এদিন ঠিকাদার সংস্থার তরফে দুজন কর্মী এলাকায় বাড়ি বাড়ি স্মার্ট মিটার বসাতে যান। সেই সময় তারা গ্রাহকদের বাধার মুখে পড়েন। ফলে স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ করতে পারেননি তারা। স্থানীয়দের দাবি, যে দুজন ঠিকা কর্মী স্মার্ট মিটার বসাতে গিয়েছিলেন তারা রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির তরফে কোনও নির্দেশের কাগজ দেখাতে পারেনি। বাসিন্দাদের স্পষ্ট দাবি, স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে তাদের এলাকায় আগে থেকে কোনও প্রচার করা হয়নি।
স্মার্ট মিটার বসাতে গিয়ে গ্রাহকদের বাধার মুখে WBSEDCL-র ঠিকাকর্মীরা
22 Nov 2024
দেশ জুড়ে বসানো হচ্ছে স্মার্ট মিটার। কেন্দ্রের নির্দেশ মতো রাজ্য সরকারও স্মার্ট মিশন মিটার বসাচ্ছে। তবে এ নিয়ে প্রথম থেকে বিরোধীতায় সরব হয়েছে বামপন্থী সহ বহু সংগঠন। আর এবার মধ্যমগ্রাম পুরসভায় স্মার্ট মিটার বসাতে গ্রাহকদের বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির অধীনে একটি ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মধ্যমগ্রাম পুরসভা এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়রাজপুরের কাজী নজরুল ইসলাম সরণিতে।
এদিন ঠিকাদার সংস্থার তরফে দুজন কর্মী এলাকায় বাড়ি বাড়ি স্মার্ট মিটার বসাতে যান। সেই সময় তারা গ্রাহকদের বাধার মুখে পড়েন। ফলে স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ করতে পারেননি তারা। স্থানীয়দের দাবি, যে দুজন ঠিকা কর্মী স্মার্ট মিটার বসাতে গিয়েছিলেন তারা রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির তরফে কোনও নির্দেশের কাগজ দেখাতে পারেনি। বাসিন্দাদের স্পষ্ট দাবি, স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে তাদের এলাকায় আগে থেকে কোনও প্রচার করা হয়নি। সরকারের অনুমতি ছাড়া এলাকায় স্মার্ট মিটার বসাতে দেওয়া হবে না। এ নিয়ে দু’পক্ষের বচসাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। শেষে গ্রাহকদের বাধার মুখে পড়ে স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ বন্ধ করে দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হন ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপে রাজ্য জুড়ে কয়েক লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানোর পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। সেইমতো স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই মিটারের ফলে বিদ্যুৎ কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আর মিটার দেখতে হবে না। অফিসে বসেই তারা মিটারের রিডিং দেখতে পাবেন। প্রাথমিক ভাবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের এলাকায় ৩৭ লক্ষ মিটার বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরে ধাপে ধাপে তা বাড়ানো হবে। তবে প্রথম থেকেই এই স্মার্ট মিটারের বিরোধিতায় প্রচার করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় এর বিরুদ্ধে স্মারকলিপিও দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনকে। অনেক মানুষের অভিযোগ হল যে স্মার্ট মিটার বসানো হল আসলে প্রিপেইড মিটার বসানোর প্রথম। ফলে এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিরোধিতা চলছে।
মানুষের বিদ্যুৎ ব্যবহারের অধিকার স্মার্ট মিটারের ফলে বা প্রিপেইড মিটার এলে চূড়ান্তভাবে খর্ব করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
We hate spam as much as you do