ক্ষতিকর পচনরোধী বর্জ্য পরিবেশে ৪০০ থেকে ১ হাজার বছর পর্যন্ত থাকতে পারে এবং নানা রকম মাইক্রো বা ন্যানো কণা বা ক্ষতিকর পদার্থ নিঃসরণ করে প্রতিবেশে ও মানবস্বাস্থ্যে ভয়ংকর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্লাস্টিকদূষণ বিশ্বের সব দেশে এবং সব পরিবেশে এমনকি মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া, গভীর সমুদ্রের তলদেশ এবং মেরু অঞ্চলেও বিস্তৃত।
প্লাস্টিকখেকো কেঁচো মাটিদূষণ রোধে দিশা দেখাচ্ছে
পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৩০ কোটি টন প্লাস্টিক উৎপাদিত হয় এবং বিজ্ঞানীরা তা নিয়ে যারপরনাই চিন্তিত। কারণ প্লাস্টিক মাটি, বায়ুমণ্ডল, জল জীববৈচিত্র্য, এমনকি মানবস্বাস্থ্যেও নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। প্লাস্টিক বর্জ্যের শতকরা ১০ ভাগ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হলেও বাকি ৯০ শতাংশের বেশি বিশ্ব পরিবেশকে নানাভাবে বিপন্ন করে তুলেছে।
এসব ক্ষতিকর পচনরোধী বর্জ্য পরিবেশে ৪০০ থেকে ১ হাজার বছর পর্যন্ত থাকতে পারে এবং নানা রকম মাইক্রো বা ন্যানো কণা বা ক্ষতিকর পদার্থ নিঃসরণ করে প্রতিবেশে ও মানবস্বাস্থ্যে ভয়ংকর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্লাস্টিকদূষণ বিশ্বের সব দেশে এবং সব পরিবেশে এমনকি মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া, গভীর সমুদ্রের তলদেশ এবং মেরু অঞ্চলেও বিস্তৃত।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া থেকে বিজ্ঞানীদের দল এই সমস্যার সমাধান পেয়ে গেছেন। জোফোবাস মরিও নামক এক জাতীয় কেঁচো তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন যা প্লাস্টিক খেয়ে নেয়। এই কেঁচোকে তামাম দুনিয়া সুপারওয়ার্ম নামে জানে। এই পোকা পলিস্টেরিন খেয়ে বেঁচে থাকে। এই পোকাকে কাজে লাগাতে পারলে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানীদের দল বিপ্লব এনে দেবেন। বিগত তিন সপ্তাহ ধরে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল এই পোকাগুলিকে বিভিন্ন ধরণের খাবার দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন।
তখনই তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে এই পোকাগুলির পলিস্টিরিন ও স্টিরিনকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে বড় পরিমাণের প্লাস্টিক কিভাবে পচানো যাবে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা দ্বিধাভক্ত। তাই বিজ্ঞানীরা এই পোকাগুলিকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। যাতে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের কাজে লাগানো যায়। পৃথিবীতে মোট উৎপাদিত প্লাস্টিকের ৩৮ % মাটিতে পচে। ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট উৎপাদিত প্লাস্টিকের মাত্র ৯ % পুনর্ব্যবহার করা হয়। বাকি ৩ কোটি ২০ লক্ষ নষ্ট হয়ে যায় যা অবধারিত ভাবে পরিবেশের ক্ষতি করে। তাই এই আবিষ্কার অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয়।
We hate spam as much as you do