এই ধরনের পরিযায়ী অবস্থা ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষায় প্রভাব ফেলছে দেখা গেছে ৬০.২৩% পরিযায়ী শ্রমিক তারা পরিযায়ী হওয়ার আগে আগে পর্যন্ত ছাত্র ছিল এর থেকে বোঝা যায় পশ্চিমবাংলায় উচ্চশিক্ষা থেকে বিশাল সংখ্যক ড্রপ আউটের কারণ l এই পরিযায়ী শ্রমিক ৫১℅ বেশি যারা এই প্রশ্নোত্তরে সাড়া দিয়েছে তারা মূলত দশম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাষার কারনে চুড়ান্ত হয়রানি, কেন এত শ্রমিক? সমীক্ষা কি বলছে?
September 21, 2025
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ১৫.৯৪ % বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এবং ১৪.০৯ ℅ ভাষার কারণে মারাত্মক হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।
কলকাতা কেন্দ্রীক সংস্থা সাবার ইনস্টিটিউট এর সমীক্ষায় ৭৫০০ এর বেশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার শহর এবং গ্রামের পরিযায়ী যে অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে সেই অঞ্চল নিয়ে কাজ করা হয়েছে গবেষকরা ২৭ জুলাই থেকে ১০ই আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের ১০০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছেন।
দেখা গেছে এর মধ্যে ৬২.৮% তারা নতুন আরো ভালো কাজের সন্ধান করতে চাইছে কিন্তু পরিযায়ী হতে চাইছে না।
পরিযায়ী শ্রমিকদের এই হেনস্থার জন্য
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এই ধরনের পরিযায়ী অবস্থা ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষায় প্রভাব ফেলছে দেখা গেছে ৬০.২৩% পরিযায়ী শ্রমিক তারা পরিযায়ী হওয়ার আগে আগে পর্যন্ত ছাত্র ছিল এর থেকে বোঝা যায় পশ্চিমবাংলায় উচ্চশিক্ষা থেকে বিশাল সংখ্যক ড্রপ আউটের কারণ l এই পরিযায়ী শ্রমিক ৫১℅ বেশি যারা এই প্রশ্নোত্তরে সাড়া দিয়েছে তারা মূলত দশম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
এর ফলে নাগরিকত্ব সন্দেহের মুখে | পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের কীভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আটক করা হচ্ছে
পরিযায়ীদের রেমিট্যান্স (টাকা একযায়গা থেকে অন্যত্র পৌঁছে দেওয়া) ব্যবহারের বিষয়ে, গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে ২৫% পরিবার খাদ্যের জন্য এবং ১৮% স্বাস্থ্যসেবার জন্য রেমিট্যান্স ব্যবহার করে। গবেষণায় বলা হয়েছে " দেখা যাচ্ছে যে পরিযায়ী অবস্থায় সাধারণ ব্যয়ের চেয়ে মৌলিক চাহিদার ক্ষেত্রে বেশি দরকারি ,"
এই সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তা হল শ্রমিক কত প্রয়োজন বা আছে এবং কি কারণে তারা পরিযায়ী হচ্ছে তা সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য নেই। সাবার ইনস্টিটিউটের সাবির আহমেদ বললেন আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঠিক তথ্য চাই যাতে বিভিন্ন জায়গায় তারা গিয়ে থাকছেন এবং যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তা কিছুটা অন্তত সমাধান করা যায়
ভারতীয় গণতন্ত্র পরিযায়ী অভিবাসীদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের ২২. ৪০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করে।
বিগত কয়েক মাস ধরে একটা জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে পশ্চিমবাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে অভিযোগ করা হচ্ছে তারা সব বাংলাদেশের লোক।
শুধুমাত্র সেইসব শ্রমিকদের পরিচিতি পত্র দেখা হচ্ছে না, কাউকে কাউকে জোর জবরদস্তি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই পরিযায়ী সমস্যা বাঙালির অস্মিতা মানে সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত পরিচিতি নিয়েই একটা বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। পশ্চিমবাংলার গত কয়েক মাস ধরে পশ্চিমবাংলা রাজনীতিতে এই বিষয়টি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে
পশ্চিমবঙ্গ সরকার শ্রমশ্রী প্রকল্প যেখানে প্রতিমাসে একজন পরিযায়ী শ্রমিককে ৫০০০ টাকা করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে, প্রায় ২৪০০০ পরিযায়ী শ্রমিক এই সময়কালে পশ্চিমবাংলায় ফিরে এসেছেন।
প্রশ্ন হল এতে সমস্যা মিটবে? না। কারন এই রাজ্যে ন্যুনতম কাজের অভাব। আর ভারত সরকারের পরিচালনাকারী দলের নীতিতে স্বাভাবিক বাংলা ভাষা বিরোধীতার উপাদান।
We hate spam as much as you do