এদিন ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন হনুমান মন্দিরের কাছে দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। বৈঠকে ছিলেন ব্যারাকপুরে পুরপ্রশাসক উত্তম দাস-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। হনুমান মন্দির নিয়ে সমস্যা মেটাতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
ব্যারাকপুরে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর ওপর হামলার চেষ্টা আহত ৬ জন।
ব্যারাকপুরে (barrackpur) তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর ওপরে দুষ্কৃতী হামলার চেষ্টা। কর্মীদের নিয়ে নিজের কেন্দ্রেই দলীয় বৈঠক করার সময় তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। রাজ চক্রবর্তী অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এই হামলায় আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন হনুমান মন্দিরের কাছে দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। বৈঠকে ছিলেন ব্যারাকপুরে পুরপ্রশাসক উত্তম দাস-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। হনুমান মন্দির নিয়ে সমস্যা মেটাতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে বৈঠক চলার সময় আচমকাই বাইকে করে আসে জনা ত্রিশ দুষ্কৃতী। বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই হামলায় ছয়জন তৃণমূলকর্মী গুরুত্ব আহত হন বলে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হামলাকারীরা রাজ চক্রবর্তীর কাছে পৌঁছতে পারেনি। বিধায়করে সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা আক্রমণকারীদের আটকে দেন।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হনুমান মন্দির নিয়ে সমস্যা চলছিল। সেটা মেটানোর জন্য ডাকা বৈঠকে এসেছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। সেই সময় বৈঠক স্থলের বাইরে জড়ো হয় দুষ্কৃতীরা। তবে দুষ্কৃতীরা কোন দলের তা সেই সময় বলতে পারেননি এই তৃণমূল নেতা। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ হামলাকারীদের টার্গেটে ছিলেন রাজ চক্রবর্তী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন হনুমান মন্দির নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা রকমের সমস্যা চলছে। সেই কথা বিধায়ককে জানানো হয়েছিল। এদিন হামলার ঘটনার খবর পেয়েই আসে টিটাগড় থানার পুলিশ। পরে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। হামলার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
We hate spam as much as you do