ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার ২নম্বর জাতীয় সড়কের দানুয়া-ভানুয়া ঘাট এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কবলে পড়ে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসটি। দ্রুত গতিতে যাওয়া বাসটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবোঝাই ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। এরপর রাস্তা দিয়ে আসা বিএসএফ জওয়ানরা ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে। এরপর যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধার শুরু করে
ঝাড়খন্ডে বাস দূর্ঘটনায় বসিরহাটের ৭৫ তীর্থযাত্রী আহত ৯জন আশংকাজনক
নিজস্ব সংবাদদাতা:বসিরহাট, ১০ নভেম্বর-- তীর্থযাত্রীবাহী বাস ও লরীর সংঘর্ষে বসিরহাটের ৭৫ জন তীর্থযাত্রী গুরুতর জখম হয়।তাদের মধ্যে ৮জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।বাকিদের ঝাড়খণ্ডের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা পর ছেড়ে দেওয়া।বর্তমানে তারা কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।মঙ্গলবার পুলিশের পক্ষ থেকে এমনই জানানো হয়েছে।সোমবার ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে।
জখম তীর্থযাত্রীদের অভিযোগ,অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়ানো লরিতে ধাক্কা মারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিস গাড়িটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। চালক ও খালাসি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে তীর্থ যাত্রীদের নিয়ে একটি ট্যুরিস্ট বাস বসিরহাট থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।
মোট ২১দিন ধরে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ধর্মীয় স্থান দেখার কথা ছিল যাত্রীদের। সোমবার সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার ২নম্বর জাতীয় সড়কের দানুয়া-ভানুয়া ঘাট এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কবলে পড়ে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসটি। দ্রুত গতিতে যাওয়া বাসটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবোঝাই ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। এরপর রাস্তা দিয়ে আসা বিএসএফ জওয়ানরা ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে। এরপর যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধার শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স ও অটোর মাধ্যমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৬২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৮ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের অন্যত্র রেফার করা হয়।
এই দুর্ঘটনার খবরে চরম উৎকণ্ঠায় পড়েন বাসে থাকা যাত্রীদের পরিবারের সদস্যরা। উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন যাত্রীর পরিবারের উদ্যোগে গাড়ি নিয়ে হাজারিবাগ থেকে যাত্রীদের ফিরিয়ে আনা হয়। বুধবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সে বসিরহাটের ভবানিপুর মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা মিঠুন বাউলিয়া, বসিরহাট কামারডাঙার বাসিন্দা সঞ্জীব পাল, হিঙ্গলগঞ্জ ৯নম্বর স্যান্ডেলবিলের বাসিন্দা মিনতি গিরি সহ মোট চার জনকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া বসিরহাট খোলাপোতার সুমন্ত তরফদার, বাসন্তী তরফদার সহ মোট চার জনকে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওইবাসে থাকা বসিরহাটের মুন্সেফপাড়ার বাসিন্দা হরিমাধব মণ্ডল বলেন,
" আচমকা বিস্ফোরণের মতো বিকট আওয়াজ হয়। মুহূর্তে আমরা বাসের মধ্যে ছিটকে পড়ি। কান্নার রোল উঠেতে থাকে চারদিকে। বাঁচাও বাঁচাও আর্ত চিৎকার করছেন বহু মানুষ। সেই সময় বিএসএফ জওয়ানরা দ্রুত এসে পড়ে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। একেবারে ফাঁকা ও জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। ওনারা(বি এস এফ) না এলে কী হত ভগবান জানে? বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা রয়েছে। ছেলে অরিন্দম গাড়ি করে গিয়ে আমায় ফিরিয়ে এনেছে "
বাসে থাকা গোপালকৃষ্ণ বাউলিয়া ওরফে গোপাল প্রভু বলেন," বাসে মোট ৭৫জন ছিলেন। এভাবে দুর্ঘটনা ঘটবে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি। এখনও পর্যন্ত ৯ জন আশঙ্কাজনক যাত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সে কলকাতা নিয়ে আসা হয়েছে"
We hate spam as much as you do