তদন্তে নেমে পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম চন্দন মালাকার এবং প্রজ্ঞাজিৎ মণ্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরা একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য। দু’জন সনাতনী একতা মঞ্চের সঙ্গেও যুক্ত। দু’জনেই স্বীকার করেছেন যে, তাঁদের পাকিস্তানি পতাকা লাগানোর পরিকল্পনা ছিল।
‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’ লেখার ছকে গ্রেপ্তার বনগাঁর সনাতনী একতা মঞ্চের দুজন
০২ মে ২০২৫
পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানি পতাকা লাগানোর। শুধু তা-ই নয়, ওই পাকিস্তানি পতাকার নীচে ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’ এবং ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ লেখাও উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন দুই অভিযুক্ত। ‘সনাতনী একতা মঞ্চ’-এর ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুলিশ জেলা।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে গোপালনগর থানা এলাকার অন্তর্গত আকাইপুর স্টেশনের শৌচাগারের পাশ থেকে পাকিস্তানের একটি পতাকা উদ্ধার হয়। পতাকাটি দেখে মনে হচ্ছিল, সেটি দেওয়ালে ঝোলানোর পরিকল্পনা রয়েছে কারও। তদন্তে নেমে পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম চন্দন মালাকার এবং প্রজ্ঞাজিৎ মণ্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরা একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য। দু’জন সনাতনী একতা মঞ্চের সঙ্গেও যুক্ত। দু’জনেই স্বীকার করেছেন যে, তাঁদের পাকিস্তানি পতাকা লাগানোর পরিকল্পনা ছিল। এলাকায় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করতে দেওয়ালে ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’ এবং ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানও লিখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশের বক্তব্য, ‘‘যাঁরা ষড়যন্ত্র করে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘দুই ব্যক্তি পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে ভারতবিদ্বেষী স্লোগান তোলার পরিকল্পনা করছিল। এলাকায় অশান্তি তৈরির উদ্দেশ্যে ওই পরিকল্পনা করেছিল ওরা। অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল ওদের। অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনার নেপথ্যে আর কারা জড়িত আছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। এরা দু’জনই সনাতনী একতা মঞ্চের সদস্য।’’
We hate spam as much as you do