রাজ্য জুড়েই আছে এমন ঘটনা।তা হলে হচ্ছে টা কী?এখানেও কী সেই আমফান দুর্নীতির গল্প?যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মঙ্গলবার পিলডাঙ্গা গ্রামে যাওয়া হলো স্বপ্না সেনের বাড়িতে।বিস্তারিত বললেন।যা শুনে 'চক্ষু চড়কগাছ'।
'দুয়ারে সরকার' অনিয়ম, প্রকল্পের 'মোড়কে দুয়ারে দুর্নীতি'র অমানবিক কাহিনী।
নিজস্ব সংবাদদাতা:বসিরহাট,২৩ নভেম্বর--
'উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে'।দায় এড়াতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি হয়েছে বলে মেনে নিলেন স্বয়ং বিডিও। তবে কী সরকারি দপ্তরে 'গাই গরু দিয়ে হাল চাষ' করা হচ্ছে?যদিও এই প্রশ্নে নীরব থাকলেন বিডিও।স্বীকার করে নিলেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে এমনই১৩৪টি ভুল ধরা পড়েছে।প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা প্রকৃত উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে।
অথচ এই আসে এই আসে অপেক্ষায় কয়েক'শ উপভোক্তা যাদের মধ্যে আছেন উত্তর২৪পরগনার বাদুড়িয়া ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলডাঙ্গা গ্রামের১৫৮নং বুথের বাসিন্দা স্বপ্না সেন,সাবিনা বিবি,কদবানু বিবিরা।যাদের অধিকাংশের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকতেও দরখাস্ত করে হাতে পাই নি মাসিক৫০০-১০০০টাকা। তবে এঁদের মধ্যে স্বপ্না সেনের ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা তার অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট না হয়ে ক্রেডিট হয়েছে জগন্নাথপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হাসানুর জ্জামানের স্ত্রী ইরিনা ইয়াসমিনের অ্যাকাউন্টে।
যদিও উপপ্রধান বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে আপসোসের সুরে বলেন তারই দল তৃণমূল কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করেছে তার বদনাম করতে।বিডিও সুপর্না বিশ্বাস ইতিমধ্যে ইরিনা ইয়াসমিনকে বলে দিয়েছেন গত তিনমাসের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রকৃত উপভোক্তা স্বপ্না সেন কে ১৫০০টাকা ফিরিয়ে দিতে।সেই সাথে আশ্বাস দিয়েছেন আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে প্রযুক্তিগত ত্রুটি সংশোধন করে স্বপ্না ঘোষ সহ বাকি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হবে।জানা গিয়েছে এমনই আরও অনেক উপভোক্তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন বাদুড়িয়া ব্লক জুড়ে।সাফাই দিতে বিডিও অফিসের এক কর্মী বলেই দিলেন
রাজ্য জুড়েই আছে এমন ঘটনা।তা হলে হচ্ছে টা কী?এখানেও কী সেই আমফান দুর্নীতির গল্প?যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মঙ্গলবার পিলডাঙ্গা গ্রামে যাওয়া হলো স্বপ্না সেনের বাড়িতে।বিস্তারিত বললেন।যা শুনে 'চক্ষু চড়কগাছ'। উঠে এলো 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পের 'মোড়কে দুয়ারে দুর্নীতি'র অমানবিক কাহিনী।
মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'।২৫-৬০ বছর বয়সী মহিলাদের মাসিক হাত খরচের জন্য একটি প্রকল্প। যা সকলেরর মতো স্বপ্না সেন দরখাস্ত করেছিলেন 'দুয়ারে সরকার'ক্যাম্পে গত ১৬আগষ্ট।বাদুড়িয়া এল এম এস গার্লস স্কুলে বসে ছিল এই ক্যাম্প।
জমা পড়ার একদিনের মধ্যে সবারই মোটামুটি এসএমএস এসেছিল।স্বপ্না সেন জানান তার যে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছিল তাতে কোন এস এম এস আসে নি।আমি ভাবলাম হয়তো কোন প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এসএমএসটি আসে নি। অপেক্ষা করতে থাকি দীর্ঘদিন,যতদিন না সবার দ্বিতীয় ম্যাসেজ আসে। তারপর মোটামুটি সবার যখন টাকা ঢোকা শুরু হয় আমিও ব্যাঙ্কে যাই।খোঁজ নিয়ে দেখি আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে নি। এরপর আমি ৩ দিন যাবৎ বাদুড়িয়া বিডিও অফিসে যাওয়ায় কোনোরকম সাহায্য পাইনি। গত ১৮ নভেম্বর বাদুড়িয়া বিডিও অফিসে যাই এবং ওনাদের সাহায্য পাই।অফিস থেকে আমাকে বলা হয় অন্য ব্যক্তির মোবাইল নং এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নং দেওয়া আছে।আমি প্রিন্ট আউট চাইলে দেওয়া হয়।যা দেখে আমি হতবাক হয়ে পড়ি।এও কী সম্ভব?।প্রিন্ট আউটটি হাতে নিয়ে দেখতে পাই সম্পূর্ন অন্য ব্যাক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেওয়া এবং ৩টি মাসের টাকা পরস্পর ঢুকেছে অর্থাৎ যে ব্যাঙ্কে আমার কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।আমি বিডিও ম্যাডামকে জিজ্ঞাসা করলে উনি আমাকে উত্তর দিলেন না কোনো। শুধু বললেন তুমি ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখো অ্যাকাউন্ট হোল্ডারটি কে? যথাযথ আমি বাদুড়িয়া স্টেট ব্যাঙ্কে গিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারক বলি সব ঘটনা। উনি তখন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের সব ডিটেইলস এবং স্টেটমেন্ট বার করে দেন।অ্যাকাউন্ট হোল্ডার আর কেউ নন, আমারই গ্রামের ১৫৯নং বুথের একজন মহিলা বাসিন্দা।যার নাম ইরিনা ইয়াসমিন।যিনি উপপ্রধান হাসানুর জ্জামানের স্ত্রী।যদিও উপপ্রধানের স্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে একজন দরখাস্তকারী।তার নাম অনুমোদন করা হলেও তিনি এখনও পাকাপাকি উপভোক্তা নন।যা বিডিও অফিস সূত্রে জানানো হয়।তথাপি উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ের মতো স্বপ্না সেনের টাকা ইরিনা ইয়াসমিনের ঘাড়ে গিয়ে পড়েছে।ইরিনা ইয়াসমিনকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মনে করেছি আমার দরখাস্ত স্বীকার করে নিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকেছে।
We hate spam as much as you do