নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতির। তাদের সঞ্চিত শেষ সম্বল থেকে দেড় লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন স্থানীয় কার্তিক পুর আর্দশ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকদের হাতে।
দেগঙ্গার নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতির সঞ্চিত শেষ অর্থ দুঃস্থদের শিক্ষায় দান
৯৩ বছর বয়সে মেলেনি বৃদ্ধ অনাথের সরকারি বার্ধক্য ভাতা। তথাপি তার শেষ বয়সে সঞ্চিত অর্থ দান করে গেলেন দেড় লক্ষ টাকা। দুঃস্থ অসহায়দের শিক্ষা উন্নতিতে।
দুঃস্থ ও গরীব মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনার আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন দেগঙ্গার নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতির। তাদের সঞ্চিত শেষ সম্বল থেকে দেড় লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন স্থানীয় কার্তিক পুর আর্দশ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকদের হাতে।
কার্তিকপুর নিবাসী শ্রী অনাথ বন্ধু ঘোষ (৯৩ )ও তার সহধর্মিণী শ্রীমতী শুভ্রা ঘোষ (৮২)।তারা ছিলেন নিঃসন্তান। অনাথ বাবু একসময় দেগঙ্গা ১পঞ্চায়েতের ট্যাক্স কালেক্টরের খাজনা আদায়ের কাজে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন। পাশাপাশি বামপন্থী মনোভাবাপন্ন মানুষ ছিলেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাজ থেকে অবসরের পর তার কোন পেনশন ব্যবস্থা ছিল না।
স্থানীয় দেগঙ্গার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমর পাল জানান, কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর বাড়িতে হাঁস মুরগি প্রতিপালন করে একটু একটু করে অর্থ সঞ্চয় করেছিলেন। সেই অর্থ দান করলেন বিদ্যালয়ে। যা দৃষ্টান্ত বলা বাহুল্য।
মঙ্গলবার অনাথ বন্ধু ঘোষের বাড়ি আসেন কাত্তিকপুর আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক শিক্ষিকা। তাদের হাতে বৃদ্ধ দম্পতির তুলে দেন দেয় লক্ষ টাকার চেক।
শিক্ষক বিশ্বজিৎ মৃধা বলেন,
তার এই দান উদার মানসিকতার বাহক এবং আমাদের কাছে দৃষ্টান্ত হিসাবে থাকবে। আমরা তার এই কর্মকাণ্ডে গর্বিত । অনাথ ও তার স্ত্রী শুভ্রা এদিন বলেন, আমরা আর ক'দিন। আমাদের দানের আর্থিক সাহায্যে শিক্ষিত হয়ে উঠুক দুঃস্থ মেধাবীরা।
নিকোলাই অস্ত্রভস্কি তার বিখ্যাত বই ইস্পাতে লিখেছিলেন -------
" মানুষের প্রিয়তম সম্পদ তার জীবন, এটা সে একবারই পায় এবং এই জীবন তাকে এমন ভাবে কাটাতে হবে যাতে কেটে যাওয়া বছরগুলি ........ যাতে মরার সময় সে বলতে পারে আমার জীবনের সমস্ত শক্তি আমি উৎসগ করেছি জগতের মহত্তম লক্ষ্যে মানবজাতির মুক্তির জন্য --"
দেগঙ্গার এই বৃদ্ধ দম্পতি নিঃসন্দেহে জীবনকে সুন্দর করার পথ দেখালেন। এবার তারা দুঃখহীন বলতে পারবেন "যাই" ---
We hate spam as much as you do