তাঁর হাতের আঙুলে বিষধর সাপে কামড়ায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে যায় স্থানীয় ওঝার কাছে।ওঝা ঝাড়ফুঁক করে এবং বলে বাড়ি নিয়ে যান।দুই তিন দিন পর আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে যাবে। ওঝার উপর ভরসা করে বাড়ি আনার পর ক্রমান্বয়ে গৃহবধূর শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
দেগঙ্গায় সাপের কামড়ে মৃত্যু! ওঝার ঝাড় ফুকে চিকিৎসার দেরী হল
নিজস্ব সংবাদদাতা:বসিরহাট,২৬ আগষ্ট--ফের কুসংস্কারের বলি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়।ফের সাপের কামড়ে মৃত্যু।মৃত্যু হলো বছর তেত্রিশের মাসুদা বিবির।গত দু মাসে এই নিয়ে চার চারটি প্রাণ চলে গেল সাপের কামড়ে।
অভিযোগ প্রতিটি মৃত্যুর পিছনে সেই ওঝাদের কেরামতি।সমালোচনার ঝড় ওঠলে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ প্রশাসন।ওঝাদের থানায় ডেকে এনে মুচলেকা নেওয়ার পরেও দেগঙ্গা আছে দেগঙ্গাতেই।গৃহবধূর এহেন মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেগঙ্গা ব্লকের শ্বেতপুর এলাকায়।
মৃত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার রাত তখন গভীর। ঘরে ঘুমিয়েছিলেন মামুদা বিবি।তাঁর হাতের আঙুলে বিষধর সাপে কামড়ায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে যায় স্থানীয় ওঝার কাছে।ওঝা ঝাড়ফুঁক করে এবং বলে বাড়ি নিয়ে যান।দুই তিন দিন পর আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে যাবে। ওঝার উপর ভরসা করে বাড়ি আনার পর ক্রমান্বয়ে গৃহবধূর শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
তাঁকে নিয়ে আসা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তৎক্ষণাৎ তাঁর চিকিৎসা শুরু করে দেন। কিন্তু কোন ফল হয় না।মারা যান গৃহবধূ। চিকিৎসকরা জানান, ওঝার কাছে না গিয়ে আগে হাসপাতালে আনলে বাঁচানো যেত গৃহবধূকে।
মাসখানেক আগেই সাপের কামড়ে দুই যুবক সহ এক ব্যক্তির মৃত্যুর পিছনে ওঝার কেরামতির অভিযোগ উঠেছিল। প্রশাসনের সাময়িক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলেও সাপের কামড়ে গ্রামবাসীরা সেই ওঝাদের কাছেই ছুটছে।
তাই যুক্তিবাদী মঞ্চের পক্ষ থেকে আমাদের দাবী, প্রশাসনকে আরো বেশি বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে।দেগঙ্গার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নিবিড় সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে হবে। কুসংস্কার তাবিজ-কবজ ওঝা ইত্যাদির বিরুদ্ধে লাগাতারভাবে মানুষকে সচেতন না করলে এভাবেই সাপেড় কামড়ে মানুষ মারা যাবেন।যা একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমাদের সকলের লজ্জা।এদিন সংবাদমাধ্যমকে এমনই জানান যুক্তিবাদী মঞ্চের পক্ষে প্রদীপ সরকার
We hate spam as much as you do