Tranding

12:18 PM - 01 Dec 2025

Home / North 24 Parganas / ওয়ান ওয়ে : বসিরহাটের রাস্তা যানজট মুক্ত করতে জেলা পুলিশের ট্রাফিক প্ল‍্যান

ওয়ান ওয়ে : বসিরহাটের রাস্তা যানজট মুক্ত করতে জেলা পুলিশের ট্রাফিক প্ল‍্যান

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বসিরহাটবাসীর কাছে অনুরোধ তারা যেন জেলা পুলিশের এই নতুন ট্রাফিক পরিকল্পনাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। জেলা পুলিশের এহেন পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি পথচলতি বহু মানুষ তাদের প্রতিদিনকার নানান তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান। যেমন কেউ জানালেন টোটোর দাপাদাপিতে রাস্তায় বার হওয়াই দায়।এই ছোট্ট শহরে হাজার হাজার টোটো এমাথা ওমাথা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মাঝেসাঝে শুনতে পাই একই ব্যক্তির একাধিক টোটো চালকের নামে কিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।বসিরহাট বোটঘাট এবং গুরুত্বপূর্ণ বসিরহাট জেলা হাসপাতাল মোড়ের দিকে খেয়াল আছে পুলিশ প্রশাসনের?

ওয়ান ওয়ে : বসিরহাটের রাস্তা যানজট মুক্ত করতে জেলা পুলিশের ট্রাফিক প্ল‍্যান

ওয়ান ওয়ে : বসিরহাটের রাস্তা যানজট মুক্ত করতে জেলা পুলিশের ট্রাফিক প্ল‍্যান

১সেপ্টেম্বর-২০২৫


দেরিতে হলেও ঘুম ভাঙলো বসিরহাট জেলা পুলিশের ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের। বসিরহাটের শহীদ দীনেশ মজুমদার রোড (ইটিন্ডা রোড),মার্টিনবার্ণ রোড এবং টাকীরোডে যানজট ঠেকাতে ওয়ান ওয়ের পথে হাঁটা শুরু করলো বসিরহাট জেলা পুলিশ। মূলতঃ বসিরহাট শহরকে যানজট মুক্ত করতেই পুলিশের এহেন প্রয়াস। সোমবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই জানান বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডাঃ হোসেন মেহেদী রহমান। তিনি জানান, বসিরহাট শহরের একদিকে ইছামতি নদীর কোল ঘেঁষে শহীদ দীনেশ মজুমদার রোড (ইটিন্ডা রোড) এবং মূল শহরের দক্ষিণ দিকে মার্কিন বার্ণ রোড। আরও একটু দক্ষিণে গেলে টাকীরোড। সম্প্রতি এই তিনটি রোডের যানজট নিয়ে চিন্তিত পুলিশ প্রশাসন।সেকারণে বসিরহাট শহরকে যানজট মুক্ত করতে প্রাথমিকভাবে শহীদ দীনেশ মজুমদার রোড (ইতিন্দা রোড),মার্টিন বার্ণ রোড এবং তার সংযোগস্থলের রাস্তাটি অর্থাৎ বিপিনবিহারী বসু সরণী ওয়ান ওয়ে থাকবে আগামী মঙ্গলবার থেকে। অর্থাৎ বসিরহাটের ইছামতি সেতু সংলগ্ন বোটঘাট থেকে একদম সোজা শহীদ দীনেশ মজুমদার রোড ধরে হেলমেট মোড় রোড অর্থাৎ আমিনিয়া হাই মাদ্রাসা পর্যন্ত ওয়ান ওয়ে থাকবে। আবার এই বোটঘাট থেকে বসিরহাট পোস্ট অফিস মোড় থেকে বাঁদিকে ঘুরে বিপিনবিহারী বসু সরনী হয়ে কাছারিপাড়া এলাকায় বিবেকানন্দ মোড় (পায়েল মোড়) থেকে মার্টিন বার্ণ রোড ধরে রবীন্দ্রভবন এবং সেখান থেকে ৭২নং বাসস্ট্যান্ড হয়ে হেলমেট মোড় পর্যন্ত অর্থাৎ আমিনিয়া হাই মাদ্রাসার মূল প্রবেশদ্বার পর্যন্ত ওয়ান ওয়ে থাকবে। সামনে দূর্গোৎসব?এর জন্য কী জেলা পুলিশের এই পরিকল্পনা? উত্তরে পুলিশ সুপার জানান,না। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে বসিরহাট শহরকে যানজট মুক্ত করতে এই প্রয়াস চলবে ধারাবাহিকভাবে।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে   বসিরহাটবাসীর কাছে অনুরোধ তারা যেন জেলা পুলিশের এই নতুন ট্রাফিক পরিকল্পনাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। জেলা পুলিশের এহেন পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি পথচলতি বহু মানুষ তাদের প্রতিদিনকার নানান তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান। যেমন কেউ জানালেন টোটোর দাপাদাপিতে রাস্তায় বার হওয়াই দায়।এই ছোট্ট শহরে হাজার হাজার টোটো এমাথা ওমাথা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মাঝেসাঝে শুনতে পাই একই ব্যক্তির একাধিক টোটো চালকের নামে কিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।বসিরহাট বোটঘাট এবং গুরুত্বপূর্ণ বসিরহাট জেলা হাসপাতাল মোড়ের দিকে খেয়াল আছে পুলিশ প্রশাসনের? রাস্তার দুধারে দোকানের সারি।এক দিকে ওষুধের দোকাদাররা দিনদিন রাস্তার ওপরে চলে আসছে। আবার উল্টো পাশে অটো টোটোর ছটফটানিতে অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতালে ঢুকতে গিয়ে জীবন যায়যায়। আবার কেউ কেউ বলছেন,এই দুটি মোড় নরক মোড়ে পরিণত হয়েছে।যানজট মুক্ত শহর সবাই চায়। কিন্তু বসিরহাটবাসী আরও কিছু কথা বলতে চায়। কিন্তু কাকে বলবে?কে শুনবে?তাই শেষমেশ সংবাদমাধ্যমের দু একজনকে হাতের কাছে পেয়ে বললো কিছু কথা যা সবাই জানে দেখে কিন্তু সাহস করে বলতে পারে না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুল শিক্ষিকা জানালেন, সন্ধ্যার পর এই রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় করে। কোন রাস্তা? মহকুমা শাসকের বাংলো ঘেঁষে সর্পিল আকারে চলে যাওয়া ইটিন্ডা রোড যার বর্তমান নাম শহিদ দীনেশ মজুমদার রোড। অর্থাৎ হসপিটাল রোড।
এই রোডের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার ব্যবহৃত অসংখ্য গাড়ির পাকাপাকি পার্কিং স্হল হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের গাড়ি তাই কিছু বলতে কেউ সাহস পায় না। বসিরহাটবাসীর ঘোর আপত্তি হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তায় পুলিশের গাড়ি সহ অন্যান্য গাড়ির পার্কিং করে রাখা।এবং পার্কিংয়ের সুযোগে সন্ধ্যার পর গাড়িগুলির আড়ালে মদ গাঁজা ইত্যাদি খাওয়া সর্বপরি প্রস্রাবে ভরিয়ে ফেলছে ব্রিজ সংলগ্ন ধ্বংস হয়ে যাওয়া ফুলের বাগান। তার কী উপায় হবে? ব্রিজের উপর দিয়ে লরি বাস সহ অন্যান্য যানবাহন এবং অসংখ্য টোটোর যাতায়াত । অসুস্থ রোগীকে নিয়ে যেতে হলে বা পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের যাওয়ার সময় উপরে অসংখ্য গাড়ি চলাচলের ঝক্কি নিচে গাড়ি পার্কিং করে রাস্তাটাকে সরু করে রাখার ঝক্কি পেরিয়ে যেতে হয়।তারা মানছেন ঢাকঢোল পিটিয়ে বসিরহাটকে পুলিশ জেলা করা হয়েছে বটে কিন্তু জেলা পুলিশের নিজস্ব কোন অফিস নেই।যেটি আছে সেটি ভাড়ায় চলে।পুলিশ লাইন নেই। নেই পুলিশ ব্যারাক‌। রসিকতা করে বলতে শোনা যায় পুলিশ সুপার ছাড়া,বাকি সব ভাড়া। আর পুলিশ সুপার থাকেন সরকারি বাংলোয়। বাকি সবাইকে ভাড়া বাড়িতে থাকতে হচ্ছে।
 এহেন পরিস্থিতিতে ওয়ান ওয়ে চালু করে যেমন যানজট মুক্ত করতে তৎপর জেলা পুলিশ।ঠিক তেমনি এই রাস্তাটি পার্কিং মুক্ত করতে এবং বসিরহাট বদরতলা মোড় যানজট মুক্ত করতে পুলিশ তৎপর হোক। এদিন এমনই দাবি তুলেছেন পথচলতি সাধারণ মানুষ এবং বসিরহাটবাসী।

Your Opinion

We hate spam as much as you do