সবমিলিয়ে সাতসকালে বারাসতের কলোনি মোড়ে এই পোস্টারগুলি উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তারা জানিয়েছে যে কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা তারা শীঘ্রই বের করবে। এখানে উল্লেখ্য প্রতিটি পোস্টারের নীচে "মাওবাদী" লেখা।
বারাসতে আনিস খুনের বদলা চেয়ে মাওবাদী পোস্টার, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।
উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসতে আনিস খানের খুনের বদলা চেয়ে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার! আর তাতে এলাকায় ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। কোনও পোস্টারে তৃণমূলকে কবর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, কোনোটায় আনিসকে শহীদ কমরেড বলে সম্বোধন করে লাল সেলাম জানানো হয়েছে। আবার কোনোটায় আনিস খানের খুনের বদলা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সবমিলিয়ে সাতসকালে বারাসতের কলোনি মোড়ে এই পোস্টারগুলি উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তারা জানিয়েছে যে কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা তারা শীঘ্রই বের করবে। এখানে উল্লেখ্য প্রতিটি পোস্টারের নীচে "মাওবাদী" লেখা।
তাই তৃণমূল শিবিরের রক্তচাপ বেড়েছে। স্থানীয় তৃণমূল চেয়ারম্যানের দৃঢ় বিশ্বাস কেউ তার সাথে মজা করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন : "এখানে কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির প্রভাব নেই। যারা এই নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছে তারা বাজার গরম করতে এইসব মন্তব্য করছে কারণ তাদের পার্টির কোনও ওজন এখানে নেই।" এছাড়া তিনি বলেছেন যে বারাসতে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। মানুষ হাসছে, হাঁটছে, প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিচ্ছে। তাই বারাসতে যদি কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়, মানুষ গর্জে উঠবে এবং প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে বিজেপির উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার সভাপতি তাপস মিত্র জানিয়েছেন : "আনিস খানের মৃত্যু নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ তার বাড়িতে ঢুকে তাকে উপর থেকে নীচে ফেলে দিয়ে হত্যা করে তাতে একে রাষ্ট্রীয় হত্যা বলেই মনে করি। কিন্তু এই পোস্টার সাঁটানো খুবই উদ্বেগজনক। পুলিশের অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা উচিত। আমরা কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সাথে আপস করতে চাই না। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরণের ঘটনা না ঘটে তার জন্যে জন্যে পুলিশকে অবিলম্বে এই ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে।"
স্থানীয় সিপিআইএম নেতা সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর বরুণ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন : "আমি শুনেছি যে বারাসতে মাওবাদী পোস্টার পাওয়া গেছে। পুলিশ - প্রশাসনের দায়িত্ব যারা পোস্টার সাঁটিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করা। পুলিশ তদন্ত করে বের করুক তাদের এবং দেখুক তারা কী চায়। বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন যখন মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বার বার সরব হতেন তখন বর্তমান শাসক দল বলত যে পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদী নেই। তারা সরকারে আছে, তারা বুঝবে, তাদের পুলিশ - প্রশাসন বুঝবে। মাওবাদী খোঁজার দায়িত্ব তো আমাদের নয়!"
২০১১ সালে কিষেনজির মৃত্যুর পর মাওবাদীদের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। সর্বভারতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিডমা সহ একাধিক জন হয় আত্মসমর্পন করছেন না হয় ধরা পড়ছেন। তাই নতুন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উঠেপড়ে লেগেছে মাও বাদীরা। একসময়ে শক্তিশালী মাও ঘাঁটি লালগড়ে তৃণমূল আশ্রিত বালিমাফিয়াদের বিরুদ্ধে পোস্টার উদ্ধার , তারপর এখন বারাসতে পোস্টার উদ্ধার, যেখানে এই প্রথম তাদের উপস্থিতি টের পাওয়া গেল। তাই তৃণমূলে ও প্রশাসনিক মহলের কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে।
We hate spam as much as you do