Tranding

01:19 PM - 01 Dec 2025

Home / North 24 Parganas / ইছাপুরের মৃত ছাত্র শুভ্রজিতের কোভিড ছিল না, এক বছর পর মা জানলেন হাইকোর্টের নির্দেশে

ইছাপুরের মৃত ছাত্র শুভ্রজিতের কোভিড ছিল না, এক বছর পর মা জানলেন হাইকোর্টের নির্দেশে

হাইকোর্টের নির্দেশে দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল। এতদিন পর জানতে পারলাম কোভিড নেগেটিভ।' তবে পোষ্টমর্টমের রিপোর্ট নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। রিপোর্টে উল্লেখিত তারিখ- ১৬ জুলাই, ২০২০। এক বছরের অধিককাল পরে জানা গেল এই রিপোর্ট। এত দেরী কেন?

ইছাপুরের মৃত ছাত্র শুভ্রজিতের  কোভিড ছিল না, এক বছর পর মা জানলেন হাইকোর্টের নির্দেশে

ইছাপুরের মৃত ছাত্র শুভ্রজিতের  কোভিড ছিল না, এক বছর পর মা জানলেন হাইকোর্টের নির্দেশে


'বিনা চিকিৎসা'য় ছেলের মৃত্যুর এক বছর পর হাইকোর্টের নির্দেশে মা জানলেন কোভিড ছিল না  


কোভিড পজিটিভ ছিলেন না ইছাপুর নেতাজী পল্লীর শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায় । ছেলের মৃত্যুর এক বছর পর হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানতে পারলেন মা। এক্ষেত্রে সুবিচারের দাবি করছেন শ্রাবণী চট্টোপাধ্যায়।

বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে ছেলের। এই মর্মে গতবছর জুলাইয়ে বেলঘড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন মা শ্রাবণী। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনটি হাসপাতাল ঘুরেছিলেন মা-বাবা। বেলঘড়িয়ার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সাগর দত্ত, সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজ। শেষে মেডিক্যাল কলেজে শ্রাবণী আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার পর ভর্তি করা হয় শুভ্রজিতকে। তবে বাঁচানো যায়নি। তখন শ্রাবণী দাবি করেছিলেন, বেলঘড়িয়ার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল, শুভ্রজিতের (Subhrajit Chatterjee) কোভিড হয়েছে। কিন্তু, স্বাস্থ্য দফতরের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা করা হয়নি শুভ্রজিতের। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন মা। 

শুভ্রজিতের  দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । সেই রিপোর্টে জানা গেল, শুভ্রজিত (Subhrajit Chatterjee) কোভিড আক্রান্ত ছিলেন না। পরিবারের বক্তব্য, সেদিন তিনটি হাসপাতাল ঘুরতে না হলে বাঁচানো যেত ছেলেটাকে। এই রিপোর্ট আসার পর সুবিচার চেয়েছেন শ্রাবণী ।            

আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'হাইকোর্টের নির্দেশে দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল। এতদিন পর জানতে পারলাম কোভিড নেগেটিভ।' তবে পোষ্টমর্টমের রিপোর্ট নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। রিপোর্টে উল্লেখিত তারিখ- ১৬ জুলাই, ২০২০। এক বছরের অধিককাল পরে জানা গেল এই রিপোর্ট। এত দেরী কেন? নিশ্চিত ভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে রাজ্য স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে।

Your Opinion

We hate spam as much as you do