রাতের অন্ধকারে স্কুলঘরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত গ্রামবাসীর কথা অনুযায়ী তৃণমূল আশ্রিত ওই ৩ দুষ্কৃতী।
শাসনের স্কুলঘরে বোমা ফেটে আহত ৩ জন । অভিযোগ এরা তৃণমূল আশ্রিত
-একবছর অতিক্রান্ত।করোনা,লকডাউনে স্কুলের পঠনপাঠন শিঁকেয়।এরই সুযোগে স্কুলঘর হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীদের মুক্ত প্রেক্ষাগৃহ।আর সবাই তৃণমূল আশ্রিত। এইরকম অভিযোগ।
আর সেখানেই চলছে দিনে রাতে বোমা তৈরির কাজ।সেই বোমা বিস্ফোরণে কেপে উঠলো পাড়াময়।বোমার আঘাতে গুরুতর জখম দুষ্কৃতীরা।যাদের রাজনৈতিক পরিচয় এদের কেউ তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলে,কেউ তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের জামাই আবার কেউ পঞ্চায়েত সদস্যের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।আহতরা উত্তর২৪পরগনার শাসন থানার চক আমিনপুরের বাসিন্দা।
রাতের অন্ধকারে স্কুলঘরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত গ্রামবাসীর কথা অনুযায়ী তৃণমূল আশ্রিত ওই ৩ দুষ্কৃতী। করোনা ভাইরাসের জেরে রাজ্য জুড়ে লকডাউন চলছে। এর ফলে স্কুল পাঠশালা সবই বন্ধ। আর এই সুযোগ নিয়ে স্কুল ঘরের মধ্যে।বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হল তিন দুষ্কৃতী। আর এই ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থানার দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিপুর বজবজিয়া এলাকা। আহত দুষ্কৃতীরা হলেন সাবির আলি(২৬) জাহাঙ্গীর আলী(২৫) ও মিজানুর রহমান আলী(২৫)। এরা বাগুইআটির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন।
ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গোটা এলাকাবাসী। রবিবার সকাল থেকে গোটা এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় মানুষ।তারা এলাকায় শান্তি বজায়ের দাবি তুলেছেন এবং দুষ্কৃতীরাজ বন্ধ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
রাত তখন গভীর।আচমকা বিকট শব্দে রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে খানখান।আতঙ্কে মানুষ বেড়িয়ে আসে ঘরছেড়ে।দুষ্কৃতীরা তাদের দেখে বোমাও ছোঁড়ে বলে অভিযোগ।কয়েকজন গ্রামবাসী তাতে আহত হন।রাজারহাটে বেসরকারি হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন বালিপুরে যে বজবজিয়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে ওই স্কুলের মধ্যে বালিপুর বুথ সভাপতি তৃণমূলের আরিফ আলীর নেতৃত্বে তিন থেকে চার জন দুষ্কৃতী বোমা বাঁধার কাজ করছিল।আচমকা সেই বোমা বিস্ফোরণে গোটা এলাকা কেঁপে। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্য করেন ঐ স্কুল ঘরের মধ্যে তিন দুষ্কৃতী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে বাগুইআটির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করে। খবর পেয়ে শাসন থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বালিপুরের পাশে পাকদা এলাকা থেকে একমাস আগে পুলিশ ত্রিশটির উপরে তাজা বোমা উদ্ধার করেছিল। অর্থাৎ শাসনের যে বিস্তীর্ণ এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য ফের বেড়েছে তার প্রমাণ ওই অতগুলো বোমা উদ্ধারের ঘটনা।
রাশ টানতে প্রশাসন ইতিমধ্যে কড়া তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় এই সমস্ত দুষ্কৃতীরা টাকার বিনিময়ে আগ্নেয়াস্ত্র বা বোমা বানিয়ে অন্যান্য জায়গায় সরবরাহ করত।তবে এই চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন শাসন থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং গ্রামবাসীরা দাবি করেন অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে। পাশাপাশি এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
প্রসঙ্গত গত বিধানসভা নির্বাচনে হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার আই এস এফ প্রার্থী কুতুবুদ্দিন হক পুরকাইত ওই বুথে লিড পায়।আশঙ্কা তারই বদলা নিতে বোমা তৈরি করা হচ্ছিল কী না তা
We hate spam as much as you do