অনেকেই বলছিলেন আরজিকর কাণ্ডে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ শহুরে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণীর। তা কার্যত মিথ্যে প্রমাণিত করে বনগাঁ বসিরহাট হিঙ্গলগঞ্জের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ এসে জড়ো হয়েছিলেন বারাসাতে। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সিপিআইএমের পক্ষ থেকে বারাসাত থেকে বিরাটি পর্যন্ত একটি দীর্ঘ মিছিল প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবার পর দ্বিতীয় ধাপে বিরাটি থেকে আরজিকর পর্যন্ত মোট ৩০ কিলোমিটার, প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে এবং ভ্যাপসা গরমে ক্লান্তিহীন এই বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে কৃষক শ্রমিক ছাত্র যুব বহু গ্রামীণ এবং শহরের মানুষ লাল ঝান্ডা হাতে যুক্ত হয়েছিলেন গণনাট্য সংঘ সহ অন্যান্য শিল্পীরা।
রবিবার বারাসাত থেকে RGKar জেলা CPIM দীর্ঘ মিছিলে ব্যাপক সাড়া
2oct, 2024,
আরজিকর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চায় বামেরা। গত ২৯শে আগষ্ট বারাসত থেকে আরজিকর পর্যন্ত মিছিল করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পক্ষ থেকে।
অনেকেই বলছিলেন আরজিকর কাণ্ডে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ শহুরে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণীর। তা কার্যত মিথ্যে প্রমাণিত করে বনগাঁ বসিরহাট হিঙ্গলগঞ্জের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ এসে জড়ো হয়েছিলেন বারাসাতে। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সিপিআইএমের পক্ষ থেকে বারাসাত থেকে বিরাটি পর্যন্ত একটি দীর্ঘ মিছিল প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবার পর দ্বিতীয় ধাপে বিরাটি থেকে আরজিকর পর্যন্ত মোট ৩০ কিলোমিটার, প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে এবং ভ্যাপসা গরমে ক্লান্তিহীন এই বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে কৃষক শ্রমিক ছাত্র যুব বহু গ্রামীণ এবং শহরের মানুষ লাল ঝান্ডা হাতে যুক্ত হয়েছিলেন গণনাট্য সংঘ সহ অন্যান্য শিল্পীরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে পুজোতেও পথে নামার পরিকল্পনা করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সিপিআইএমের পাশাপাশি অন্যান্য বামদলগুলিকেও একই বৃত্তে এনে লাগাতার কর্মসূচি করা হবে বলেও দলীয় সূত্রে খবর। যদিও নাগরিক সমাজের নামে পতাকা ছাড়াই এই আন্দোলন হবে বলেই এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে৷
নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক বামফ্রন্টের এক শরিক দলের নেতা জানিয়েছেন, “উৎসবে ফেরানোর নামে আরজি কর ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর পরিকল্পনা চলছে। পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে প্রতিবাদ জারি রাখা হবে। হয় শুনানি না হয় সুনামি। এমনটাই এখন জনগণনের মেজাজ।”
এ ছাড়াও ৭ অক্টোবর প্যালেসটাইন সংহতি দিসব পালন করা বামেদের ব্যানারে।
সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন “কলকাতা পুলিশ কিংবা রাজ্য পুলিশ চাইছে মিটিং মিছিল আটকাতে। কিন্তু মানুষ নিজেদের দাবির কথা, অধিকারের কথা রাস্তায় নেমেই বলবেন। তা কেউ আটকাতে পারে না”।
তিনি আরও বলেন, “আন্দোলন এর প্রকৃত অর্থ হল অবিরত। কোনও হুকুমদারি চলবে না। কোন ফর্মে হবে, কোন ফোরামে হবে সেগুলো মানুষ ঠিক করবেন। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। মানুষ বলছে হয় শুনানি হবে না হলে সুনামি হবে। চিকিৎসক, নাগরিক সমাজ, মহিলা বৃন্দ, বামপন্থী সংগঠনগুলি, অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যে যেখানে পারছেন আন্দোলন করছেন। আন্দোলন করবেন। সকলে মিলে একটা সমবেত প্রয়াস চালানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সেই পরিকল্পনা বা আন্দোলনের বিষয় ঘোষণা করা হবে। আমরা বামফ্রন্টের পক্ষ খুব শীঘ্রই আলোচনা করে সেগুলি ঘোষণা করবো।”
পুজোতে কোনও আন্দোলন চলবে কিনা প্রশ্নের জবাবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন,”বই পড়ুন, বই পড়ান, রাজনীতিতে সচেতন হোন৷শারদ উৎসবের সময় আমাদের বুকষ্টল হবে। তাকে ঘিরে নানান রকম পোস্টার ব্যানার নাটক সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত করা হবে। প্রগতিশীল সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার প্রচার প্রসার হবে। আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চাওয়া হবে।”
We hate spam as much as you do