জানা গিয়েছে, 15 বছরের ওই নির্যাতিতা কিশোরী মূক ও বধির। মানসিক ভারসাম্যহীনও সে। রবিবার দুপুরে দত্তপুকুর এলাকার বাড়ি থেকে বেরিয়ে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় সে । পরে রাতে কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের এক ইটভাটায় বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। খবর পেয়ে দত্তপুকুর থানার পুলিশ গিয়ে ওই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পরিবারের লোকজনও। পরে, সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয় কিশোরীকে। বুধবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। দোষীর কঠোর শাস্তি চেয়ে সরব হন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন।
দত্তপুকুরে মূক-বধির কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, সিপিএমের চাপে গ্রেফতার অভিযুক্ত
October 22, 2025
উৎসবের আবহে ফের ধর্ষণের অভিযোগ। মূক ও বধির কিশোরীকে ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুর এলাকায়।
নির্যাতিতার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ প্রথমে তা নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। পরে, সিপিআইএম এরিয়া কমিটির বিক্ষোভের জেরে চাপে পড়ে পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ দায়ের করে । ঘটনার তদন্তে নেমে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ । পুলিশ অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে । তবে এই ঘটনায় ফের রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা ৷
যদিও, গাফিলতির অভিযোগ না মেনে বারাসত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) অতীশ বিশ্বাস বলেন, "কদম্বগাছি ফাঁড়ির পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্যাতিতা মেয়েটি পরিবারকে আকার ইঙ্গিতে বোঝায় যে, তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । অভিযুক্ত যে সাইকেলে চাপিয়ে ওই কিশোরীকে নিয়ে গিয়েছিল, সেই সাইকেলও আমরা বাজেয়াপ্ত করেছি। তদন্তে কোনও গাফিলতি হয়নি। অভিযোগ না-নেওয়ার কথাও ঠিক না। বুধবার দুপুরে ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হয়।"
জানা গিয়েছে, 15 বছরের ওই নির্যাতিতা কিশোরী মূক ও বধির। মানসিক ভারসাম্যহীনও সে। রবিবার দুপুরে দত্তপুকুর এলাকার বাড়ি থেকে বেরিয়ে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় সে । পরে রাতে কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের এক ইটভাটায় বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। খবর পেয়ে দত্তপুকুর থানার পুলিশ গিয়ে ওই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পরিবারের লোকজনও। পরে, সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয় কিশোরীকে। বুধবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। দোষীর কঠোর শাস্তি চেয়ে সরব হন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন।
কোটরা পঞ্চায়েতের অধীন খড়কি গ্রামের ঐ 15 বয়সের মুক ও বধির এবং মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতন ও প্রচন্ড মারধর করা হয়.. তাকে বিবস্ত্র ও গুরুতর আহত অবস্থায় কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পীড়গাছা পরিতক্ত্য ইটভাটা থেকে উদ্ধার করে স্হানীয় লোকজন পুলিশ প্রথমে রোড দুর্ঘটনা বলে চালাতে চাইছিল। ধামাচাপা দেয়ার জন্য উক্ত ঘটনায় খড়কি এলাকায় রেজাউল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম এবং নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী হাকিম ভাই যোগাযোগ করে পরিবারের সাথে কথা বলে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। তারপরও পুলিশ পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এমত অবস্থায় সরাসরি পুলিশের সাথে কথা বলা হলে, তুমুল বাক বিতণ্ডা হয়। পরিশেষে সিপিআইএমের চাপে সন্ধ্যার সময় থানার আধিকারিক তার পরিবারকে থানায় যেতে বলে অবশেষে বহু টালবাহানা র পরে FIR নথিভুক্ত হয়..নির্যাতিতার পরিবার একদম হতদরিদ্র অসহায় ,. দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবী করা হয়েছে।
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেতৃত্ব পরিবারের সাথে দেখা করে চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করে ও সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেয়। মহিলা নেত্রী আত্রেয়ী গুহ, যশোধরা বাগচী, রুনু ব্যানার্জি, মৌসুমী সরকার, পূরবী সরকার, স্মৃতি কর, দত্তপুকুর আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক সভানেত্রী ডলি মিত্্র্ মামুদা বিবি।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, রবিবার দুপুর থেকে মূক ও বধির ওই কিশোরীকে অনেক জায়গায় খোঁজা হয়েছে । কিন্তু, তার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। পরে খবর মেলে, পুলিশ একটি ইটভাটা থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে । সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তাদের মেয়ের চিকিৎসা চলছে। কিশোরীর মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়েও পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন ৷ তাঁদের দাবি, মেডিক্যাল রিপোর্ট তারা হাতে পায়নি । তবে তার শরীরে একাধিক দাগ রয়েছে । তাদের অভিযোগ, মূক ও বধির মেয়েকে ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে । দোষীর কঠোর শাস্তির দাবিও করেছেন পরিবারের লোকরা ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে একজন ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে । যে সাইকেলে করে মেয়েটিকে নিয়ে গিয়েছিল । এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। মেয়েটির পক্ষেও কিছু বলা সম্ভব নয়। দত্তপুকুরে এই ধর্ষণের অভিযোগে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। বিশেষ করে সিপিএম নেতৃত্ব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে । পুলিশি তদন্ত নিয়েও গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের।
We hate spam as much as you do