জীবনের আনন্দই হয়ে উঠুক কালের সেই মন্দিরা ধ্বনি, যা কবি আমাদের মনের অন্দরে বাজিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। বাঙালি নিজেকে চিনুক। জানুক।
আজ দোল - হোলি। জীবনের আনন্দই হয়ে উঠুক কালের সেই মন্দিরা ধ্বনি,
না, আমি হোলিকা রাক্ষসীর গপ্পো ফেঁদে বসার চেষ্টায় নেই। বিশেষ করে যখন আজ বাংলায় প্রথম দফার বিধানসভা ভোট হয়ে গেছে । বাংলা হিন্দি ভাষাভাষীদের খপ্পরে পড়ে বঙ্গাল হবে কি হবে না তার প্রথম পর্বের দান পড়ে গেছে বলা যায়। এই মুহূর্তে , আমি তো বলব, এবারের রঙের তথা আবীরের এই উৎসব , এটা খুব গুরুত্বপূর্ন। গুরুত্বপূর্ন কারণ, এই উৎসবেই বাঙালি নির্দিষ্ট করে দেবে সে কি ভাবছে, কোন পক্ষে আছে।
পক্ষের কথা উঠল যে তাও কিন্তু এমনি এমনি নয় মোটেই। নিজেকে চিনিয়ে দেবার জন্যেই কাল বাঙালি দোল খেলবে। আনন্দ করবে। ধর্ম করবে না। সে বসন্ত উৎসব পালন করবে, যে বসন্ত উৎসবের কথা রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন। পালন করেছেন শান্তিনিকেতনে। আজকের বসন্ত দিনের ডাক আমাদের শান্তিনিকেতনের শাল পিয়ালের ডাক কানে নিয়ে অন্তরের আনন্দে মেতে ওঠার ডাক। আজ যখন শান্তিনিকেতনেও লাগানোর চেষ্টা চলছে বহ্নুতসব তখন বাঙালি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কিন্তু সেই বহ্নিশিখাকে নির্বাপিত করার, অন্তরের নিজস্বতায় ।
আজকের বসন্তদিনের ডাক নিয়ে আসুক জীবনের , বেঁচে থাকার , হয়ে ওঠার আনন্দকেই ---- কোনো দলাদলি দিয়ে, নোংরা দিয়ে এই বসন্ত উৎসবকে যেন আমরা কলুষিত না করি।
জীবনের আনন্দই হয়ে উঠুক কালের সেই মন্দিরা ধ্বনি, যা কবি আমাদের মনের অন্দরে বাজিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
বাঙালি নিজেকে চিনুক। জানুক।
এখনো কোভিডের আতঙ্ক আমাদের ছেড়ে যায়নি। উৎসবের আনন্দের মাঝখানেও মনে রাখতে হবে আনন্দের নেশায় যেন আমরা ভুলে না যাই সাবধানতা অবলম্বন করতে।
সবার রঙে রং মেলাবার উৎসব বয়ে আনুক অন্দরমহলের আনন্দ বাণী। অনেক সাধনাতেই কেবল যার সান্নিধ্য মেলে। নিজের মতো হয়ে ওঠার এই মুহূর্তে আমরা যেন নিজেদের দায় ভুলে না যাই। এ দায় সভ্যতার দায়। আর যাই করি, এটুকু যেন আমরা মনে রাখি। এটাই জীবন।
We hate spam as much as you do