গতবছর জুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো বামপন্থী বিশেষ করে সিপিএম কর্মীদের কথা। তা অবশ্যই ভোটে প্রভাব ফেলবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারনা।
বনগাঁ উঃ কেন্দ্র বাম প্রার্থী পীযুষকান্তি বিরুদ্ধে শ্যামল রায়,অশোক কীর্তনীয়া
বনগাঁ উত্তর তফশিলি বিধানসভায় সংযুক্ত মোর্চার পীযুষ কান্তি সাহা এই প্রবল দাবদাহে জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। মুলত ১টা পৌরসভা এবং ৭টা গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে এই বিধানসভা কেন্দ্র । বনগাঁর অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিজেপির প্রভাব বেড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অসহিষ্ণু রাজনীতির কারনেই মানুষ কিছুটা বিজেপি মুখি হয়েছিলেন। সমস্ত অঞ্চল জুড়ে চাপা সন্ত্রাস, এলাকার নিরঙ্কুশ দখলদারি শাসক দলের প্রতি বিরক্তি উৎপাদন করেছে । অসহ্য হয়ে গত লোকসভায় বিজেপির ভোট বেড়েছে। এখন অবস্থাটা অনেক পরিবর্তন হয়েছে । বনগাঁ উত্তরে কাজ করছেন এমন বাম যুবকর্মীদের বক্তব্য এই অবস্থা থেকে অনেকটাই পরিবর্তন ঘটেছে। গত আম্ফান বিপর্যয় ও করোনা সময়ে হাজার হাজার অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বামপন্থী ছাত্র যুবরা। এর মধ্যে যাদের সাহায্য পাওয়ার কথা তারা না পেয়ে তৃণমূলের পছন্দের লোকেদের মধ্যে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ।
বর্ষীয়ান শ্যামল রায় তৃণমূল প্রার্থী । এই কেন্দ্রে অশোক কীর্তনীয়া বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন । গতবারের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিত দাস এখন বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন বাগদা কেন্দ্রে।
তৃণমূলের চাপা সন্ত্রাসের পরিবেশ বিজেপির বাড়বাড়ন্ত করতে সুবিধা করে দিয়েছে। এছাড়া মতুয়া মানুষের ভোট এই কেন্দ্রে একটা নির্ণায়ক শক্তি । তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নামে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আছে বিজেপির বিরুদ্ধে । যদিও এখন একটা বড় শিক্ষিত অংশ এই অবান্তর বিষয়ে বিভ্রান্তির স্বীকার হচ্ছেন না বলে অনেকের ধারনা।
এই বিষয়ে সিপিএম প্রার্থী ও তৃণমূল প্রার্থী প্রচার করছেন। নির্বাচনের বাজার ক্রমশ গরম হয়ে উঠলেও হঠাত্ করোনার বেড়ে যাওয়া মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে।
সেই সঙ্গে মনে পড়ছে গতবছর জুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো বামপন্থী বিশেষ করে সিপিএম কর্মীদের কথা। তা অবশ্যই ভোটে প্রভাব ফেলবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারনা।
তাই আগামী ২২শে এপ্রিল মানুষ খুব সাবধানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট দেবেন । ফলাফলের অপেক্ষা করতে হবে ২রা মে।
সুত্র - কৃশানু দত্ত
We hate spam as much as you do