আদানি গোষ্ঠীর এই বাড়বাড়ন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরাসরি "পৃষ্ঠপোষকতা" আছে। এই অভিযোগ , সিপিআই(এম)এর। তাদের দাবি যে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তত্ত্বাবধানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এইসব গুজরাটি সংস্থার বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগ গুলি তদন্ত করবে।
CPIM মুখপত্রে দাবি-আদানির উত্থানে প্রধানমন্ত্রীর ভুমিকা আলোচনা হোক-না হলে ব্যাখা অসম্পূর্ণ
05 Feb 2023,
CPI(M) এর কেন্দ্রীয় মুখপত্র পিপলস ডেমোক্রেসি বলছে "প্রধানমন্ত্রী মোদীর পৃষ্ঠপোষকতার ফলাফল হিসাবে ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর উত্থান না দেখলে আদানি গল্প অসম্পূর্ণ"
সিপিআই(এম) এর মতে আদানি গ্রুপের "প্রতারণামূলক লেনদেন" ভারতের জনগণের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ বছরের পর বছর ধরে এরা দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জনসাধারণের তহবিল লুট করেছে।
আদানি গোষ্ঠীর এই বাড়বাড়ন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরাসরি "পৃষ্ঠপোষকতা" আছে। এই অভিযোগ , সিপিআই(এম)এর। তাদের দাবি যে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তত্ত্বাবধানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এইসব গুজরাটি সংস্থার বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগ গুলি তদন্ত করবে।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র মুখপত্র, "পিপলস ডেমোক্রেসি", এর সর্বশেষ সম্পাদকীয়তে, হিন্ডেনবার্গের একটি প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপকে "ব্রেজন স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং-জালিয়াতির পরিকল্পনায় জড়িত" বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
"নরেন্দ্র মোদির প্রত্যক্ষ মদত এবং সুরক্ষার ফলাফল হিসাবে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির উত্থান না দেখলে আদানি গল্পটি বোঝা যাবে না। ২০০২ সাল থেকে মোদী এবং আদানির মধ্যে সম্পর্ক শুরু হয় যখন মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন। তারপর থেকে, আদানির ভাগ্য নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক গতিপথের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়েছিল , শেষ পর্যন্ত মে ২০১৪-এ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিল্লিতে পৌঁছেছিলেন,"
গুজরাট ভিত্তিক যে ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আছে তার নেতৃত্বে রয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি।
সিপিআই(এম) বলেছে যে আদানি গ্রুপের "প্রতারণামূলক লেনদেন" ভারতের জনগণের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের।
কারণ বছরের পর বছর ধরে যা "লুটপাট" করা হয়েছে তা হল দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জনসাধারণের তহবিল।
"মোদি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আদানি গ্রুপ হয়ে উঠেছে, বন্দর, বিমানবন্দর গুলির বৃহত্তম বেসরকারী পরিচালক শস্য গুদামজাত করণের বৃহত্তম এবং ভারতের মোট বিপুল বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং সিমেন্ট শিল্পের এক পঞ্চমাংশের মালিক ৷
বাম দল উল্লেখ করেছে "এটি কয়লা খনির বড় অংশ নিয়ে দেশের তাপবিদ্যুৎ এর বৃহত্তম বেসরকারী উত্পাদনকারী,"
বেশিরভাগ
বানিজ্যিক সংস্থাগুলোর অধিগ্রহণের এত টাকা কে দিল? সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছে এবং ভারতীয় জীবন বীমা কর্পোরেশন (এলআইসি) এর মতো প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে যে এলআইসি থেকে প্রায় ৮০,০০০ কোটি টাকার তহবিল আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং ব্যাঙ্ক থেকে ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমস্ত ঋণের ৪০% স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার থেকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে ।
" এই কারনেই আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির শেয়ারমূল্যের পতন জনগণের সঞ্চয় এবং পাবলিক ফান্ডের জন্য ভয়ংকর বিপজ্জনক ৷
"আদানি গোষ্ঠীর উত্থান এবং এর দ্রুত সম্প্রসারণ ভারতে প্রশ্নাতীত হয়নি। বছরের পর বছর ধরে, গৌতম আদানি যেভাবে তার সাম্রাজ্য তৈরি করতে গিয়েছিলেন তা নিয়ে অনেক গুরুতর প্রশ্ন ও অভিযোগ উঠেছে," সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে, যোগ করা হয়েছে। , "কিন্তু এগুলোর কোনোটিই SEBI এবং RBI-এর মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা ED-এর মতো এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলির কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া খুঁজে পায়নি।" অভিযোগ করে যে "মোদি-আদানি নেক্সাস" "হিন্দুত্ব-কর্পোরেট জোট" এর প্রতীক, যা আজ দেশ শাসন করছে, দলটি দাবি করেছে যে শিল্পপতি আত্মবিশ্বাসী যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সমর্থনে তিনি ঝড় মোকাবেলা করতে পারেন।
"কিন্তু এই দেশের নাগরিকদের জন্য, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস হতে দেখছেন এবং সাম্প্রদায়িক-কর্পোরেট জোটের দ্বারা তাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে, তাদের লুণ্ঠন এবং অর্জিত লাভের জন্য আদানিদের জবাবদিহি করা অপরিহার্য।
এতে বলা হয়েছে "তাই, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি আদানি গোষ্ঠীর সমস্ত আর্থিক এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করে তা দেখার জন্য একটি দৃঢ় সংগ্রাম চালানো প্রয়োজন। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি উচ্চ-স্তরের তদন্ত দল গঠন করতে হবে এবং এটি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা উচিত, "।
We hate spam as much as you do
