সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। ছিলেন পলাশ দাশ, সপ্তর্ষি দেব,জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী, এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য সহ অনেকেই।
বাগুইআটিতে সেলিম - সুজন ,নিহত ছাত্রের বাড়িতে ,বাইরে তৃণমূলের বাধা
Sep 07, 2022
বাগুইআটিতে দুই ছাত্র অপহরণ করে খুনের ঘটনা নিয়ে বর্তমানে জোরদার চর্চা চলছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই নিহত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে এদিন বামদের যে প্রতিনিধি দল এদিন বাগুইআটি যান তার মধ্যে ছিলেন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। ছিলেন পলাশ দাশ, সপ্তর্ষি দেব,জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী, এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য সহ অনেকেই।
সূত্রের খবর, এদিন অভিষেকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যে সময় কথা বলছিলেন বাম নেতারা, সেই সময় বাইরে জড়ো হয়ে বাধা দিতে শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা । সেলিম-সুজনদের পাড়া ছেড়ে চলেও যেতে বলেন। তবে ততক্ষণে বাম নেতাদের সঙ্গে মিনেট কুড়ি কথা হয়ে গিয়েছে সৃজন-সুজনদের। তবে এ ঘটনার জেরে পাড়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তৃণমূলের লোকেরা।
সূত্রের খবর, সেলিমরা যখন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকরা তাঁদের বারবার অতীতের বাম শাসনের কথা বলতে থাকেন। আনন্দমার্গীর কথা তুলে বাম শাসনের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বলেন। যদিও সিপিএমের দাবি যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা মূলত তৃণমূলের লোক। স্থানীয় কাউন্সিলরের মদতেই এই বিক্ষোভ দেখানো হয় বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। এদিকে বাগুইআটি থানা থেকে অভিষেকের বাড়ি হেঁটে মিনিট দশেক। এদিন বাগুইআটি থানার পাশে একটি সভাও করে বাম নেতারা। বক্তৃতা দেন সেলিম-সুজনরা। অভিষেকের বাড়ি থেকেই হেঁটেই সভাস্থলে আসেন তাঁরা।
মঙ্গলবার বাগুইআটি গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
অন্যদিকে এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে বলতে শোনা যায়, “কিছু মিডিয়া বলছে, সেলিমদা বা সুজনদাকে ফিরিয়ে দিয়েছে অভিষেকের পরিবার। ঠিকই। তবে অভিষেক নস্করের পরিবার না। তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন সেলিমদা, সুজনদা, পলাশদা। ছিলাম আমরাও। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জল খেয়ে বেরিয়ে বাইরে সভা করেন আমাদের নেতারা। এখানে সংকীর্ণতার কোনো প্রশ্ন নেই, খুনিদের শাস্তি চাই।”
We hate spam as much as you do