উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর ২ নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে রাজ্যপালের কনভয় দেখে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। রাজ্যপালকে তাঁরা বলেন, “ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে আপনি আসুন স্বচক্ষে দেখুন।” সিপিআইএম জেলা পরিষদ প্রার্থী গোপা দাস অভিযোগ করেন।
সকালে ব্যারাকপুরের শ্যামনগরে রাজ্যপালের কনভয় আটকে গ্রামবাসী বললেন, ‘প্রহসন হচ্ছে’
Jul 8, 2023
ভোটের দিন রাজভবনে নয়, রাস্তায় থাকবেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন থেকে গতকালই বলা হয়েছিল, ভোটের সকালেই গ্রাউন্ড জিরোয় পৌঁছে যাবেন রাজ্যপাল। একাধিক জেলায় ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। আজ শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরই রাজভবন থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। সকাল সকাল ব্যারাকপুরে পৌঁছতেই রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা। গাড়ির দরজা খুলে সমস্ত অভিযোগ শোনেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর ২ নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে রাজ্যপালের কনভয় দেখে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। রাজ্যপালকে তাঁরা বলেন, “ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে আপনি আসুন স্বচক্ষে দেখুন।” সিপিআইএম জেলা পরিষদ প্রার্থী গোপা দাস অভিযোগ করেন।
শুক্রবার রাতে রাজভবনের তরফে জেলাশাসকদের চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছিল রাজ্যপাল ভোট পরিদর্শনে যাবেন। রাজভবনের তরফে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছিল, ভোটের দিন সকাল সওয়া ৬টা নাগাদ রাজভবন থেকে সড়কপথে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বাসুদেবপুর একটি বুথের উদ্দেশে রওনা দেবেন রাজ্যপাল। সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সেখানে পৌঁছে বুথ পরিদর্শন করবেন। এরপর বাসুদেবপুর থেকে তিনি নদিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ নদিয়ার বেশ কয়েকটি বুথ ঘুরে দেখবেন রাজ্যপাল। বেলা ১২ টায় তিনি থাকবেন রাজভবনের পিসরুমে। এরপর যাবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
ভোটের নিরাপত্তার প্রশ্নে বৃহস্পতিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে নজিরবিহীনভাবে সমালোচনা করেছিলেন তিনি। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল বলেন, ‘আমি পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য জায়গায় জায়গায় যাচ্ছি না। গণতন্ত্রের স্বার্থে আমি কাজ করব, সেটাকে কেউ প্রচার বললে বলবেন।’
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে রাজ্যে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকে সক্রিয় থেকেছেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, তিনি গিয়েছেন। দেখা করেছেন নিগৃহীতের পরিবারের সঙ্গে। ক্যানিং থেকে কোচবিহার সর্বত্র তাঁর গতিবিধি বজায় ছিল। অশান্তির খবর তাঁকে সরাসরি জানানোর জন্য রাজভবনে কন্ট্রোলরুমও খোলা হয়েছে। যার নাম দিয়েছিলেন ‘পিসরুম’। তাছাড়া শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার কমিটিও খোলা হয়েছে রাজভবনে। ওই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্র কমল মুখোপাধ্যায়কে।
We hate spam as much as you do