গাছের জঙ্গল সেই জঙ্গলের থেকেই এই কৌটো বোম টি সংগ্রহ করে নিয়ে যায় মৃত কিশোরের দাদু।

খড়দহের রুহিয়া তে বোমা বিস্ফোরণে কিশোরের মৃত্যু

খড়দহের রুহিয়া তে বোমা বিস্ফোরণে কিশোরের মৃত্যু


আজ সকাল ১১ টা থেকে ১১ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে রুহিয়া মধ্যপাড়ায় বোম বাস্ট হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু ঘটনাটি ঘটেছে। 
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শেখ সাহিল। বাড়ি, রহড়া থানায় এলাকার মধ্যপাড়ায়। বাবা পেশায় অটো চালক। লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ  করেন মা। অভাবের সংসারে খুব বেশি দূর পড়াশোনা করতে পারেনি সাহিল। 

খড়দা মধ্যপাড়ার  বাসিন্দা এক বৃদ্ধ আব্দুল হামিদ প্রত্যেকদিন এর মতন আজও সকালবেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন জিনিস কুড়িয়ে নিয়ে আসে। বাড়িতে আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। থানার পিছনে একটি কদম গাছের নিচে কচু গাছের জঙ্গলের মধ্যে থেকে একটি কৌটো নিয়ে যায় বাড়িতে বাড়ি গিয়ে তার নাতি শেখ সাহিল বয়স আনুমানিক ১৭ থেকে ১৮ বছর। সে বাড়ির কাছে একটি লাইট পোস্টের নিচে বসে সেই কৌটো টি খুলতে যায়। তখনই বিপত্তি ঘটে। কৌটো টি সেলোটেপ দিয়ে মোড়া ছিল। সেই সেলোটেপ খুলতে গিয়ে পোষ্টের মধ্যে বারবার। তখনই সেটি ফেটে যায়। তার ফলে তার হাত এবং পেটে লাগে পরিবার লোকেরা তাকে ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে কামারহাটি মেডিসিন অফ সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল স্থানান্তরিত করে ইমারজেন্সি দেখার পরে সেই কিশোরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর খবর পৌছতেই পরিবারসহ পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। 

 

এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দুর্বলতার দিক আরেকবার ফুটে উঠল। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট পক্ষ থেকে ক্রমশ থানা সংখ্যা বাড়ানো হলে পরেও,  কিন্তু এলাকার মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে উদাসীনতায় ফুটে ওঠে।  রহড়া থানার পিছনে এইভাবে কৌটো বোম আসলো কি করে? কে বা কারা এই জায়গাতে এইভাবে বোমটি রেখে যায়? যেকোনো মুহূর্তে থানাতেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।  ঠিক থানার বাউন্ডারি দেওয়াল পিছনে একটি কদম গাছ আছে এবং তার পাশে কচু গাছের জঙ্গল সেই জঙ্গলের থেকেই এই কৌটো বোম টি সংগ্রহ করে নিয়ে যায় মৃত কিশোরের দাদু।


রুহিয়া পাতুলিয়া অঞ্চলে প্রায় এই ধরনের বোমাবাজির ঘটনা ঘটে এবং জগদ্দল কাকিনাড়া ভাটপাড়া এই অঞ্চলের মানুষ বোমের শব্দে তাদের সকাল হয়। আর এই বোমের শব্দ হতেই এই অঞ্চলের মানুষ  নিদ্রায় যায়। কিন্তু এই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এর বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেই অভিযোগের আঙুল  উঠছে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। 

 

এখন দেখার এই ধরনের ঘটনার কতটা সামাল দিতে পারে পুলিশ প্রশাসন । আর কত প্রাণ যাবে। এভাবে আর কত মানুষ এইভাবে আক্রান্ত হবে এইভাবে বোমা ফাটায়।

Your Opinion

We hate spam as much as you do