উত্তর২৪পরগনা জেলা বিড়ি শ্রমিক যৌথ কমিটির অধীন বসিরহাট মহকুমা যৌথ সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে শুরু হয় অবস্থান, বিক্ষোভ সভা, ডেপুটেশন কর্মসূচি।বিক্ষোভ সভায় বিড়ি শ্রমিকদের দাবিগুলির সমর্থনের বক্তব্য রাখেন যৌথ সংগ্রাম কমিটি
বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ডেপুটেশনে উঠে এল যন্ত্রণার কথা
newscopes.in
নিজস্ব সংবাদদাতা:বসিরহাট,২৮ অক্টোবর--- জিনিসের দাম বাড়ে, আমাদের মজুরি বাড়ে না।উপরন্তু কেটে ছেটে নির্ধারিত মজুরি, সেটাও দেয় না।তাই, সরকার নির্ধারিত ন্যুনতম ২৬৬টাকা মজুরি দিতে হবে।কেনা,বেচায় কন্ট্রাকটর বা সাব কন্ট্রাকটর পদ্ধতি বাতিল করে শ্রমিকদের মূল মালিকদের অধীনে আনতে হবে।ভালো মানের পাতা, তামাক দিতে হবে।নিম্নমানের পাতা দিয়ে শ্রমিকদের পাতার দাম কাটা চলবে না।মালিকদের স্বাক্ষরিত পরিচয়পত্র দেওয়া এবং লকবুক চালু করতে হবে।পুরুষের মজুরি একরকম, নারীদের মজুরি আর একরকম।এই নিয়ম আমরা মানবো না।
নারী পুরুষের সমান মজুরি দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার এই সমস্ত একাধিক দাবিতে সোচ্চার হলো বসিরহাট মহকুমার বিড়ি শ্রমিকরা।এদিন দুপুরে মহকুমার বিভিন্ন ব্লক থেকে মহিলা, পুরুষ বিড়ি শ্রমিকরা কোভিড বিধি মেনে মুখে মাস্ক পড়ে একে একে জড়ো হয় বসিরহাট ময়লাখোলা এলাকায় টাকীরোডের ধারে এ এল সি অফিসের সামনে।তারা মূলতঃ মজুরি বৃদ্ধি সহ ৬দফা দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
উত্তর২৪পরগনা জেলা বিড়ি শ্রমিক যৌথ কমিটির অধীন বসিরহাট মহকুমা যৌথ সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে শুরু হয় অবস্থান, বিক্ষোভ সভা, ডেপুটেশন কর্মসূচি।বিক্ষোভ সভায় বিড়ি শ্রমিকদের দাবিগুলির সমর্থনের বক্তব্য রাখেন যৌথ সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম মোল্লা, বুলবুল ইসলাম, সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিনের বিক্ষোভ সভায় শ্রমিকদের প্রকৃত দুর্দশার চিত্র ফুটে ওঠে বক্তাদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।
অসহনীয় অবস্থায় বিড়ি শ্রমিকরা দিন কাটাচ্ছেন সে কথাও উঠে আসে।
সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে মহকুমার কয়েক লক্ষ বিড়ি শ্রমিকদের।
বর্তমানে আকাশ ছোঁয়া জিনিস পত্রের দাম।বর্তমানের মজুরি দেয় না কোন মালিক।এক হাজার বিড়ি বাঁধতে কাল ঘাম ছোটে।তার উপর কেটে কুটে হাতে আসে বড়জোর ১৪০-১৫০টাকা।তাতে কী সংসার চলে?
এমনই হাজারো প্রশ্নের মুখে স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে পড়ে শোনান এ আই সি সি টি ইউ ট্রেডইউনিয়ন নেতা দেবব্রত বিশ্বাস।সভা চলাকালীন জেলা যৌথ সংগ্রাম কমিটির নেতা আবদুল খালেক খানের নেতৃত্বে ৯জনের প্রতিনিধি দল দেখা করেন এ এল সি আতাউর রহমানের সাথে।জমা দেন ৬দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি।
বিড়ি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ চলে আলোচনা।আলোচনা শেষ করে আবদুল খালেক খান আলোচনার নির্যাস ব্যাখ্যা করেন বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত বিড়ি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে।এ এল সি কথা দিয়েছেন দাবিগুলির সুষ্ঠু মিমাংসার।অন্যথা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আবদুল খালেক খান।
ডেপুটেশনে যোগ দেন কংগ্রেস বামফ্রন্ট সহ বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্বরা।
We hate spam as much as you do