এম জি এন আর ই জি এ প্রকল্পে কমবেশি ৩০০ ফুট রাস্তা ও করোনা মহামারীর চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনার জন্য সরাসরি অর্থ বেআইনিভাবে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।পাশাপাশি এক ছেলের নামে পুকুর কাটানোর কাজ দেখিয়ে অন্য এক ছেলের নামে টাকা উঠেছে সরকারি তহবিল থেকে।অভিযোগ কার বিরুদ্ধে?একেবারে সরাসরি রামচন্দ্রপুর
রামচন্দ্রপুর উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রকাশ্যে দূর্নীতিরঅভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা:বসিরহাট,
বিজ্ঞাপন করে গ্রামে লোক জানিয়ে একেবারে প্রকাশ্যে দূর্নীতির অভিযোগ।
রামচন্দ্রপুর উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের আপামর গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে মদন মোহন মণ্ডল, আসাদুল মোল্লা, স্মরজিৎ দাসরা সোচ্চার হয়েছেন।দায়িত্ব নিয়ে সরাসরি লিখিত অভিযোগ করেছেন বাদুড়িয়ার বিডিও, বাদুড়িয়ার বিধায়ক এবং স্বরূপনগরের বিধায়কের কাছে।
স্বরূপনগর কেন?রামচন্দ্রপুর উদয় গ্রাম পঞ্চায়েত বাদুড়িয়া ব্লকের অধীন হলেও পঞ্চায়েত এলাকাটি স্বরূপনগর বিধানসভার অধীন।প্রশাসনিক মহল এবং বিধায়কদের কাছে লিখিত অভিযোগের প্রত্যয়িত নকল কপি সংবাদমাধ্যমের হাতে এসে পৌঁছায় অবশেষে।যা থেকে অন্তর্তদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য এবং তা অবশ্যই বাস্তব।কি সেই অন্তর্তদন্ত?
এম জি এন আর ই জি এ প্রকল্পে কমবেশি ৩০০ ফুট রাস্তা ও করোনা মহামারীর চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনার জন্য সরাসরি অর্থ বেআইনিভাবে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।পাশাপাশি এক ছেলের নামে পুকুর কাটানোর কাজ দেখিয়ে অন্য এক ছেলের নামে টাকা উঠেছে সরকারি তহবিল থেকে।অভিযোগ কার বিরুদ্ধে?একেবারে সরাসরি রামচন্দ্রপুর উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নুর ইসলাম লস্করের বিরুদ্ধে।অভিযোগ, তিনিই সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন রাস্তা তৈরি না করে এবং করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসার সরঞ্জাম না কিনে।প্রশাসনিক বিভিন্ন স্তরে এবং বিধায়কদের,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে বারবার কখনও মৌখিক আবার কখনও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।ফল শূন্য।শেষমেশ সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ।রবিবার ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায় ঢালাই রাস্তা হবে তার জন্য পঞ্চায়েত থেকে বিজ্ঞাপন সাঁটা কংক্রিটের ডিসপ্লে বোর্ড বসানো হয়েছে রাস্তার ধারে।তাতে উল্লেখ করা হয়েছে উত্তর ২৪পরগনা জেলা,সংসদ নং-৬,অর্থ বর্ষা ২০১৯-২০।উল্লেখ করা হয়েছে স্বপন ভারতীর দোকান থেকে পরিতোষ বিশ্বাসের দোকান পর্যন্ত ঢালাই রাস্তা তৈরি করা হবে।যার সরকারি বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩লক্ষ৫০হাজার টাকা।কিন্তু এতদিনেও রাস্তা হয় নি।ভুয়ো বিল তৈরি করে প্রধান রাস্তা ও চিকিৎসা সরঞ্জামের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ।যা কিনা লিখিত অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়।রাস্তাটি এখন সেই 'আগের অবস্থায় '।ইট পাতানো রাস্তা।ঢালাই অদূর।গল্পের পিছনে গল্প।কেমন?গ্রামবাসীরা জানায় ২০১০-১১অর্থ বর্ষে তৎকালীন বামফ্রন্ট পরিচালিত রামচন্দ্রপুর উদয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সি পি আই(এম)'র রবিউল হকের তত্ত্বাবধানে স্বপন ভারতীর বাড়ি হইতে রতন বিশ্বাসের বাড়ি পর্যন্ত অর্থাৎ ওই একই দূরত্বের একই রাস্তার জন্য বরাদ্দ হয় ইট ও মাটির কাজের জন্য ৫৬হাজার ৯৫টাকা।ডিসপ্লে বোর্ড বসে এবং রাস্তার কাজ বরাদ্দ অনুযায়ী শেষ হয়।পরে তৃণমূলের পরিচালিত বোর্ড সরকারি অর্থ তছরুপ করে ।আগের প্রকল্পের বোর্ড তুলে ফেলে দিল।নতুন বোর্ড বসলো।স্বপন ভারতীর বাড়ির পরিবর্তে নতুন প্রকল্পে স্বপন ভারতীর বাড়ির সাথে দোকান পর্যন্ত দেখানো হলো।শেষে রতন বিশ্বাসের বাড়ি পর্যন্ত দেখানো হলো রতন বিশ্বাসের বাড়ির রাস্তার অপর প্রান্তে পরিতোষ বিশ্বাসের দোকান পর্যন্ত।গ্রামবাসীদের কাছে ধরা পড়ে গেল চালাকি।শেষে কী হলো?আগের বামফ্রন্টের তৈরি রাস্তার ইট তুলে বিক্রি করে দিল।নতুনভাবে ইট পাতালো বড়জোর ৪০-৫০হাজার টাকা খরচ করে।বাকি টাকা গায়েব। এছাড়াও ছেলের সখ হয়েছে পুকুর কাটিয়ে মাছ চাষ করবে। প্রধান তার ছেলে রফিকুল লস্করের নামে মাছ চাষের জন্য ১০০দিনের প্রকল্পের টাকা কাজে লাগিয়ে পুকুর কাটিয়েছেন।এ শুধু হিমশৈলের চূড়া মাত্র। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ঝুড়ি ঝুুুড়ি অভিযোগে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। আর ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান নুর ইসলাম লস্কর ও তার অনুগামীরা সরকারি প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তবে এ বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রামচন্দ্রপুর উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সভাপতি ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মোহাম্মদ মহাসিন মন্ডল বিষয়টির তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। যদি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সংবাদমাধ্যমকে।
গত বামফ্রন্ট পরিচালিত রামচন্দ্রপুর উদয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিটি বর্ষে পঞ্চায়েতের জমা খরচের হিসাব দাখিল করতো বোর্ড মিটিং ডেকে।সেসব এখন উঠে গেছে।বিগত চারবছরে পঞ্চায়েতে কত টাকা এলো কী খরচ হলো তার কোন হিসাব আজ পর্যন্ত দেয় নি।রবিবার এমনই অভিযোগ করলেন ওই পঞ্চায়েতের সদস্যা সি পি আই(এম)'র রত্না হালদার।
We hate spam as much as you do