তাঁর কথায়, “তৃণমূলের এত দৈন্যদশা যে দলত্যাগী, বিশ্বাসঘাতক তাপস চট্টোপাধ্যায়, উদয়ন গুহ'র মতন লোকেদের নামাতে হচ্ছে নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে। আমাদের একটাই কথা বাম আমলের নিয়োগ নিয়ে যদি এত অভিযোগ থাকে তাহলে তৃণমূল আদালতে যাচ্ছে না কেন? কেনই বা দোষীদের শাস্তি দিচ্ছে না?
"দলত্যাগী, বিশ্বাসঘাতক তাপস চ্যাটার্জী, উদয়ন গুহ' তৃণমূলের দুর্নীতি ঢাকার কাজ করছে "অভিযোগে সিপিআইএম জেলা সম্পাদক
31 Mar 2023
পুরনো দল তথা সিপিআইএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লক আক্রমন করছেন রাজ্যের দুই প্রাক্তন বাম অধুনা তৃণমূল নেতা তাপস চ্যাটার্জি ও উদয়ন গুহ।
বারাসত থেকে সোজাসুজি কড়া ভাষায় আক্রমণ CPIM উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মৃনাল চক্রবর্তী।
অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে পালটা তাপস চট্টোপাধ্যায়কেই নিশানা করেছেন CPIM জেলা সম্পাদক মৃনাল চক্রবর্তী।
সম্প্রতি বাম আমলে চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হয়েছিলেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। আর তাই বাম আমলে চাকরিতে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে পালটা তাপস চট্টোপাধ্যায়কেই নিশানা করেছেন CPIM জেলা সম্পাদক মৃনাল চক্রবর্তী।
তাঁর কথায়, “তৃণমূলের এত দৈন্যদশা যে দলত্যাগী, বিশ্বাসঘাতক তাপস চট্টোপাধ্যায়, উদয়ন গুহ'র মতন লোকেদের নামাতে হচ্ছে নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে। আমাদের একটাই কথা বাম আমলের নিয়োগ নিয়ে যদি এত অভিযোগ থাকে তাহলে তৃণমূল আদালতে যাচ্ছে না কেন? কেনই বা দোষীদের শাস্তি দিচ্ছে না?
সরকারে তো ওরাই রয়েছে। বাম আমলে SSC-র মাধ্যমে নিয়মিত পরীক্ষা হত। চাকরি পেতেন যোগ্যরা। এখন টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। এটাই শুধু তফাৎ। তৃণমূল ডুবন্ত জাহাজ। সেই ডুবন্ত জাহাজকে বাঁচাতে আসরে নেমেছেন দলত্যাগী ওই সব কুলাঙ্গাররা। মানুষ সবকিছু দেখছেন। সবকিছু বুঝতেও পারছেন। এসব চিরকুট দেখিয়ে কোনও লাভ হবেনা”।
তাঁর আরও বক্তব্য, “আসলে এই তৃণমূল দলটাই আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত। এদের দুর্নীতি এখন সাধারন মানুষ সাদা চোখেই বুঝতে পারছেন। তাই এরা এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে যা পারছে তাই বলে যাচ্ছে। কিন্তু হাতে কোনও প্রমান নেই। প্রমান নেই বলেই শুধু ক্যামেরার সামনে বক্তব্য রেখে যাচ্ছে। কোনও স্টেপ নেওয়ার ক্ষমতা এদের নেই”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবারই উদয়ন গুহর কথাকে সমর্থন জানিয়ে রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন CPIM নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাম আমলে সুপারিশে চাকরি হয়েছে, তার প্রমাণ আমি নিজে। আমি নিজে প্রমাণ যে বাম আমলে সুপারিশের ভিত্তিতে চাকরি হয়েছে। দল সিদ্ধান্ত নিত কাকে চাকরি দেওয়া হবে। সেই মতো করে পদক্ষেপ করা হত”। আর তাঁর এই বক্তব্য ঘিরেই তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
We hate spam as much as you do