এর বিরুদ্ধে নাগের বাজার থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি মিছিল সংঘটিত করা হয়। মিছিলে অগ্রভাগে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সম্পাদক পলাশ দাশ সহ রাজ্য কমিটির অন্যান্য নেতৃত্ব।
যাদবপুর প্রতিবাদে দমদমের মিছিলে CPI(M) এর আন্দোলন বার্তা
০৬ মার্চ ২০২৫
যাদবপুরের মন্ত্রীর গাড়িতে ট্রেন গুরুতর আঘাত পাওয়ার ঘটনা গোটা রাজ্যে যথেষ্ট সরগোল ফেলেছে এই নিয়ে গত ৩ তারিখ দমদমে ছাত্র যুব এবং মহিলাদের পক্ষ থেকে তীব্র বিক্ষোভ জানানো এবং পুস্পুতুল পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক পুলিশি আক্রমণের অভিযোগ করা হয়, প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশের এই আচরণ মূল মূলত অনেকটাই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদে বহু মহিলা ও ছাত্রী নিগৃহীত হন বেশ কাউকে পুলিশ আটক করে পরে তাদের মুক্ত করে এই আক্রমণের শিকার হন ওই অঞ্চলের বাসিন্দা সিপিআইএম নবনির্বাচিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক পলাশ দাস সহ অন্যান্য এলাকার নেতৃত্ব।
এর বিরুদ্ধে নাগের বাজার থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি মিছিল সংঘটিত করা হয়। মিছিলে অগ্রভাগে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সম্পাদক পলাশ দাশ সহ রাজ্য কমিটির অন্যান্য নেতৃত্ব।
আর জি করের পরে যাদবপুর। রাজ্যে পরপর প্রতিবাদী আন্দোলনে মিলে যাচ্ছে বাম এবং অতি বাম নানা সংগঠন। ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ পারস্পরিক মতপার্থক্য সরিয়েই অন্যান্য বাম দল ও সংগঠনের পাশে মিলিত পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে চলছে সিপিআইএম। ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বামপন্থী ভাবনার যে প্রভাব রয়েছে, বাম শক্তিকে সংহত করে তাকে ধরতে চাওয়াই লক্ষ্য।
ছাত্র, যুব বা কখনও চিকিৎসকদের সংগঠনে বিভিন্ন বাম শক্তি এক জায়গায় এসে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর জি কর-কাণ্ডে যে ছবি দেখা গিয়েছিল, তারই অনেকটা পুনরাবৃত্তি হচ্ছে যাদবপুর-কাণ্ডে। যেমন, গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে সংহতির বার্তা দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইন্দ্রানুজ জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ, সে এসএফআই বিরোধী তা সামনে এনে সিপিআইএমকে আক্রমণে নেমেছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর ছাত্রদের প্রতি বিরূপ মানসিকতার বিরুদ্ধে একযোগে গনতান্ত্রিক মানবিকতার প্রকাশ।
সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক ‘নকশালপন্থী’ ছাত্রকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার পরে তৃণমূলের কুণাল ঘোষ সমালোচনা করেন। সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য এবং এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় নেতা সৃজন ভট্টাচার্য হাসপাতালে গেলে তাঁকেও একই ভাবে নিশানা করেছেন কুণালেরা।
এই প্রসঙ্গে সেলিমের বক্তব্য , ‘‘এই ভাবে ধাক্কায় কেউ আহত হলে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া যায় অথবা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। আমরা পাশ কাটিয়ে চলে যাইনি। অন্যায়ের প্রতিবাদে পাশে দাঁড়িয়েছি।’’
তৃণমূল ও বিজেপির তোলা ‘মাওবাদী আঁতাঁতে’র অভিযোগেরও জবাব দিয়েছে সিপিএম। তাদের বক্তব্য, মাওবাদী কোনও কর্মসূচির সমর্থনে তারা যায়নি। নির্দিষ্ট অন্যায়ের প্রতিবাদে যাওয়া হয়েছে। সেলিমের কথায়, ‘‘রাজ্যে মাওবাদীদের ডেকে এনে আঁতাঁত করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। নন্দীগ্রামের নানা খুনের মামলা আবার শুরু করতে বলেছে হাই কোর্ট। ঠিকমতো তদন্ত হলে মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দু’জনেরই অতীতের কীর্তি সামনে আসবে। এ সব বলে ওঁরা এখন নজর ঘোরাতে চাইছেন।’’ সিপিআইএম নেতৃত্বের দাবি, ভোটের বাক্সে তৃণমূল ও বিজেপি অনেক এগিয়ে থাকলেও ছাত্র-যুব সমাজের উপরে বাম প্রভাবে দু’পক্ষই উদ্বিগ্ন। তাই বাম সমন্বয়কে তারা আক্রমণ করছে।
বিজেপি-আরএসএস শিবির যাদবপুরে বামেদের ‘শিক্ষা’ দিতে হুঙ্কারের সুরই বজায় রেখেছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্জিকাল স্ট্রাইকের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে অবশ্য বলেছেন, ‘‘এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না এসএফআই। ক্যাম্পাসে দুষ্কৃতী-রাজ খতম করতে লড়াই চলবে শেষ তক।’’
We hate spam as much as you do