এই তদন্তের গতিতে সন্তুষ্ট নয় বামেরা। তদন্তের গতি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বামফ্রন্ট। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বিধান নগরের সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে। এখানেই সিবিআই ও ইডির দফতর রয়েছে। বিমান বসুর নেতৃত্বে দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই অভিযান হবে বলে ফ্রন্টের তরফে জানানো হয়েছে।
৯ই সেপ্টেম্বর বামেদের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান! দাবী তদন্তের গতি বাড়াও, রাজ্যজুড়ে দুর্নীতিকারীদের শাস্তি দাও
৮ই সেপ্টেম্বর ২০২২
দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের মতো একের পর এক শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করেছে ইডি, সিবিআই। অভিষেক ব্যানার্জী, মলয় ঘটক সহ গুরুত্বপূর্ণ নেতা মন্ত্রীর বাড়ি তদন্ত চলছে।
কিন্তু এই তদন্তের গতিতে সন্তুষ্ট নয় বামেরা। তদন্তের গতি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বামফ্রন্ট। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বিধান নগরের সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে। এখানেই সিবিআই ও ইডির দফতর রয়েছে। বিমান বসুর নেতৃত্বে দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই অভিযান হবে বলে ফ্রন্টের তরফে জানানো হয়েছে।
কেনও এই অভিযান? বামফ্রন্টের শরিক দলের নেতা মিহির বাইন জানিয়েছেন, "রাজ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শিক্ষায় যে দুর্নীতি হয়েছে তার ফলে রাজ্যের বিরাট ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। যোগ্যরা রাস্তায় বসে আছে আর কিছু অসাধু মানুষ চাকরি পেয়েছে। আর শাসকদলের ঘনিষ্ঠরা এর থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। সেই টাকার একটা অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এটা ঠিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৎপরতা দেখানোয় কিছুটা সাফল্য মিলেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'কেউ কেউ গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আরও দ্রুত এই তদন্ত চালাতে হবে। কারণ এর সঙ্গে রাজ্যের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থ জড়িয়ে আছে। এর আগে সারদা ও নারদ কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কিছুদিন তৎপরতা দেখালেও বর্তমানে সেটা কী অবস্থায় রয়েছে সবাই জানে। গরিব মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তরা কোনও শাস্তি পায়নি। তাই এই তদন্তে আরও গতি এনে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। দোষীদের সাজা দিতে হবে।'
এর মাঝে বাগুইহাটিতে দুই কিশোর হত্যার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার। তাই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সিজিওর সামনে ৯ সেপ্টেম্বর কর্মসূচি তো হবেই। তার আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে প্রচার আন্দোলন কর্মসূচি হয়েছে ।
একদিকে বামেদের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান আর সেইদিনই শহরে আসছেন অনুব্রত মন্ডল। মঙ্গোলকোটের খুনের চেষ্টা ও অশান্তির একটি মামলার রায়দান করবে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। এই দিন আদালতে এই ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত সকলকে উপস্থিত থাকার স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন অনুব্রত মন্ডল।
সিজিও কমপ্লেক্স (CGO Complex) থেকে বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতের দূরত্ব মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ মিটার, ফলে বামেদের (Cpim) সিজিও অভিযানের মুখোমুখি পড়তে পারেন অনুব্রত মন্ডল। যদিও সূত্রের খবর অনুব্রত মন্ডল আদালতে আস্তে পারেন সকালে এবং বামেদের অভিযান দুপুরেরদিকে কিন্তু সময়ের হেরফের হলে বামেদের মিছিলের মুখোমুখি হতে পারেন গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মন্ডল।
We hate spam as much as you do