বর্তমানে পাটশিল্প গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সময় যত যাচ্ছে শ্রমিকের সংখ্যা কমছে । কিন্তু মালিকদের উৎপাদন কমছে না। অর্থাৎ শ্রমিকদের ওপর শোষণ বাড়ছে । গোটা রাজ্যে তেরোটি চটকল বন্ধ হয়ে আছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ওয়েবারলি জুট মিল বন্ধ হয়ে আছে দীর্ঘদিন। প্রায় হাজারের বেশি শ্রমিক কর্মহীন। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ খোলার জন্য কোন বাড়তি উদ্যোগ নেয়া হয় না ।
ভাটপাড়ায় চটকল শ্রমিকদের যৌথ কনভেনসনে সংগ্রামের ডাক
18th june 2022
গতকাল ভাটপাড়া প্রেমচন্দ ভবনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা অন্তর্গত চটকল গুলি ২১ টি শ্রমিক সংগঠনের যৌথ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে পাটশিল্প গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সময় যত যাচ্ছে শ্রমিকের সংখ্যা কমছে । কিন্তু মালিকদের উৎপাদন কমছে না। অর্থাৎ শ্রমিকদের ওপর শোষণ বাড়ছে । গোটা রাজ্যে তেরোটি চটকল বন্ধ হয়ে আছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ওয়েবারলি জুট মিল বন্ধ হয়ে আছে দীর্ঘদিন। প্রায় হাজারের বেশি শ্রমিক কর্মহীন। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ খোলার জন্য কোন বাড়তি উদ্যোগ নেয়া হয় না ।
শ্রমিক কনভেনশনের বার্তা রাজ্যের সরকারি বিষয়ে উদাসীন। বেশকিছু কারখানায় ২১ শিফটের বদলে ১২/১৪ শিফ্ট। চলছে সেজন্য মোট ২৭ টি দাবি নিয়ে গত ২৩ শে মে কলকাতায় একুশটি স্বীকৃত ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় কনভেনশন থেকে বলা হয় প্রত্যক্ষ সংগ্রাম ছাড়া এই বিষয়ে দাবি আদায় করা যাবে না কনভেনশনে বক্তারা গত ১৩ ই মার্চ ২০১৯ যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল তার নিন্দা করেন যদিও সেই চুক্তিতে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলো স্বাক্ষর করেনি প্রতিবাদে ২৫ শে মার্চ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছিল এই চুক্তিতে নতুনদের ৩৭০ টাকা এবং পুরনোদের মাত্র দুই টাকা দৈনিক বাড়িয়ে একটা জটিলতা তৈরি করা হয়েছে কোন কারখানায় ৯০-২০ নীতি মানা হচ্ছে না। এমনকি ২০১৯ সালে যে চুক্তি হয়েছিল তাও বেশিরভাগ মানাই হয়নি। সমস্ত কারখানাগুলো চলছে ঠিকাদারী ভিত্তিতে।
কারখানা গুলিতে গ্রাচুয়িটি প্রভিডেন্ট ফান্ড বিষয়ক সমস্যা বাড়ছে। এমনকি পাট চাষিরা উপযুক্ত দাম পাচ্ছে না। এদিকে ফড়েরা সমস্ত পাট জমা করছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে তারাই দাম বাড়াতে বলছে।
এই কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিআইটিইউর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু। বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি তড়িৎ তোপদার। আইএনটিটিইউসির পক্ষ থেকে মাস্টার নিজাম এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কনভেনশনের মঞ্চ থেকে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্বেও বিভিন্ন কারখানা থেকে শ্রমিকরা যুক্ত হোন। রঞ্জিত মন্ডল প্রস্তাব পেশ করেন।
We hate spam as much as you do