৯৭টি পাখির অকাল মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা। তাদের প্রশ্ন, আইন অনুযায়ী পাচারকারী তো উপযুক্ত শাস্তি পাবে। কিন্তু বেঘোরে চলে যাওয়া জলজ্যান্ত ৯৭ টি প্রাণ কি আবার ফিরে আসবে?
সীমান্তে ধরা পড়া ৯৭টি টিয়াপাখির মৃত্যু, নিন্দায় সরব পাখিপ্রেমীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা: বসিরহাট, ১৭ জানুয়ারি-
আইনি জটিলতায় চারদিন আটকে থাকার পর ৯৭টি অবলা প্রানী টিয়াপাখির মৃত্যু হলো। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ধরা পড়েছিল ১৪০ টি টিয়াপাখি।যার মধ্যে বেঁচে রইলো বাকি ৪৩ টি। ঘটনায় শুল্ক দফতরকে কাঠগড়ায় তুলে নিন্দায় সরব হয়েছেন শহরের পাখি প্রেমীরা।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের তারালী সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের হাতে ধরা পড়ে ৭টি খাঁচায় ভর্তি ১৪০ টি টিয়াপাখি।উদ্ধার হওয়া টিয়াগুলি অধিকাংশই পাঞ্জাব টিয়া নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক বাজারে যার একেকটির দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। এছাড়াও ১৪০ টির মধ্যে বেশ কিছু দেশী চন্দনা টিয়াও রয়েছে। পাঞ্জাব-বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ ঘুরে চোরাপথে সে গুলি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল বলে বি এস এফের অনুমান।
অন্যদিকে, আটক হওয়া পাচারকারী হাসিবুর সরদারকে ঘটনার চারদিন পর সোমবার তোলা হয় বসিরহাট আদালতে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পাচারের আইনকে সামনে রেখে পাচারকারীর জামিনের বিরোধিতা করেন শুল্ক দফতরের আইনজীবী অভিজিৎ বিশ্বাস ও আকাশ সিদ্ধার্থ। তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারক ওই পাচারকারীর জামিনের আবেদন খারিজ করে আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পাখিগুলিকে চিকিৎসার পর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে নির্দেশ আদালতের। কিন্তু এঘটনার কথা জানাজানি হতেই শুল্ক দফতরকে কাঠগড়ায় তুলে নিন্দা সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরা।
৯৭টি পাখির অকাল মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা। তাদের প্রশ্ন, আইন অনুযায়ী পাচারকারী তো উপযুক্ত শাস্তি পাবে। কিন্তু বেঘোরে চলে যাওয়া জলজ্যান্ত ৯৭ টি প্রাণ কি আবার ফিরে আসবে? এনিয়ে অবশ্য শুল্কদপ্তরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
We hate spam as much as you do