২০১৬ সালে এই কেন্দ্র থেকে বাম-কংগ্রেস জোটের মধুসূদন ঘোষ জিতে বিধানসভায় গিয়েছিলেন। মধুবাবুর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এলাকার মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। কিন্তু মাত্র ১৮মাস পরে তার হঠাত্ মৃত্যু একটা শূন্যতা তৈরি করে।
নোয়াপাড়ায় শুভঙ্কর-পক্ষে জোর হাওয়া। বিরুদ্ধে মঞ্জু বসু , সুনীল সিং
শিউলি,মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সেই সঙ্গে উত্তর বারাকপুর,গারুলিয়া পৌরসভা এবং বারাকপুরের ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অঞ্চল এই বিশালাকৃতি বিধানসভা।
এ বছর নোয়াপাড়ায় সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী কংগ্রেসের শুভঙ্কর সরকার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে মনে করা হচ্ছে ।
আসলে গত ২০১৬ সালে এই কেন্দ্র থেকে বাম-কংগ্রেস জোটের মধুসূদন ঘোষ জিতে বিধানসভায় গিয়েছিলেন। মধুবাবুর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এলাকার মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। কিন্তু মাত্র ১৮মাস পরে তার হঠাত্ মৃত্যু একটা শূন্যতা তৈরি করে।
২০১৮ সালে উপনির্বাচন হয়। এক্ষেত্রে বাম-কংগ্রেস জোট হয় নি। তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে সুনীল সিং জয়ী হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে সেবার ভোট হয় নি। লুট হয়েছে । এরপর বছর খানেক পর সুনীল সিং তার শ্যালক অর্জুন সিং এর হাত ধরে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যুক্ত হন। এবার তিনিই প্রার্থী ।
অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী দুবারের বিধায়ক মঞ্জু বসু। কিন্তু গত ২০১৬ তে হেরে যাওয়ার পর খানিকটা শারীরিক অসুস্থ মঞ্জু বসুর জনসংযোগ একেবারে কমে যায়। উপনির্বাচনে তাকে দল প্রার্থী না করায় তার ক্ষোভ অন্য একটি কারন হিসেবে মনে করা হচ্ছে ।
এদিকে সুনীল সিং প্রার্থী হওয়ার বিজেপির অনেক নেতৃত্ব ও সমর্থক মেনে নিতে পারছেন না। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ লক্ষ করা যাচ্ছে । আবার বহু অঞ্চলে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দলের এক অংশের মঞ্জু বসুর প্রকাশ্য বিরোধিতা আছে।
গত ২০১৬ এর হিসেব অনুসারে কংগ্রেসের নতুন প্রার্থী শুভঙ্করের পক্ষে ভোট পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, সন্ত্রাসের অভিযোগ আছে। বন্ধ কারখানা খোলার দাবীও বারবার সামনে। আসছে। এই কেন্দ্রে এক বড় সমস্যা ঘোষপাড়া রোডের বেহাল দশা । এখন এই ভোটের মধ্যেই রাস্তার কাজ হচ্ছে । তৃণমূল অবশ্য একে উন্নয়নের অংশ হিসেবেই দেখছে। এছাড়া রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প তারা প্রচারে আনছেন । যদিও বারবার সামনে আসছে গতবছর আম্ফানের সাহায্য বন্টনের ক্ষেত্রে প্রায় সবটাই নিজেদের লোকেদের এমনকি কাউন্সিলর নিজে পেয়েছেন বলে অভিযোগ। গতবছর
বামপন্থী কর্মীদের করোনাকালে গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচি এবং বিভিন্ন কমিউনিটি কিচেন ,মেডিকেল ক্যাম্প সংগঠিত করার বিষয়গুলো শুভঙ্করের প্রচারে আসছে। গত বছর বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে সফল ধর্মঘট চটশিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে সংযুক্ত মোর্চার প্রভাব বাড়ার সম্ভাবনা ।
এখানে বিজেপি দলের আলাদা কোনো অস্তিত্ব ছিল না। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ কার্যত বিজেপি গঠন করেছেন। তার মধ্যেও মুলত সাংসদ অর্জুন সিং এর ঘনিষ্ঠরাই নোয়াপাড়ায় বিজেপি ।
অতি পরিচয়ের ফলেই নোয়াপাড়ার বৃহৎ অংশের মানুষ তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীদের
চেনেন ও জানেন।
ফলে রাজনৈতিক মহলের ধারনা এদের সমস্ত কার্যকলাপ এই দুই দলের ক্ষেত্রে বিরূপ হবে। যেখানে বাম কংগ্রেস যৌথ সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী শুভঙ্কর সরকারের সুবিধা হবে।
We hate spam as much as you do