এদিন পুলিশের উদ্দেশে অধীর চৌধুরী বলেন, ''আমরা মারামারি করতে আসিনি। রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছেন কেন? আমাদের আটকানো হচ্ছে কেন?" এরপরই পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি।
কংগ্রেস কর্মীদের সাথে অধীর চৌধুরীকেও সন্দেশখালিতে বাধা
16th February 2024
বিজেপির পর এবার অধীর চৌধুরীকেও সন্দেশখালিতে যেতে বাধা দিল পুলিশ। শুক্রবার বহরমপুর থেকে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও অনেক কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। এদিন সরবেড়িয়া থেকে হেঁটে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে এগোচ্ছিলেন তাঁরা। রামপুরের কাছে পৌঁছনোর পর তাঁদের পুলিশের তরফে জানানো হয়, সন্দেশখালির দিকে আর এগনো যাবে না ।
এদিন বিজেপির প্রতিনিধিদের মতো অধীর চৌধুরীকেও রামপুরে আটকে দেওয়া হয়। সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেই কারণেই সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানায় পুলিশ। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন কংগ্রেস নেতারা। ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অধীরবাবু সহ অন্যান্যরা।
এদিন পুলিশের উদ্দেশে অধীর চৌধুরী বলেন, ''আমরা মারামারি করতে আসিনি। রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছেন কেন? আমাদের আটকানো হচ্ছে কেন?" এরপরই পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি।
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, "সন্দেশখালি নিয়ে ভয়ঙ্কর খেলা খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরএসএসের নাম করে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের প্রশ্রয়ে পশ্চিমবঙ্গে আরএসএসের শিবির ২০০ থেকে ১০ হাজার হয়েছে।" মুখ্যমন্ত্রীকে 'নৃশংসতার রাণী' বলে সন্দেশখালি নিয়ে এদিন ধর্মের রাজনীতি না করার হুঁশিয়ারি দেন কংগ্রেস নেতা।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এদিন অধীর চৌধুরী সহ কংগ্রেস নেতাদের আটকাতে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায় রামপুর এলাকা। পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের দফায় দফায় চলতে থাকে বচসা। রাস্তায় বসেই প্রতিবাদে সামিল হন তাঁরা।
We hate spam as much as you do