হিমাদ্রি মিশনের সভাপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.সঞ্জিত জোতদার বলেন, 'কলকাতার কিছু স্বহৃদয় ব্যক্তির সাহায্য নিয়ে আমরা সুন্দরবনের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। ভবিষ্যতেও হিমাদ্রি মিশনের পক্ষ থেকে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।'
সন্দেশখালির 'হিমাদ্রি মিশনের' উদ্যোগে শতাধিক শিশুর হাতে শিক্ষা সামগ্রী প্রদান
মহামারি করোনা, পূর্ণিমার ভরা কটাল এবং ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস'-এই ত্রিফলার ধাক্কায় বিপর্যস্ত সুন্দরবনের মানুষ। সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ এখন দিশাহারা। এই অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এল সন্দেশখালির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিমাদ্রি মিশন। ৮ জুন মঙ্গলবার সন্দেশখালি থানার দুর্গামণ্ডপে 'হিমাদ্রি মিশন বিদ্যাপীঠ'-এর শতাধিক শিশু পড়ুয়ার হাতে শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৩১ মে সোমবার দুর্গামণ্ডপে হিমাদ্রি মিশনের উদ্যোগে এবং কলকাতার যোধপুর পার্ক গার্লস হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী ইন্দ্রানী সেন, মৌসুমী মজুমদার, রূপা গাঙ্গুলি, রিয়া দে-সহ বেশকিছু স্বহৃদয় ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতায় দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গামণ্ডপে শতাধিক শিশুর হাতে শুকনো খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় জল তুলে দেওয়া হয়েছিল। শিশুদের হাতে মুড়ির প্যাকেট, চিড়ের প্যাকেট, ছাতুর প্যাকেট, সুজির প্যাকেট, সোয়াবিন প্যাকেট, বিস্কুট প্যাকেট এবং মিনারেল ওয়াটারের বোতল তুলে দেওয়া হয়েছিল। আজ আবার ওনাদেরই সহযোগিতায় শিক্ষা সামগ্রী খাতা, পেন, পেন্সিল, রাবার, রং, তুলি ইত্যাদি তুলে দেওয়া হল শিশুদের হাতে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিমাদ্রি মিশনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সাহিত্যিক নিতাইপদ মণ্ডল, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নিত্যানন্দ রায়, হিমাদ্রি মিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. সঞ্জিত জোতদার, শিক্ষিকা রীনা মণ্ডল, বাসন্তী রায়, সরস্বতী মণ্ডল, পিঙ্কি হালদার, শিবানী রাউত, অন্তরা রায় প্রমুখ।
হিমাদ্রি মিশনের সভাপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.সঞ্জিত জোতদার বলেন, 'কলকাতার কিছু স্বহৃদয় ব্যক্তির সাহায্য নিয়ে আমরা সুন্দরবনের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। ভবিষ্যতেও হিমাদ্রি মিশনের পক্ষ থেকে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।'
হিমাদ্রি মিশনের যৎসামান্য আয়োজন হলেও তাদের মানবিক চিন্তাভাবনা আর সহযোগিতা পেয়ে এলাকার মানুষজন ভীষণ খুশি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, 'করোনা অতিমারিতে যখন সব কাজ বন্ধ, গৃহবন্দি শিশুরাও। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' বিধ্বস্ত এলাকা। বর্তমানে সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ দিশেহারা। এমতাবস্থায় সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিমাদ্রি মিশন-এর পক্ষ থেকে কখনও খাবার, কখনও শিক্ষা সামগ্রী শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। হিমাদ্রি মিশনের থেকে এসব পেয়ে শিশুরাও খুব খুশি হয়েছে। ওদের মুখে হাসি দেখে আমাদেরও মন ভরে গেল। এছাড়াও হিমাদ্রি মিশন মানুষের আপদে-বিপদে সবসময় এলাকার মানুষের পাশে থাকে। বারোমাস তারা কিছু না কিছু কাজ করে থাকে।'
ছবির ক্যাপশন:সন্দেশখালির বানভাসি পরিবারের শিশুদের হাতে শিক্ষা সামগ্রী স্বেচ্ছাসেবী সংস্হা।
We hate spam as much as you do