লক্ষ লক্ষ ইট ভাটায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু নেওয়ার লোক নেই। ইটের দাম মাঝে কিছুটা কমানোর পরেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।আগে প্রতি হাজার ইটের দাম ছিল ৮-৯ হাজার টাকা, এবার সেই দাম কমে হয়েছে ৬-৭ হাজার টাকা।লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে এবার সেই ভাটা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী। এদিকে শুধু এই রাজ্যের নয়, ভিনরাজ্য থেকেও হাজার হাজার শ্রমিক ইটভাটাতে কাজ করতে আসেন। তাঁরাও এবার কাজ হারিয়ে পথে বসার আশঙ্কা করছেন। সবাই ভোট করলে এই হাহাকারের জবাব দেবে কে?
বসিরহাটের ইটভাটা বন্ধে হাজার শ্রমিক আয়হীন, বিক্ষোভ ডেপুটেশনে শ্রমিক সংগঠন সিটু।
বসিরহাট মহকুমার বহু ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হল।
করোনার কাঁটায় বহু ব্যবসা কার্যট লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ইটভাটার নাম। ইটভাটা ব্যবসায়ীদের দাবি করোনা পরিস্থিতিতে নির্মাণকাজে বড় ধাক্কা খেয়েছে। গত কয়েক মাসে ইটের চাহিদা ক্রমশ কমে গিয়েছে।
এর জেরে লক্ষ লক্ষ ইট ভাটায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু নেওয়ার লোক নেই। ইটের দাম মাঝে কিছুটা কমানোর পরেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।আগে প্রতি হাজার ইটের দাম ছিল ৮-৯ হাজার টাকা, এবার সেই দাম কমে হয়েছে ৬-৭ হাজার টাকা।লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে এবার সেই ভাটা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী। এদিকে শুধু এই রাজ্যের নয়, ভিনরাজ্য থেকেও হাজার হাজার শ্রমিক ইটভাটাতে কাজ করতে আসেন। তাঁরাও এবার কাজ হারিয়ে পথে বসার আশঙ্কা করছেন। সবাই ভোট করলে এই হাহাকারের জবাব দেবে কে?
অবিলম্বে ইটভাটা চালু করতে হবে।মঙ্গলবার এই দাবি সহ ৮টি দাবিতে বসিরহাটে পথে নামলো ইটভাটার শ্রমিকরা।এদিন দুপুরে উত্তর ২৪পরগনা জেলা টালি ইটভাটা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের(সি আই টি ইউ) ডাকে বসিরহাট টাউনহল সংলগ্ন কমরেড প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবন থেকে এক মিছিলে শ্রমিকরা আওয়াজ তোলে মালিক পক্ষের একরতফা ভাটা বন্ধের সিদ্ধান্ত মানছি না মানবো না।অবিলম্বে ইটভাটা চালু করতে হবে। প্রচলিত আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী বেআইনি সিদ্ধান্ত মানছি না মানবো না।
ইটিন্ডা রোড ধরে রেজিষ্ট্রি অফিস, পোষ্ট অফিস মোড় অতিক্রম করে মিছিল এসে শেষ হয় ইছামতি সেতু সংলগ্ন বসিরহাট বোটঘাটে।সেখানে বিক্ষোভ সভা শুরু হয় অবিলম্বে ইটভাটা চালু করা, প্রশাসনিক ব্যর্থতা শ্রমিকদের উপর ন্যাস্ত না করা,ইটশিল্পে সর্বনিম্ন মাসিক১৮হাজার টাকা চালু করা, কোভিড বিধি মেনে কাজের পরিবেশ তৈরি করা, প্রত্যেক শ্রমিককে ভ্যাকসিন দেওয়া, ভাটায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা,শ্রমিক কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা, আইন মোতাবেক ঠিকাদার নিয়োগের দাবিতে। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সিটুর সম্পাদিকা শ্রমিক নেত্রী গার্গী চ্যাটার্জি, ইটভাটা সংগঠনের নেতা রামপদ দাস সহ অন্যান্যরা।
বসিরহাট মহকুমার ইটভাটাগুলিতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারছে। বসিরহটের মহকুমা শাসকের অফিসে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
We hate spam as much as you do