Tranding

12:21 PM - 01 Dec 2025

Home / North 24 Parganas / প্রয়াত সিপিআইএম নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য, শোকস্তব্ধ ছাত্র সংগঠন থেকে জেলা রাজনৈতিক মহল

প্রয়াত সিপিআইএম নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য, শোকস্তব্ধ ছাত্র সংগঠন থেকে জেলা রাজনৈতিক মহল

ছাত্রাবস্থা থেকে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেপালদেব ভট্টাচার্য। তিনবার এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ সামলেছেন। সহকর্মী ছিলেন সিপিআইএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি। ১৯৮১ সালে নবীন হিসেবে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন নেপালদেব। তিনি মিঠুন চক্রবর্তী অভিনিত ছবি "চাকা" পরিচালনা করেন।

প্রয়াত সিপিআইএম নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য, শোকস্তব্ধ ছাত্র সংগঠন থেকে জেলা রাজনৈতিক মহল

প্রয়াত সিপিআইএম নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য, শোকস্তব্ধ ছাত্র সংগঠন থেকে জেলা রাজনৈতিক মহল


 May 13, 2025


 প্রয়াত বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ নেপালদেব ভট্টাচার্য। সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সিপিএমের প্রাক্তন সম্পাদকের প্রয়াণের খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া জেলার রাজনৈতিক মহলে। শোকস্তব্ধ ছাত্র সংগঠন এসএফআই, শ্রমিক সংগঠন সিটুও। বাম রাজনীতির প্রতিটি শাখাতেই নেপালদেব ভট্টাচার্য বিভিন্ন সময়ে একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন। ছিলেন পরিচিত মুখ। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন সকলে।মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ভাটপাড়া শ্মশানে। 


ছাত্রাবস্থা থেকে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেপালদেব ভট্টাচার্য। তিনবার এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ সামলেছেন। সহকর্মী ছিলেন সিপিআইএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি। ১৯৮১ সালে নবীন হিসেবে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন নেপালদেব। 
তিনি মিঠুন চক্রবর্তী অভিনিত ছবি "চাকা" পরিচালনা করেন।
মাঝখানে কিছুদিন দল থেকে দুরে থাকার পর ২০১৫ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদস‍্য হন নেপালদেব ভট্টাচার্য। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজারহাট গোপালপুর থেকে সিপিএমের প্রার্থী হন তিনি, কিন্তু জিততে পারেননি। তিনি সিটুর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি ছিলেন আমৃত্যু।

এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দমদম থেকে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের বিরুদ্ধেও দাঁড়িয়েছিলেন। সেবারও পরাজিত হতে হয়। অসুস্থতার কারণে ধীরে ধীরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছিলেন নেপালদেব ভট্টাচার্য। সোমবার, ১২ মে মাঝরাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।


মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদ নেপালদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ হাসপাতাল থেকে প্রথমে সিটুর রাজ্য দপ্তর শ্রমিক ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। তারপর এসএফআই রাজ্য দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবন হয়ে, দত্তবাগান মিল্ক কলোনির 'বেলগাছিয়া ভিলা', তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। সেখান থেকে লেকটাউন বইমেলা অফিস হয়ে দুপুর ১২ টায় বারাসতে সিপিআইএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কার্যালয়ে পৌঁছয় নেপালদেবের দেহ। জেলা দপ্তরে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর তাঁর মরদেহ সিটু, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দপ্তর, বারাকপুরে নিয়ে আসা হবে দুপুর ১ টায়। সেখান থেকে যাওয়া হবে তাঁর আদি বাসভবন ও প্রথম রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্র ভাটপাড়ায়। ভাটপাড়া শ্মশানে নেপালদেব ভট্টাচার্যর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

Your Opinion

We hate spam as much as you do