বাড়িতেই বিচুলির গাদার মধ্যে বোমা রাখা ছিল। ঝুমা বল ভেবে তা আনতে যায়। তখনই সেটি ফেটে যায় বিকট শব্দ করে। ঝুমা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
তৃণমূল নেতার বাড়িতে মজুত বোমা ফেটে মৃত্যু হল তার নয় বছরের ভাগনির।
17nov 2022
আবুল হোসেন গায়েন নামে ওই তৃণমূল নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁকে জেরা করা হয় রাত পর্যন্ত। বুধবার সন্ধ্যায় মিনাখাঁ থানার গাইনপাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ঝুমা খাতুন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে বেড়াতে আসে তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাদের মধ্যে ছিল ঝুমা খাতুনও। বাড়িতেই বিচুলির গাদার মধ্যে বোমা রাখা ছিল। ঝুমা বল ভেবে তা আনতে যায়। তখনই সেটি ফেটে যায় বিকট শব্দ করে। ঝুমা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ঝুমা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে প্রথেম মিনাখাঁ থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে দেহ পাঠানো হয় মিনাখা হাসপাতালে। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা মজুত করা হয়েছিল তৃণমূল নেতার বাড়িতে। তাই ফেটে গিয়েছে। এর পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের।
বিচুলির গাদায় বোমা কেন রাখা ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনিতেই উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন ব্লকে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। বসিরহাট, আমডাঙা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় রোজই বোমা উদ্ধার হচ্ছে। বিরোধীরা বলছে, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তারই জন্য বোমা তৈরি হচ্ছে এখন জেলার সর্বত্র।
ঘটনার পরই তৃণমূল নেতার বাড়ি যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়, এসডিপিও আমিনুল ইসলাম, মিনাখাঁ থানার অফিসার সিদ্ধার্থ মণ্ডল প্রমুখ। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
We hate spam as much as you do