পঞ্চায়েত প্রধানকে ফোন করে জানতে চাইলে প্রথম উত্তর জানি না।পরের উত্তর এফ আই আর করে দিন।এবারও ঘটনাস্থল সেই বেগমপুর বিবিপুর।গত এক মাস আগে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে অবলীলাক্রমে গাছ কাটা শুরু হয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে গাছ কাটায় গ্রামবাসীরা হতবাক হয়ে পড়ে।
টাকিরোডের ধারে রোজ লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়
newscopes.in
থেমে নেই সরকারি গাছ কাটা।বেমালুম হাপিস হয়ে যাচ্ছে দিনের আলোয়।শুনে পুলিশ বলছে তেমন কোন অভিযোগ পায় নি।বিডিও বলছেন খোঁজ নিয়ে দেখছি।একই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় দিনের পর দিন এভাবেই লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।
পঞ্চায়েত প্রধানকে ফোন করে জানতে চাইলে প্রথম উত্তর জানি না।পরের উত্তর এফ আই আর করে দিন।এবারও ঘটনাস্থল সেই বেগমপুর বিবিপুর।গত এক মাস আগে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে অবলীলাক্রমে গাছ কাটা শুরু হয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে গাছ কাটায় গ্রামবাসীরা হতবাক হয়ে পড়ে।
সোমবার সকালে ওই একই পঞ্চায়েতের বিষ্ঞুপুরে টাকী রোডের ধারে শুরু হয় বহু মূল্যের শিরিষ গাছ নিধন যজ্ঞ। এভাবে দিনের পর দিন সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার খবর সবাই জানে। প্রশাসন জানে না।ফোন করে জানতে চাইলে বিডিও, থানার ওসি বলছেন এ ব্যাপারে কিছু জানি না।খোঁজ নিয়ে দেখছি।
পঞ্চায়েত প্রধান জামাল উদ্দিন মল্লিক আরো একধাপ এগিয়ে বললেন জানি না।এফ আই আর করে দিন।অর্থাৎ সব দায়িত্ব যেন সংবাদমাধ্যমের। বসিরহাট-২নং ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত বেগমপুর বিবিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্বত্র চলছে সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া।
বাড়ি ঘরে হামলা হতে পারে।তাই গ্রামবাসীরা সরাসরি প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না কেউ।অভিযোগ,স্থানীয় বাসিন্দা লতিফ দপ্তরীর ছেলে বিদ্যুৎকর্মী ইমাম দপ্তরী বিষ্ঞুপুরে যে সরকারি গাছ কাটা চলছে তার মাথা।৫টি গাছ১০লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বেগমপুর বিবিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবিপুর গ্রামে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র লাগোয়া,টাকী রোডের ধারে বিষ্ঞুপুর সহ বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার ধারে ধারে বিগত বামফ্রন্ট পরিচালিত পঞ্চায়েত ৩২বছর আগে বনসৃজন প্রকল্পে গাছগুলি বসিয়েছিল।সুতরাং গাছগুলি বহু পুরানো।বর্তমানে পেল্লাই পেল্লাই সেই সমস্ত শিরিষ গাছের মূল লক্ষ লক্ষ টাকা।যার দিকে নজর পঞ্চায়েতের।প্রশাসনের অন্ধত্বের কারনে যা দিনের পর দিন কেটে নিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।
গ্রামবাসীরা জানতে চাইলে তারা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের অনুমতির কথা বলে।দিনের আলোয় গাছ কেটে রাখা হয়। সন্ধ্যা নামলেই অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।আর তখনই গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়।তারা বুঝতে পারে সরকারি দরপত্র ছাড়াই গাছগুলি পাচার হয়ে যাচ্ছে।
সেবারওবিডিও জয়দেব চক্রবর্তী বলেছিলেন জানি না।খোঁজ নিয়ে দেখছি।এবারও শোনালেন একই কথা।স্থানীয় মাটিয়া থানার ওসি অনুপ ঘোষ বলেন, ঘটনা সম্পর্কে বিডিও অভিযোগ করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।সেবারও বলেছিলেন।এবারও তাই বললেন।যদিও শেষমেশ প্রধান বাধ্য হন গাছা কাটা বন্ধ করতে।
ছবির ক্যাপশন:বিষ্ঞুপুরে টাকী রোডের ধারে প্রকাশ্যে চলছে সরকারি গাছ কাটা।
We hate spam as much as you do