তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, গতকাল রাতে বাইকে করে আসে দুষ্কৃতীরা। ৮ থেকে ১০ জন দুষ্কৃতী আসে। বেলঘরিয়ার দেশপ্রিয় নগর এলাকার পার্টি অফিসের সামনে আসে। আর বাইক থেকে নেমেই এলাকায় গুলি চালায়।
বেলঘড়িয়ায় তৃণমূল অফিসে গুলি মারধোর আহত ২
তৃণমূলের পার্টি অফিসে গুলি, হামলার ঘটনায় ঘটনায় উত্তাপ বাড়ছে বেলঘরিয়ায়। গতকাল রাতে তৃণমূল পার্টি অফিসে উপস্থিত ২ কর্মীকে টেনে বাইরে বের করে এনে বন্দুকের বাট দিয়ে মারা হয়ে বলে উঠছে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের আঘাত গুরুতর হওয়ায় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হামলায় জড়িত থাকার অপরাধে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ আধিকারিকরা। একটি বাইকও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, গতকাল রাতে বাইকে করে আসে দুষ্কৃতীরা। ৮ থেকে ১০ জন দুষ্কৃতী আসে। বেলঘরিয়ার দেশপ্রিয় নগর এলাকার পার্টি অফিসের সামনে আসে। আর বাইক থেকে নেমেই এলাকায় গুলি চালায়। পার্টি অফিসের ভিতরে থাকা তৃণমূল কর্মীদের বাইরে বের মারধর করে। ভয় দেখায়। পালিয়ে যাওয়ার সময়ও কয়েরক রাউন্ড গুলি চালায়। তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন খবর পেয়েই ছুটে যান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন মদন মিত্র। এ প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, ‘বেলঘরিয়া এলাকায় প্রোমোটিংয়ের নামে দুষ্কৃতীদের দৌরত্ব বাড়ছে। সিন্ডিকেটের দাপট বাড়ছে এলাকায়। প্রশাসনকে অনুরোধ করছি কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। দুষ্কৃতীরাজ চলতে দেওয়া যাবে না। শান্তির পরিবেশকে অশান্ত করে তোলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে অনুরোধ করছি এই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হোক। এই হামলার পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে। দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে বিজেপি।’
এ প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এই হামলায় বিজেপির কেউ যুক্ত নয়। হামলায় মদন মিত্রর ঘনিষ্ঠরাই যুক্ত রয়েছে। বিজেপির নামে মিথ্যা কথা বলছেন মদন মিত্র।’
We hate spam as much as you do