শুরুতে ২৫ জন শিশু কে নিয়ে পথ চলা। বর্তমানে ৮০ ছাড়িয়েছে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা । অন্য অনেক ভ্রাতৃ প্রতিম সংগঠনও এর পাশে দাড়িয়েছে । বছরে ২ বার সকলকে আঁকার সামগ্রী দিয়েছে তারা । খেটে খাওয়া পরিবারের সন্তানদের দেওয়া হয় সাধ্যমতো টিফিন, চকলেট, বিস্কুট । এই স্কুলকে ঘিরে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ।
ইছাপুরের শ্রমজীবী আর্ট স্কুলের কথা
১৬ এপ্রিল ২০২৩
শ্রমজীবী ক্যান্টিন। করোনা সময়ে বামপন্থীদের একটি উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। কোভিড সময়কালে শ্রমজীবী স্বাস্থ্যকেন্দ্রও আমরা দেখেছি। বারবার যে কথা উঠে এসেছে। তা হল। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কি হবে? বিশেষ করে গরিব শ্রমজীবী বাড়ির ছেলেমেয়েদের? যাদের হাতে অত্যাধুনিক মোবাইল, খেলনা বা পড়ার সামগ্রী নেই। সেই কথাই ভেবেছিল ইছাপুর নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের সংগঠকরা। ছবি আঁকতে আঁকতে খুদেরা কিভাবে বড় হয়ে উঠবে? সমাজ সচেতন হয়ে উঠবে। তারই পাঠ নেওয়ার ছোট্ট প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে ইছাপুর শ্রমজীবী আর্ট স্কুল।
১লা মে ২০২২ সালে পথ চলা শুরু নির্মাণ কর্মী সংগঠনের (সি, আই, টি, ইউ) পরিচালনায় উত্তর ব্যারাকপুরের ইছাপুর মায়াপল্লীতে । সম্পূর্ন বিনা খরচে শিশুদের আঁকা শেখান ৬ জন শিক্ষক । শুরুতে ২৫ জন শিশু কে নিয়ে পথ চলা। বর্তমানে ৮০ ছাড়িয়েছে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা । অন্য অনেক ভ্রাতৃ প্রতিম সংগঠনও এর পাশে দাড়িয়েছে । বছরে ২ বার সকলকে আঁকার সামগ্রী দিয়েছে তারা । খেটে খাওয়া পরিবারের সন্তানদের দেওয়া হয় সাধ্যমতো টিফিন, চকলেট, বিস্কুট । এই স্কুলকে ঘিরে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে । আগামীতেও বিবিধ পরিকল্পনা আছে নির্মাণ সংগঠনের । ধারাবাহিক এই কাজে সাফল্য এসেছে জানালেন সম্পাদক ।
ক্রমশ অসুস্থ হচ্ছে সমাজ। দুর্নীতি সাম্প্রদায়িকতা চেপে ধরছে সমাজের সর্বস্তরকে। এই সময় শ্রমজীবী মানুষের ঘর থেকে আসা শিশুদের সমাজ সংস্কৃতির পাঠ শেখাতে এই আর্ট স্কুলের অনবদ্য পথ চলা।
We hate spam as much as you do