বিধাননগর বিধানসভা সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক ব্যানার্জি একজন আইটি প্রফেশনাল । অভিষেকের বাড়ি কালিন্দীতে। ওর বিরুদ্ধে সারা বছর খবরের কাগজের পাতায় কোনো না কোনো ভাবে থাকা প্রার্থীরা.হলেন তৃণমূলের মন্ত্রী সুজিত বোস আর বিজেপির সব্যসাচী দত্ত।
বিধাননগরে কংগ্রেসের অভিষেক বনাম দুজন সব্যসাচী ও দুজন সুজিত বোস
বিধাননগর বিধানসভা সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক ব্যানার্জি একজন আইটি প্রফেশনাল । অভিষেকের বাড়ি কালিন্দীতে। ওর বিরুদ্ধে সারা বছর খবরের কাগজের পাতায় কোনো না কোনো ভাবে থাকা প্রার্থীরা.হলেন তৃণমূলের মন্ত্রী সুজিত বোস আর বিজেপির সব্যসাচী দত্ত।
লেকটাউনের ১০টা ওয়ার্ড মুল সল্টলেকের ১৩,১৪নং ওয়ার্ড নিয়ে এই বিধানসভা অঞ্চল। বামফ্রন্ট কর্মীদের বক্তব্য এই অঞ্চলের সমস্ত উন্নয়ন বামফ্রন্টের করা।
এই কথাই বলছেন কংগ্রেসের প্রার্থী ।
সংযুক্ত মোর্চার যৌথ আবেদনের কথাই বারবার উঠে আসছে। উঠে আসছে নানা সমস্যার কথা।
২০১৫ সালের বিধাননগর কর্পোরেশনের নির্বাচন মনে করলে আতঙ্কিত হতে হয় এলাকার মানুষকে। এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হাতে হাত ধরে সুজিত ও সব্যসাচী । এরা দুজনেই তখন জোড়াফুলে। এই নির্বাচনের দিন ২২জন গুরুতর আহত হন। এমনকি বামফ্রন্ট সরকারের প্রয়াত মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর বাড়িতে হামলা হয় বলে খবরে প্রকাশ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে হোর্ডিং সমস্যা এবং রাস্তায় ফুটপাথের অভাব এই কেন্দ্রজুড়ে একটা যন্ত্রণা।
অভিযোগ শাসকদলের পক্ষ থেকে উল্টোডাঙা খাল সংস্কার না করে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এক ভয়ংকর সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। বাঙুর পর্যন্ত বেআইনিভাবে এই কাজ করা হয়েছে। বাঁশজোলার একটা অংশ বোজানো হয়েছে।
সিন্ডিকেট রাজ পশ্চিমবঙ্গের এক গুরুত্বপূর্ণ শব্দ । এর উৎপত্তি বাড়বাড়ন্ত এই বিধাননগর অঞ্চল জুড়ে । এর পিছনে রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের প্রকাশ্য মদতের কথা এই অঞ্চলের আকাশ বাতাসে ঘুরছে।
রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলা নামে নীলসাদা রঙ ও নানা রূপসজ্জায় নগরী আলোকোজ্জ্বল হলেও মুলগত সমস্যা সমাধান করা হয়নি।
একজন বললেন বামফ্রন্টের অন্যতম সাফল্য সল্টলেক স্টেডিয়ামের কোনো বাড়তি সংস্কার হয়নি। শুধুই রঙের পোচ। সমাজের কোনো স্থায়ী সম্পদ তৈরি হয়নি।
এদিকে দত্তাবাদে বাইপাসের ধারে জমির পুনর্বাসন নিয়ে প্রচুর ক্ষোভ আছে। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ আছে ।
সল্টলেক আইটি সেক্টর ফাইভের কথা বারবার উঠে আসে বঙ্গীয় রাজনীতিতে। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে কর্মসংস্থানের ব্যাপারে কি উদ্যোগ ছিল তার জলন্ত উদাহরণ এই ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স । এই দশ বছরে সেখানে কোনো নতুন বিনিয়োগ হয়নি। উল্টে কোম্পানিগুলো চলে যাচ্ছে । রাজ্য সরকারের কোনো নীতি নেই। তোলাবাজির অভিযোগ করছেন অনেকে।
বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত , যিনি মাত্র কদিন আগে তৃণমূল ছেড়েছেন , তিনি বলেছেন সুজিত বসুও নাকি যোগাযোগ করেছিলেন বিজেপিতে যোগ দেবার জন্য , কিন্তু বিজেপি দল নাকি তাকে নেয়নি। এই গুজব দমকলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য অনেক যায়গা থেকে মাস দুয়েক আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল।
অভিষেক বেশ ঝকঝকে তরুন প্রার্থী। বামপন্থীদের সাথে নিয়ে সে এই কথাগুলোই বলছে। রাজনৈতিক মহলের বিচারে বিধাননগরের লড়াই শুধুমাত্র দ্বিমুখী নয় তা অবশ্যই ত্রিমুখী । সুসজ্জিত লম্বা মিছিল গুলো তার প্রমান দিচ্ছে ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সুত্র অনুসারে
এখানকার প্রার্থী তালিকায় দুজন সুজিৎ বোস আর দুজন সব্যসাচী দত্ত দেখা গেছে। ব্যাপারটা কি জানতে চাইলে নির্দল সব্যসাচী দত্ত বলেন তিনি এমনিই ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আবার আর একজন নির্দল ৫৮ বছরের সুজিৎ বোস বারাসাতে বাড়ি। তিনিও জানান কাকতালীয় ভাবে দুজনের একই নাম। কিন্তু সুত্রের খবর তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই জনগনের মধ্যে ধাঁধা তৈরি করতেই এইরকম একই নামের নির্দল প্রার্থী রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে ৩৯ বছরের কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক ব্যানার্জি বলেন আমি কিন্তু দ্বিতীয় অভিষেক ব্যানার্জি নই। আমার নামের আগে 'ভাইপো' লিখতে হয়না।
We hate spam as much as you do