Tranding

12:17 PM - 01 Dec 2025

Home / North 24 Parganas / বাবা ও ছেলের রক্তে জীবন ফিরল অপরিচিত দুই মূমূর্ষ রোগির

বাবা ও ছেলের রক্তে জীবন ফিরল অপরিচিত দুই মূমূর্ষ রোগির

একই দিনে একই সাথে ।রক্তদাতারা হলেন বসিরহাট বড় জিরাকপুর বিশ্বাস পাড়ার বাসিন্দা শিক্ষক চঞ্চল বিশ্বাস(৫৭) ও তাঁর ছেলে বিশ্বায়ন বিশ্বাস(২০)।রক্ত গ্রহীতারা হলেন বসিরহাট মির্জাপুরের বাসিন্দা তন্ময় গোলদার(৩৮)ও বসিরহাট জোড়াপুকুর ধারের বাসিন্দা সোনালী রায়চৌধুরী(৪২)।

বাবা ও ছেলের রক্তে জীবন ফিরল অপরিচিত দুই মূমূর্ষ রোগির

  ছবি- রক্তদাতা বাবা ও ছেলে।

বাবা ও ছেলের রক্তে জীবন ফিরল অপরিচিত দুই মূমূর্ষ রোগির

একই দিনে একই সাথে ।রক্তদাতারা হলেন বসিরহাট বড় জিরাকপুর বিশ্বাস পাড়ার বাসিন্দা শিক্ষক চঞ্চল বিশ্বাস(৫৭) ও তাঁর ছেলে বিশ্বায়ন বিশ্বাস(২০)।রক্ত গ্রহীতারা হলেন বসিরহাট মির্জাপুরের বাসিন্দা তন্ময় গোলদার(৩৮)ও বসিরহাট জোড়াপুকুর ধারের বাসিন্দা সোনালী রায়চৌধুরী(৪২)।
প‍রিচিতজনদের মাধ্যমে ওই স্কুল শিক্ষক জানতে পারেন বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি এক ব্যক্তির এ পজেটিভ গ্রুপের রক্তের আশু প্রয়োজন।দেরি হলে প্রান সংশয় হতে পারে।করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারনে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চলছে সীমাহীন রক্তের সংকট।বসিরহাট মহকুমার এস এফ আই'র কর্মীরা মাঝে মধ্যেই রক্ত সংকট মেটাতে হাসপাতালে ছুটে আসে এবং রক্তদান করে।সম্প্রতি এস এফ আই নেতা তসলিম আরিফ ও সি আই টি ইউ নেত্রী ইরিনা ইরানীর তৎপরতায় এক সন্তানসম্ভবা মা রক্ত পান।এস এফ আই'র পক্ষ থেকে প্রায়শই সোস্যাল মিডিয়া রক্তের গ্রুপ দিয়ে রক্তের চাহিদার প্রচার করতে দেখা যায়। তাতেও মেটেনা সংকট।বৃহস্পতিবার সেই সংকট আরও প্রকট রূপে দেখা দেয়।খবর পেয়েই এদিন ওই শিক্ষক ছেলেকে বাইকে চাপিয়ে চলে আসেন হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে।কাকে রক্ত দিতে হবে জানেন না চঞ্চলবাবু। বললেন,মোবাইল নং এ ফোন ক‍রতেই ব্লাড ব্যাঙ্কে গ্রহীতার পরিবারের লোকজন চলে আসেন।মির্জাপুরের বাসিন্দা তন্ময় গোলদারের রক্তের প্রয়োজন।রক্ত দিয়ে রোগির সুস্থতা কামনা করে বেড়িয়ে আসতেই অল্প পরিচিত এক মাস্টামশাইয়ের সাথে দেখা হয় চঞ্চলবাবুর।তিনি হন্তদন্ত হয়ে ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে এসে হাজির।একেবারে বিধ্বস্ত চেহারা।তাঁকে কুশল জানতে চাইলে মাস্টারমশাই ভেঙে পড়েন এবং বলেন তাঁর এক নিকট আত্মীয়ের এখুনি এক বোতল রক্তের প্রয়োজন।অবস্থা সঙ্কটজনক।রক্ত না হলে চিকিৎসক চিকিৎসা শুচিকিৎসা শুরু করতে পারছেন না।৪০বছর ধরে রক্তদান আন্দোলনের সাথে যুক্ত চঞ্চলবাবু চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং উপায় খুঁজতে থাকেন।পাশেই ছেলে বিশ্বায়ন বাবাকে বলে আমি রক্ত দেব।একজন অপরিচিতার জন্য রক্ত দিল বিশ্বায়ন।বাবা ছেলের এই মহানুভবতা দেখে আপ্লুত দুই পরিবার।কেউ কাউকে চিনতেন জানতেন না।এখন যেন কত চেনা।

Your Opinion

We hate spam as much as you do