বৃহস্পতিবার প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে উত্তীর্ণ হতে পারেননি টাকি ষষ্ঠীবর লাল মাধব উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৬৬ জন ছাত্রী। তাই তাদের পরীক্ষায় পাশ করানোর দাবিতে রাস্তায় নামলেন অনুত্তীর্ণ ছাত্রীরা। এদিন দীর্ঘক্ষন মার্কশিট হাতে নিয়ে টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন তারা।
উচ্চ মাধ্যমিকে পাশ করানোর দাবীতে বিক্ষোভ, পথ অবরোধ
newscopes.in
নিজস্ব সংবাদদাতা:বসিরহাট,২৩ জুলাই----আমাদের কেন ফেল করানো হলো?নতুন করে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।যদি পরীক্ষা নিতেই হয় তবে রাজ্যজুড়ে সব পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে হবে।নচেৎ আমাদের পাশ করিয়ে দিতে হবে।শুক্রবার এই দাবিতে টাকী এস এল গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রীরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় টাকীতে। এদিন বিকালে ওই স্কুলের এবারের অনুত্তীর্ণ ছাত্রীরা টাকী থুবার মোড়ে আচমকা টাকী রোড অবরোধ করে রাস্তার উপর বসে পড়ে ইউনিফর্ম পড়া অবস্থায়। দীর্ঘক্ষণ অবরোধে সৃষ্টি হয় যানজটের।হাসনাবাদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।অনড় মনোভাব নিয়ে অবরোধ চালিয়ে যেতে থাকে ছাত্রীরা।শেষে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায় দু ঘন্টা পর।স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে উত্তীর্ণ হতে পারেননি টাকি ষষ্ঠীবর লাল মাধব উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৬৬ জন ছাত্রী। তাই তাদের পরীক্ষায় পাশ করানোর দাবিতে রাস্তায় নামলেন অনুত্তীর্ণ ছাত্রীরা। এদিন দীর্ঘক্ষন মার্কশিট হাতে নিয়ে টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন তারা। পরীক্ষা হয়নি অথচ এমন রেজাল্ট মানতে নারাজ ছাত্রীরা। তাদের দাবি, পরীক্ষা না দিয়ে বাকিরাও যদি পাশ করতে পারে আমরা পারব না কেন?ছাত্রীদের পক্ষ থেকে মৌ দেবনাথ জানান, আমি পাশ করেছি। কিন্তু আমার বান্ধবীরা পাস করতে পারেননি। তাই ওদের হয়ে রাস্তায় নেমেছি। মাধ্যমিকে সবাইকে পাস করানো হলেও উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে এমন বৈষম্য কেন? এক-দু জন ফেল করলে মানা যায়, কিন্তু একসঙ্গে ৬৬ জন কী করে ফেল করলো ? আর যদি পরীক্ষা দিতে হয় সারা রাজ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নিতে হবে। না হলে এদেরকে পাশ করাতে হবে।
তবে এদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মনীষা মুখোপাধ্যায় জানান, গাইডলাইন মেনে আমরা সমস্ত অনুত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সব রকম ব্যবস্থা করছি, এনিয়ে স্কুলের তরফে কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অনুত্তীর্ণরা যদি পরীক্ষা দিতে চায়, তাহলে তারা তা দিতে পারবে, বা তাদের জন্য ফের মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিন্তু তারা তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি বাকিদের মতো আমাদেরকেও পাশ করিয়ে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, এবছর টাকি ষষ্ঠীধর লালমাধব উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের উচ্চ-মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৩৯ জন। তার মধ্যে ৬৬ জন উত্তীর্ণ হতে পারেননি। বাকি ১৭৩ জন পাশ করেছে।
We hate spam as much as you do