প্রিন্সিপালের উদ্যোগেই শুরু হয় অধ্যাপক দের সাথে শিক্ষক সহকর্মী এবং প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন জানান একটা ফান্ড করা হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ উদ্যোগে সেখানে যে যার মতন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে কলেজের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছে বা লকডাউনের সঙ্কটের মুখে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যের জন্য তৈরি করা হয় একটি বিশেষ ফান্ড।
ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজে দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতার মানবিক উদ্যোগ।
গত বছর থেকে করোনাভাইরাস রোগের শুরু হওয়া থেকেই যে লকডাউন শুরু হয় দীর্ঘদিন গত বছর সেই লকডাউন চলে তারপরে দ্বিতীয় ঢেউ আসে এবছর আবার লকডাউন শুরু হয় সেই লকডাউনের জন্য অনেক মানুষ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় ছাত্র-ছাত্রীরা যখন সারা রাজ্য বিভিন্ন কলেজের স্কুলে আন্দোলন শুরু করেছে স্কুলের কলেজের ফি কমাতে হবে ছাড় দিতে হবে সেই সময় অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল রাজ্যের বুকে প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বেলঘড়িয়া ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ
ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ প্রিন্সিপাল ডঃ শুভ্রনীল সোম তার ভাবনাতে আসে এই লকডাউনে ফলে প্রচুর মানুষের কাজ চলে গেছে অনেকের অর্ধেক মাইনে হয়ে গেছে অনেকে মাইনে পাচ্ছে না সেই সময় প্রিন্সিপালের উদ্যোগেই শুরু হয় অধ্যাপক দের সাথে শিক্ষক সহকর্মী এবং প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন জানান একটা ফান্ড করা হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ উদ্যোগে সেখানে যে যার মতন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে কলেজের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছে বা লকডাউনের সঙ্কটের মুখে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যের জন্য তৈরি করা হয় একটি বিশেষ ফান্ড। সেই তহবিলে কলেজের প্রফেসর নন টিচিং স্টাফ সহ প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা হাত বাড়িয়ে দেন। সেই টাকা থেকে কলেজে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সাহায্য করা হয় ।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ঠিক করেন একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং ফর্ম ছাড়া হয় । যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজন তারা সেই ফর্ম পূরণ করে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার পরে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটির তত্ত্বাবধানে যারা পাওয়ার যোগ্য সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলেজের এই ফান্ড থেকে অর্থ সাহায্য করা হয়। এমনও কলেজের ছাত্রী আছে যাকে সাহায্য করা হয়েছে যার বাবা কাজ চলে গেছে পড়াশোনা বন্ধের মুখে অন্যের বাড়িতে সেই ছাত্রীকে কাজ করতে হয়। পরিবার বাঁচানোর জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই ছাত্রী কে খুঁজে বের করে তার পাশে দাঁড়ায় । সাহায্য করে বহু ছাত্র-ছাত্রীর যেহেতু এখন মোবাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়াশোনা চলছে সেই ইন্টারনেট রিচার্জ করা কলেজের মাইনে দিয়ে দেওয়া এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারকে এবং যারা চিকিৎসার জন্য বই-খাতা কেনার জন্য এই ফান্ড করা হয়েছে।
প্রায় এখনো পর্যন্ত 150 জন ছাত্র-ছাত্রীদের এই ফান্ড থেকে সাহায্য করা হয় ।নন টিচিং স্টাফ সুপর্ণা দাস জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ধরনের সিদ্ধান্ত আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত এই সময়তে আমাদের সাধ্যমত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে পারে এবং আমাদের কলেজের প্রচুর প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা এই ফান্ডের জন্য তারা তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত রাজ্যের সমস্ত কলেজ স্কুল এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে অনেক ছাত্র-ছাত্রী এর মধ্যে দিয়ে উপকৃত হতে পারবে।
বিঃদ্রঃ-
ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ এর প্রিন্সিপালের ফোন নাম্বার ডঃ শুভ্রনীল সোম 81 78 98 20 64 প্রয়োজনে প্রিন্সিপালের সাথে ফোনে কথা বলে নিতে পারেন
We hate spam as much as you do